কখনও অ্যাডভেঞ্চার, কখনও বা রোম্যান্টিক ছুটির প্ল্যান (Travel) তো আপনি নিশ্চয়ই কখনও করেছেন। হয়তো প্রিয়জনকে নিয়ে পৌঁছে গিয়েছেন নিরালা সমুদ্র সৈকতে। অথবা বন্ধুদের সঙ্গে ট্রেক করতে গিয়েছেন। কিন্তু পরিবারের বয়স্কদের নিয়ে কখনও প্ল্যান করার কথা ভাবলে মায়াপুর হতে পারে আপনার জন্য আইডিয়াল। সাধারণ ভাবে বয়স্করা প্রিয়জনেরা ভক্তিরসে ভরপুর ভ্রমণ পছন্দ করেন। হ্যাঁ, ব্যতিক্রম থাকতেই পারে। কিন্তু অধিকাংশের পছন্দ যদি মন্দির দর্শন হয়, আপনি দুই-তিন দিনের জন্য মায়াপুরের পরিকল্পনা করতে পারেন। কোন কোন স্থান অবশ্যই দর্শন করবেন, তার একটা তালিকা দেওয়ার চেষ্টা করলাম আমরা। তবে করোনা পরিস্থিতিতে আগে থেকে খোঁজ নিয়ে যাওয়াই বাঞ্ছনীয়।
ইস্কন চন্দ্রোদয় মন্দির
ইস্কনের প্রতিষ্ঠাতা শ্রী প্রভুপাদ। শ্রীকৃষ্ণের আরাধনা হয় এই মন্দিরে। ভক্তদের ভোরবেলা থেকেই নামগান, আরতিতে অংশগ্রহণ করার ব্যবস্থা রয়েছে। ভোগ খাওয়ারও বিপুল আয়োজন থাকে। তবে করোনা পরিস্থিতিতে কী কী সম্ভব, তা আগে থেকে খোঁজ নিয়ে নিন।
আরও পড়ুন, হাতে সময় কম? শীতে বেড়াতে যান পশ্চিমবঙ্গের এই সব জায়গায়
যোগপীঠ
মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্যের জন্মভূমিতেই তৈরি এই মন্দির। ৩০ মিটার উচ্চতার শ্বেত পাথরের এই মন্দির দর্শনার্থীদের আকর্ষণের কেন্দ্রে থাকে। মনে করা হয়, একটি নিম গাছের নীচে জন্ম হয়েছিল মহাপ্রভুর। যোগপীঠের ভিতরে এখনও নাকি রয়েছে সেই গাছ। এখানে যোগাসন, বেদ এবং মেডিটেশনের শিক্ষা দেওয়া হয়।
শ্রী চৈতন্য মঠ
গৌড়ীয় মঠের আচার্য শ্রীলা ভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতী মহারাজ এই মঠ প্রতিষ্ঠা করেন। রাধা গোবিন্দকে উৎসর্গ করে তৈরি করা হয়েছিল এই মঠ।
আরও পড়ুন, সিকিম বেড়াতে যাচ্ছেন? এই কয়েকটা জিনিস মিস করবেন না
শ্রী দেবানন্দ গৌড়ীয় মঠ
শ্রীলা ভক্তিসিদ্ধান্ত মহারাজা এই মঠের প্রতিষ্ঠাতা। নবদ্বীপ বা মায়াপুর ভ্রমণে যাঁরা যান, এই মঠ দর্শন মিস করতে চান না। এর কারুকাজ মুগ্ধ করবে আপনাকে।