
খাদ্যাভ্যাসের কারনে Brown Shrike কে বুচার বার্ডও বলা হয়। এদের বিজ্ঞানসম্মত নাম Lanius cristatus । Lanius এর ল্যাটিন অর্থ কসাই। মুলতঃ শীতকালে এই পাখির ঝাঁক ছোট ঝোপের মধ্যে দেখা যায়। এরা পরিযায়ী পাখি। হালকা হলদেটে রঙের ওপরে চোখের দুপাশে কালো রঙের ব্যান্ডিট মাস্ক দেখা যায়।

Black Hooded Oriole কে বাঙালি চেনে ইষ্টি কুটুম বা বেনে বৌ নামে। হলুদ আর কালো রঙের এমন উজ্জ্বল সহাবস্থান খুব কম পাখির মধ্যে দেখা যায়। এশিয়ার ক্রান্তীয় অঞ্চলে ইন্দোনেশিয়া, ভারত ও শ্রীলঙ্কায় দেখা যায় এই প্যাসারাইন পাখিটিকে।

বাবুই বা Common Tailor Bird ছোট্ট এই পাখির বাসা বানানোর মুন্সিয়ানার কারনে 'দর্জি পাখি' হিসাবে এর সুনাম। এদের ডাক এদের চিনিয়ে দেয়। গায়ের রঙের কারনে এদের খুঁজে বার করা কষ্টসাধ্য।

ইন্ডিয়ান রোলার বা নীলকণ্ঠ পাখির সঙ্গে আমাদের উৎসবের নিবিড় যোগ। একসময়ে এই পাখি উড়িয়ে দেবী দুর্গার বিসর্জন কিংবা রথের দড়িতে টান পড়ত। এর ফলে বহু নীলকণ্ঠ পাখি অকালে মারা পড়ত। বর্তমানে এই প্রথা বন্ধ হয়েছে। নীল রঙের আধিক্য পাখিটির পালক সজ্জায়। তবে উড়ান না নিলে এই রঙের বাহার দেখা যায় না। সঙ্গের ছবি রাজারহাটে তোলা।

পরিযায়ী সরাল lesser whistling duck মাইলের পর মাইল উড়ে আসে আমাদের দেশের জলাশয় গুলোতে। একটু উষ্ণতা, ওম আর নীড় বাঁধার ইচ্ছে বুকে ওরা আসে। আর ফিরে যাওয়ার সময়ে সদ্য ডিম থেকে বেরনো ছানাদের নিয়ে শীতের দেশের পথ চেনায়। মগজের জিপিএস কোষে থেকে যায় উষ্ণতার চেনা ম্যাপ। ছানারা বড় হয়ে আবার ফিরে আসে। বারেবারে। প্রতি শীতে।

সাদা গলা মাছরাঙা। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য পাখি White Throated Kingfisher গলার কাছে সাদা দাগের কারনে এই মাছরাঙার এরকম নামকরণ। পুকুর পাড়ে গাছের ডালে স্থির বসে থেকে হঠাৎ ঝাঁপ দিয়ে জলে ডুব মেরে মাছ শিকার করা গ্রাম বাংলার খুব চেনা দৃশ্য।