সারাদিন ব্যস্ততার পর রূপচর্চায় মন বসে না। রাতের বেলায় ক্লান্তিতে চোখ বুজে আসে? ওয়ার্ক ফ্রম হোমের জেরে ঘন্টার পর ঘন্টা কাজের চাপে ত্বকের যত্ন নিতে পারছেন না। কুছ পরোয়া নেহি। সকালে অফিস বা বাড়ির কাজ সেরেও কাজের কোনও কমতি হয় না। যেটুকু সুযোগ পাওয়া যায়, তাতে পরিচর্চা করার মতো উপায় থাকে না। দিনের সময় ত্বকের উপর চলে নানারকম অত্যাচার। এমনটা হলে নিজের ত্বকের উপর খেয়াল রাখতে সারারাতকে ব্যবহার করতে পারেন। সকালে উঠে সেই মাস্ক ধুয়ে ফেললেই হাতেনাতে ফল পাবেন।
মধু ও ওটমিল
২ টেবিল স্পুন মধু ও ওটমিল নিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। তাতে কয়েকফোঁটা গোলাপ জল মেশান। মিশ্রণটি মাস্ক হিসেবে গোটা মুখে সারারাত লাগিয়ে জাস্ট ঘুমিয়ে পড়ুন। গভীর রাতে মুখে টান পড়লে এড়িয়ে চলুন। সকালে উঠে অল্প গরম জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এই মাস্কের জেরে মুখের মধ্যে জমে থাকা মৃতকোষ গুলি ধুয়ে সাফ হয়ে যায়। অন্যদিকে মধু আপনার ত্বককে ময়শ্চার করতে সাহায্য করে। তৈলাক্ত ও ব্রুণ-যুক্ত ত্বক হলে এই মাস্ক ভীষণ কার্যকরী। সপ্তাহে দুদিন এই সুপার মাস্ক ব্যবহার করলে উপকার পাবেন।
দই ও মধু
১ টেবিল স্পুন দউ ও মধু একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। সুস্থ ত্বক পেতে গোটা মুখে মাস্ক হিসেবে লাগিয়ে নিন। দইয়ে থাকে ল্যাকটিক অ্যাসিড, যা ত্বকের মৃত কোষগুলিকে নিকেষ করে। মধু স্কিনকে নারিশ করে স্বাভাবিক সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনে।
শশা ও অলিভ ওয়েল
২ টেবিল স্পুন শশার জুস ও ১ টেবিলস্পুন অলিভ ওয়েল নিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। সারারাত মাস্ক হিসেবে ব্যবহার করার পর পরদিন সকালে ঠান্ডা জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। শশা ত্বককে নরম করে, ঠান্ডা রাখে। যার জেরে নরম ত্বকে জ্বালা-ধরা ভাব ও চুলকানি দূর হয়ে যায়। শশার প্রভাবে ত্বকের স্বাভাবিক পিএইচ ব্যালেন্স পুনরায় ফিরে পাওয়া সম্ভব। অন্যদিকে অলিভ ওয়েলের জেরে ত্বক হাইড্রেট করতে সাহায্য করবে।