Pregnancy Tips: গর্ভাবস্থার প্রথম ৩ মাস ঝুঁকির, গর্ভপাত এড়াতে মেনে চলুন এই টিপস

Pregnancy Tips: ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং থাইরয়েডের মতো অনেক দীর্ঘস্থায়ী রোগ থাকলে সেগুলো নিয়ন্ত্রণে রাখুন। নিয়মিত চেকআপ করুন। গর্ভাবস্থায় গুরুতর পেটে ব্যথা বা অন্য কোনও গুরুতর সমস্যার সম্মুখীন হন, তাহলে আপনার ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন। এ ব্যাপারে গাফিলতি করবেন না।

Pregnancy Tips: গর্ভাবস্থার প্রথম ৩ মাস ঝুঁকির, গর্ভপাত এড়াতে মেনে চলুন এই টিপস
বিশেষ শারীরিক কোনও সমস্যা না থাকলেও গর্ভাবস্থায় কাঁঠাল খাওয়া এড়িয়ে চলা ভাল। কাঁঠাল গরম প্রকৃতির। ফলে এটা মা ও গর্ভস্থ শিশুর জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। ছোট শিশুদেরও কাঁঠাল খাওয়ানো উচিত নয়। হজমের সমস্যা হতে পারে
Follow Us:
| Updated on: Jun 13, 2024 | 11:36 PM

মহিলাদের কাছে গর্ভাবস্থা একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়। এই সময়ে মা ও শিশু উভয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ। গর্ভাবস্থার প্রথম ত্রৈমাসিকে গর্ভপাতের ঝুঁকি অনেক বেশি। তাই এই সময়ে বিশেষ সতর্ক থাকা জরুরি। বিশেষত, খাদ্যাভ্যাস সঠিক করতে হবে। কিছু বিষয় মাথায় রাখলে গর্ভপাতের ঝুঁকি অনেকটাই কমানো যায়।

গর্ভাবস্থায় কী খাবেন?

চিকিৎসকদের মতে, গর্ভপাত এড়াতে গর্ভাবস্থায় মহিলাদের খাদ্যাভ্যাসের প্রতি খেয়াল রাখা সবচেয়ে জরুরি। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ফল, সবজি, গোটা শস্য এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ সুষম খাদ্য গ্রহণ করা জরুরি। ফলিক অ্যাসিড, আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার পর্যাপ্ত পরিমাণ গ্রহণ করলে শিশুর বিকাশে সহায়তা করে।

গর্ভাবস্থায় কী খাবেন না?

গর্ভাবস্থায় কয়েকটি খাবার একেবারে খাওয়া উচিত নয়। বিশেষত, প্রথম ৩ মাস অতিরিক্ত যত্নের প্রয়োজন হয়। এটা বিশ্বাস করা হয় যে, পেঁপে, আনারস এবং আমিষ জাতীয় গরম খাবার থেকে দূরে থাকা উচিত। এছাড়া জাঙ্ক ফুড থেকে দূরে থাকুন, বেশি মিষ্টি খাবেন না।

এগুলি এড়িয়ে চলুন

বিশিষ্ট গাইনোকোলজিস্টের মতে, ধূমপান, অ্যালকোহল পান এবং অতিরিক্ত ক্যাফেইন এড়িয়ে চলুন। এগুলি গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়ায়।

কী করবেন আর কী করবেন না?

নিরাপদে ব্যায়াম- গর্ভাবস্থায় নিয়মিত, পরিমিত ব্যায়াম উপকারী, তবে ওয়ার্কআউট হালকা রাখুন। গভীর শ্বাসের ব্যায়াম এবং প্রতিদিন হাঁটা উপকারী। তবে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়েই শারীরিক পরিশ্রম করা উচিত।

মানসিক চাপ কমান- মানসিক চাপ গর্ভাবস্থায় মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। যতটা সম্ভব হাসি-খুশি থাকা ও কম চিন্তা করার চেষ্টা করুন। যোগব্যায়াম, ধ্যান বা গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়ামের মতো মানসিক চাপ কমানোর কৌশলগুলি অনুশীলন করুন। পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে উপকার পেতে পারেন।

নিয়মিত চিকিৎসা- এছাড়া ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং থাইরয়েডের মতো অনেক দীর্ঘস্থায়ী রোগ থাকলে সেগুলো নিয়ন্ত্রণে রাখুন। নিয়মিত চেকআপ করুন। গর্ভাবস্থায় গুরুতর পেটে ব্যথা বা অন্য কোনও গুরুতর সমস্যার সম্মুখীন হন, তাহলে আপনার ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন। এ ব্যাপারে গাফিলতি করবেন না।