AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Chicken Legs: কচকচ করে চিবিয়ে খাচ্ছেন মুরগির ঠ্যাং? ভাল না খারাপ, জানা আছে?

Chicken Legs: বিশেষজ্ঞরা বলছেন সব কিছুর যেমন ভাল দিক থাকে তেমন খারাপ দিকও থাকে। মুরগির হাড় চিবিয়ে খেলেই তাই। ভাল দিকটা কী? সেটা বরং আগে জেনে নেওয়া যাক।

Chicken Legs: কচকচ করে চিবিয়ে খাচ্ছেন মুরগির ঠ্যাং? ভাল না খারাপ, জানা আছে?
| Updated on: Jul 28, 2025 | 12:03 PM
Share

মুরগির মাংস রান্না হলে লেগ পিসটার জন্য হাঁ করে বসে থাকেন অনেকেই। কারণ ওই হাড় চিবিয়ে খেয়ে ফেলবে তাঁরা। আর মুরগির হাড় চিবোনোর মধ্যে যেন রয়েছে একটা আলাদা সুখ। বিশেষ চিকেন তন্দুরি মুরগি বা গ্রিল চিকেন হলে তো কথাই নেই। কিন্তু এই যে মুরগির হাড় কচকচ করে চিবিয়ে খাচ্ছেন, তাতে আপনার স্বাস্থ্যের উপর কী প্রভাব পড়ছে জানেন?

বিশেষজ্ঞরা বলছেন সব কিছুর যেমন ভাল দিক থাকে তেমন খারাপ দিকও থাকে। মুরগির হাড় চিবিয়ে খেলেই তাই। ভাল দিকটা কী? সেটা বরং আগে জেনে নেওয়া যাক।

১। কোলাজেন ও মিনারেলসের ভাল উৎস। মুরগির হাড়ের ভেতরে থাকা অস্থিমজ্জায় থাকে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম ও কোলাজেন যা হাড়ের গঠন ও ত্বকের পক্ষে উপকারী।

২। জেলাটিনের প্রাপ্তি হয়। হাড় চিবোলে সামান্য জেলাটিন পাওয়া যেতে পারে, যা হজমে সহায়তা করে ও অন্ত্র ভাল রাখতে সাহায় করে।

৩। হাড়ের মজ্জায়ও একাধিক পুষ্টিগুণ রয়েছে। এতে আছে ওমেগা–৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, আয়রন, সেলেনিয়াম ও জিংক। হারের ফ্যাট টিস্যুতে আছে ভিটামিন এ, ই, কে।

৪। ভিটামিন বি ১২ গুণে সমৃদ্ধ মাংসের হাড়ের লাল অংশ (মজ্জা)। এতে আছে থায়ামিন, রিবোফ্লাভিন ও ফসফরাস। মস্তিষ্কের বিকাশে অত্যন্ত উপকারী

৫। হাড়ের মজ্জায় আছে গ্লুকোস্যামাইন, গ্লাইসিন, কনজুগেটেড লিনোলাইক অ্যাসিড রয়েছে, যা প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।

৬। হাড়ের মধ্যে থাকা এডিনোপেকটিন ইনসুলিনের কার্যক্ষমতা ঠিক রাখে, পাশাপাশি ফ্যাট ভাঙতে সাহায্য করে। তাই ডায়াবেটিক মেটাবলিক সিনড্রোম এড়াতে সাহায্য করে।

এবার বরং দেখা যাক কী ক্ষতি হয়?

১। ধারালো হাড় খেতে গেলে গলার ক্ষতি করতে পারে। মুরগির হাড় ভেঙে গেলে অনেক সময় তা ধারালো হয়ে যায়। এ ধরনের হাড় গলায় বা খাদ্যনালীতে আটকে গিয়ে বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে।

২। যদি হাড় পাকস্থলীতে গিয়ে ধারালো আকারে থাকে, তাহলে অন্ত্রে কাটা বা ফুটো হওয়ার আশঙ্কা থাকে, যা শারীরিকভাবে অত্যন্ত বিপজ্জনক।

৩। ঠিকভাবে রান্না না হলে হাড়ে ব্যাকটেরিয়া বা টক্সিন থেকে যেতে পারে, যা সংক্রমণের কারণ হতে পারে।

৪। অতিরিক্ত শক্ত হাড় নিয়মিত চিবোলে দাঁতের এনামেল নষ্ট হতে পারে, এমনকি দাঁতে ফাটলও ধরতে পারে। যা থেকে পড়ে ক্যাভিটি হতে পারে দাঁতে। তাছাড়া এনামেল নষ্ট হলে, ঠান্ডা-গরম দুই ধরনের খাবার খেতে গিয়েই চরম সমস্যায় পড়তে হয়। শিরশিরানির অনুভূতি হয়।

মুরগির হাড় চিবিয়ে খাওয়ার কিছু পুষ্টিগুণ থাকলেও এর ঝুঁকিও কম নয়। অতএব সতর্কতা, সঠিক রান্না ও বয়স বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। ঝুঁকি থাকলে এ অভ্যাস এড়িয়ে চলাই ভালো।