পার্টি করার জন্য কোনও কারণ প্রয়োজন? তা অবশ্য নয়। উইকেন্ডে অনেকেই পার্টিতে মেতে ওঠেন। নাইট ক্লাবে যেতেও পছন্দ করেন। আর বন্ধদের মধ্যে হঠাৎ পার্টির প্ল্যানও নতুন নয়। তবে বিশেষ দিনে সকলেই মেতে উঠতে চান। যেমন ধরে নেওয়া যাক বর্ষবরণে! সামনেই নতুন বছর আসছে। পার্টির প্ল্যানও হয়তো তৈরি! কিন্তু সমস্যাও রয়েছে। যাঁরা ফিটনেস ট্রেনিং করেন? তাঁদের ক্ষেত্রে কী হবে! উদ্দাম পার্টি করারও ইচ্ছে, আবার ফিটনেসের টার্গেটও পূরণ করতে হবে। আচ্ছা দুটোই ব্যালান্স করা যায় না?
উৎসবের মরসুমে অনেক কিছুই ইচ্ছে করে। ডায়েট ভুলে পছন্দের খাবার খাওয়া, ককটেল এবং আরও অনেক কিছুই। কেউ বা মদ্যপানেও ডুবে যান। তবে যাঁরা ফিটনেস নিয়ে চিন্তিত, তাঁদের কিন্তু একটু ভাবনা চিন্তা করেই পরিকল্পনা গড়া উচিত। প্রথমত, নিজের প্রায়োরিটি গুলো বুঝতে হবে। একদিনের আনন্দ আবার কাছে গুরুত্বপূর্ণ নাকি ফিটনেস! আনহেল্দি খাবার, মদ্যপান বা নাইট আউটে যাওয়া বেশি জরুরি মনে হতেই পারে। সবকিছুর জন্য প্রয়োজন, একটা জবরদস্ত প্ল্যানিং।
পেশাদার শেফ? ভাবুন তো ক্রিসমাস কিংবা নিউ ইয়ার অবধি ডিনারে প্রত্যেকটা ডিশই মাস্টারপিস। আপনার বাড়িতেই শেফ সেই খাবারগুলো তৈরি করেছেন। পরিবারের সঙ্গে ডিনারে একসঙ্গে সুস্বাদু খাবার খাচ্ছেন। হয়তো খাবারগুলো আপনার ডায়েটের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই তৈরি হয়েছে? তা হলে তো আর কোনও সমস্যাই নেই।
অ্যালকোহল? একেবারে এড়িয়ে যেতে পারলেই ভালো। তা না হলে চেষ্টা করুন যতটা সম্ভব কম মদ্যপান করা যায়। যদি সামান্যতেই পার্টির আনন্দ পূরণ হয়, তা হলে সেটুকুই থাক! অ্যালকোহল হীন রেড ওয়াইন ভালো অপশন হতে পারে। পার্টিও হল আবার ফিটনেসের ক্ষতিটাও কম। অ্যালকোহলের পাশাপাশি কার্বোনেটেড ড্রিঙ্কস থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন। সহজ কথায় নরম-পানীয়কেও ‘না’ বলুন।
পার্টি জমানোর জন্য কিন্তু সঠিক সঙ্গীরও প্রয়োজন। এমন মানুষদের সঙ্গেই পার্টি করুন যাঁরা আপনাকে গুরুত্ব দেবে, ইচ্ছেগুলোকে সম্মান দেবে। কোনও কিছুতে জোর করবে না। সঠিক সঙ্গ পেলে পার্টি যে কোনওভাবেই জমতে পারে।