AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Milind Soman: মিলিন্দের মতো ফিটনেস পাবেন কী করে? টিপস নিন অভিনেতার কাছ থেকেই

Milind Soman: ৫৯ বছর বয়সে মিলিন্দ এখনো দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। পুশ-আপ, ম্যারাথন দৌড়, সাঁতার এবং আরও কত কিছু! 'ক্যাপ্টেন ভ্যম' যেন বাস্তব জীবনের সুপারহিরো। নিজেই এক অনুপ্রেরণা। মিলিন্দের ফিটনেসের রহস্যটা কী? রইল এই প্রতিবেদনে।

Milind Soman: মিলিন্দের মতো ফিটনেস পাবেন কী করে? টিপস নিন অভিনেতার কাছ থেকেই
| Updated on: Aug 11, 2025 | 4:41 PM
Share

মিলিন্দ সোমান, নামটাই যথেষ্ট। ৫৯ বছর বয়সে তাঁর ফিটনেস এবং লুকে অনায়াসে গোল দিতে পারেন ২৫ বছরের যুবকদের। মিলিন্দের ওপরে ক্রাশ তাই দেশের ২২ বছরের যুবতী থেকে ৬৫ বছরের প্রৌঢ়ার ক্রাশ তিনি। মিলিন্দের এই বয়সে ফিটনেসের রহস্য কী? তা জানতে আগ্রহী দেশের যুবকরাও।

৫৯ বছর বয়সে মিলিন্দ এখনো দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। পুশ-আপ, ম্যারাথন দৌড়, সাঁতার এবং আরও কত কিছু! ‘ক্যাপ্টেন ভ্যম’ যেন বাস্তব জীবনের সুপারহিরো। নিজেই এক অনুপ্রেরণা। মিলিন্দের ফিটনেসের রহস্যটা কী? রইল এই প্রতিবেদনে।

মিলিন্দের ফিটনেস দর্শন সহজ। মিলিন্দের মানেন না কোনও শর্টকাট, না অদ্ভুত ডায়েট, না কোন বিশেষ ওষুধ। মিলিন্দের ফিটনেসের মূলভিত্তি হল ধারাবাহিকতা, শৃঙ্খলা, এবং শারীরিক কার্যকলাপকে ভালবাসা। জোর করে নয়, ম্যারাথন, সাঁতার বা যোগব্যায়াম—যাই হোক না কেন, মিলিন্দ মনে করেন ফিট থাকার রহস্য হল সব সময় অ্যাক্টিভ থাকা এবং নিজের শরীরের কথা শোনা।

তিনি বারবার জোর দিয়ে বলেন, সুস্থ থাকার জন্য জিম বা বিশেষ সরঞ্জামের প্রয়োজন নেই। খোলা আকাশের নিচে ব্যায়াম, সচেতন শ্বাসপ্রশ্বাস এবং প্রাকৃতিক খাবারের মাধ্যমে সুষম খাদ্যাভ্যাসই তার জীবনযাত্রার মূল স্তম্ভ।

মিলিন্দকে আলাদা করে তোলে তার সামগ্রিক ফিটনেস দর্শন। মানসিক স্বাস্থ্যের যত্নকেও শারীরিক স্বাস্থ্যের সমান গুরুত্ব দেন। মেডিটেশন, প্রণায়াম এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম তার দৈনন্দিন রুটিনের অংশ। মন ও শরীরের ভারসাম্য তাঁকে সঠিক পথে থাকতে, স্ট্রেস সামলাতে সাহায্য করে, এবং সামগ্রিক শক্তি বাড়ায়।

মিলিন্দ অ্যালকোহল ও অন্যান্য ক্ষতিকারক অভ্যাস থেকে দূরে থাকেন। ইনস্টাগ্রামে নিজের একটি পোস্টে তিনি লিখেছিলেন, “অনেকে জিজ্ঞেস করে আমি কি মদ খাই? উত্তর হল খুব কম। আমার ৩০-এর দোরগোড়ায় যখন ছিলাম, প্রায় প্রতিদিনই খেতাম, তখন মজা লাগত। কিন্তু যদি সত্যিই জীবনের সেরা জিনিসগুলো পেতে চান, তাহলে ভাল অভ্যাস বেছে নিতে হবে।”

যে বয়সে বেশিরভাগ মানুষ ধীর হয়ে যায়, তখন মিলিন্দ নতুন ফিটনেস লক্ষ্য স্থির করেন। নিয়মিত আয়রনম্যান ট্রায়াথলন এবং ম্যারাথন দৌড়ের মতো ইভেন্টে অংশ নেন। মিলিন্দ প্রমাণ করেন, বয়স কেবল একটি সংখ্যা—সঠিক মানসিকতা থাকলে পঞ্চাশ পেরিয়েও অবিশ্বাস্য শারীরিক সাফল্য অর্জন সম্ভব।

হার্পারস বাজার ম্যাগাজিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মিলিন্দ জানান, “২৫ বছর বয়সে আমি সত্যিই বিশ্বাস করতাম, বয়স বাড়লেও আমি একই রকম থাকব। এখনও আমি ২৫-এর মতোই অনুভব করি। পার্থক্য শুধু একটাই—আমার ছিল শৃঙ্খলা, কাজের শৃঙ্খলা নয়, আত্মশৃঙ্খলা। আর ছিল আমি কে, তার স্পষ্ট ধারণা। অনেকে এই জিনিসটা শেখে না। আপনি যদি পৃথিবীতে কিছু অবদান রাখতে চান, আপনাকে ১০০ শতাংশ থাকতে হবে। ২৫ বছর বয়সে বেশিরভাগ মানুষ ভাবে তাঁরা সবসময় একই রকম থাকবে।”