AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Loneliness: লাগবে না টাকা, শুধু দিতে হবে সময়! একাকিত্বের মাঝে আলো ফোঁটাতে অভিনব উদ্যোগ তরুণীদের

Loneliness: ইন্টারনেটের চাকচিক্য আর গ্ল্যামার আমাদের সবাইকে টানে—মিথ্যে আশ্বাস আর মিষ্টি কথার ফাঁদে। কিন্তু যখন ফোন থেকে মুখ তুলে তাকালে দেখি পাশে কেউ নেই।কেবল নিঃস্তব্ধতা। এই গল্প হার্টব্রেকিং হলেও, আজকের অনেক তরুণ-তরুণীর কাছে সেটাই বাস্তব।

Loneliness: লাগবে না টাকা, শুধু দিতে হবে সময়! একাকিত্বের মাঝে আলো ফোঁটাতে অভিনব উদ্যোগ তরুণীদের
| Updated on: Jul 31, 2025 | 10:20 PM
Share

ইন্টারনেটের চাকচিক্য আর গ্ল্যামার আমাদের সবাইকে টানে—মিথ্যে আশ্বাস আর মিষ্টি কথার ফাঁদে। কিন্তু যখন ফোন থেকে মুখ তুলে তাকালে দেখি পাশে কেউ নেই।কেবল নিঃস্তব্ধতা। এই গল্প হার্টব্রেকিং হলেও, আজকের অনেক তরুণ-তরুণীর কাছে সেটাই বাস্তব। আচ্ছা, যদি সেই নিঃস্তব্ধতাও ভাগ করে নেওয়ার সুযোগ থাকত? সম্ভবত এই প্রশ্নই অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিল মেঘনা চৌধুরী, সুখন্যা এবং আরও অনেককে—যারা একাকিত্বকে কাটিয়ে মিথ্যা দুনিয়াটা ছেড়ে বেড়িয়ে আসতে চেয়েছেন।

আমরা অনেকেই ভাবি, বড় শহরে পা দিলেই নতুন সম্পর্ক তৈরি হবে, প্রচুর বন্ধু হবে, রাতে পার্টি হবে। কিন্তু বাস্তব হল, একজন সত্যিকারের সঙ্গী খুঁজে পাওয়াই এখানে চ্যালেঞ্জ। এই নগরজীবনের নিঃসঙ্গতা থেকেই অনেক তরুণ তরুণী খুলে দিচ্ছেন তাঁদের বাড়ির দরজা এবং হৃদয়ের জানালা। অন্যদের জন্য, সত্যিকারের রক্ত মাংসের মানুষের জন্য।

মেঘনার ‘No Agenda Space’ বেঙ্গালুরুর ইন্দিরানগরে। মার্চ মাসে, ৩৬ বছর বয়সি মেঘনা একটি সাধারণ পোস্টে লিখেছিলেন, “এটি একটি ‘No Agenda’ স্পেস — শুধুমাত্র মেয়েদের বা কুইয়ারদের জন্য। এখানে কোনও নেটওয়ার্কিং নেই। বরং এটা ANTI-NETWORKING। আর ANTI-SMALL TALK। আমি সেই জোর করে হাসি আর মেকি কথাবার্তায় ক্লান্ত (আর মাঝে মাঝে সেই জায়গায় আমি একেবারে ডাহা ফেল করি)। তবুও… পাশে বসে কারও ল্যাপটপে টিকটিক আওয়াজ, তাদের হালকা গুনগুন বা অভ্যস্ত ভঙ্গিমা—এই সবের মাঝেও একরকম শান্তি খুঁজে পাই।”

এখানে এসে কারও সঙ্গে কথা বলা বাধ্যতামূলক নয়—শুধু ভাগ করে নিতে হয় একটা জায়গা, একটু নিঃশব্দতা। শুনতে অবিশ্বাস্য লাগলেও, এটা একেবারেই সত্যি!

অন্যদিকে, ২,১১৫ কিমি দূরে, দিল্লিতে সুখন্যার একটি ভিন্নধর্মী উদ্যোগ। পুরোনো দিনের ড্রয়িং রুম সান্ধ্য আড্ডা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি তৈরি করেছেন এমন একটি স্থান যেখানে পারফর্মার, শিল্পী এবং সঙ্গীতপ্রেমীরা একসাথে জড়ো হতে পারেন। তাঁর এই পরিসরের মূল ভাবনা হল—সংযোগ, মেলামেশা এবং একসঙ্গে আনন্দে মেতে ওঠা।

তাঁর ইনস্টাগ্রাম বায়োতেই ফুটে ওঠে তাঁর দর্শন: “সাপার ক্লাব ভাবুন, তবে ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের জন্য। লাইভ, ঘরোয়া, টিকিট কাটা বৈঠক, দক্ষিণ দিল্লিতে।”

এই ‘shared spaces’ কি শহরের একাকীত্বের সমাধান? তা এখনই বলা কঠিন। তবে একটা বিষয় নিশ্চিত—এই স্পেসগুলো একটু একটু করে বদলাচ্ছে সমাজকে। বদলাচ্ছ আমাদের ভাবনাগুলোকে।