গুগলেও সার্চ করে দেখছেন, বন্ধুবান্ধবদের পরামর্শও শুনেছেন। ডায়েট আর ওয়ার্কআউট একসঙ্গে না করলে এক চুলও মেদ গলে না। তাই নিয়ম করে জিমে যাচ্ছেন। আর নিজের বানানো ডায়েট চার্ট মেনে খাবার খাচ্ছেন। এখানেই কিন্তু ভুল করছেন। অনেকের ধারণা, ওজন কমাতে গেলে সবার আগে ভাত-রুটি ছাড়তে হয়। এতে সবচেয়ে বেশি কার্বোহাইড্রেট রয়েছে। কিন্তু আপনি যদি পরিমাণ বুঝে ভাত-রুটি খান, কোনও ক্ষতি নেই। বরং, শরীরে কাজ করার এনার্জি পাওয়ার জন্য এই কার্বোহাইড্রেট যুক্ত ভাত-রুটিই দরকার।
ভাত-রুটি না খেলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়বে। আর আপনি যদি ভাত-রুটি একদমই খেতে না চান, সেক্ষেত্রে এমন খাবার খেতে হবে, যা দেহে এনার্জি জোগাবে। পাশাপাশি এমন খাবার খুঁজতে হবে, যা মধ্যে কার্বস নেই। এমনই ৫টি খাবারের সন্ধান রইল আপনার জন্য।
চিকেন: ওয়েট লস ডায়েটে চিকেন রাখতে পারেন। চিকেনকে লিন প্রোটিন বলা হয়। চিকেনের ব্রেস্ট পিসে ফ্যাটের পরিমাণ কম থাকে কিংবা থাকেই না। দেহে এনার্জির ঘাটতি পূরণ করতে চিকেন খেতে পারেন। চিকেন স্টু কিংবা গ্রিল করা চিকেন স্যালাদ স্বাস্থ্যকর।
ডিম: ভাত-রুটি খাওয়ার ইচ্ছে না থাকলে রোজ ২-১টা করে ডিম সেদ্ধ খান। ডিমের মধ্যে প্রোটিন থেকে শুরু করে ভিটামিন ডি, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সবই পাওয়া যায়। তাই এই সুপারফুড শরীরে পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করবে আর ওজন কমাতেও সাহায্য করবে।
মাছ: ভাতের সঙ্গে মাছের ঝোল না খেলেও, মাছকে সম্পূর্ণরূপে বাদ দেবেন না। পুকুরের রুই-কাতলা হোক বা সামুদ্রিক পমফ্রেট, মাছ স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। মাছ খেয়েও ওজন কমানো যায়। পাশাপাশি শারীরিক দুর্বলতা এড়ানো যায়।
শাকসবজি: ‘নো কার্ব’ ডায়েট থেকে শাকসবজিকে ভুলেও বাদ দেবেন না। মরশুমি সবজিই আপনার সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার ‘সিক্রেট’ হতে পারে। রোজ এক বাটি সবজির তরকারি খেয়েই আপনি কয়েক কিলো কমিয়ে ফেলতে পারেন। তবে, মাটির তলার আনাজ এড়িয়ে চলুন।
বাদাম ও বীজ: আমন্ড, আখরোট, কাজু, চিয়া সিড, ফ্ল্যাক্স সিডের মতো বাদাম ও বীজ হল পুষ্টিতে ভরপুর। এসব বাদাম ও বীজ দেহে পুষ্টির জোগান দেওয়ার পাশাপাশি ওজন কমাতেও সাহায্য করে। তাই ভাত-রুটি না খেলেও চলবে, এগুলোকে বাদ দেবেন না।