‘আমাদের জেনারেশনের সময়টা বেশ ভাল ছিল’ বড়দের কাছ থেকে এই কথা শুনতে হয়েছে কম-বেশি সকলকেই। সেই তালিকা থাকে বাদ যায় না জেন জি। জেন জি বা জেনারেশন জেড মানে যাঁরা ১৯৯৭ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে জন্মগ্রহণ করেছে। সাধারণত মনে করা হয়, নতুন এই প্রজন্মের মধ্যে মদ্যঅয়ান বা নেশা করার ধুম অনেক বেশি। তবে বাস্তবে কী সত্যিই তাই? অন্তত সমাজমাধহ্যমে করা সাম্প্রতিকতম করা একটি সমীক্ষা কিন্তু বলছে অন্য কথা।
দেখা যাচ্ছে এই জেন জি মধ্যে কিন্তু দিনে দিনে কমছে মদ্যপানের ঝোঁক। বেরেনবার্গের করা সেই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে পার ক্যাপিটায় মিলেনিয়াল প্রজন্মের তুলনায় জেন জি প্রজন্মের মধ্যে মদ্যপান হার কমেছে অন্তত ২০ শতাংশ।
আবার মিশিগান ইউনিভার্সিটির করা একটি সমীক্ষা বলছে গত দুই দশকে কলেজ পড়ুয়া প্রাপ্ত বয়স্কদের মধ্যে মদ্যপান থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ থেকে ২৮ শতাংশ।
কিন্তু কেন এই উলটপুরাণ? কী বলছে বিশেষজ্ঞরা?
চিকিৎসকরা বলছেন এর পিছনে প্রধান কারণ হল নিয়মিত মদ্যপানের ফলে যে শারীরিক ক্ষতি হয়, সেই সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি, ফিটনেসের উপরে এর প্রভাব।
আসলে বর্তমান তরুণ প্রজন্ম তাঁদের জীবনযাত্রার জন্য কোনটা ঠিক এবং কোনটা ভুল সেই সম্পর্কে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল। এমনকি অ্যালকোহল শরীরের জন্য কতটা ক্ষতিকর তাও খুব ভাল করে বোঝে এই প্রজন্ম।
আবার জেন জি প্রজন্মের কাছে সমাজমাধ্যম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই সেখানে ভাল দেখতে লাগার জন্য নিজের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা একান্ত গুরুত্বপূর্ণ। যা খুব ভাল করে বোঝে এই তরুণ-তরুণীরা।
সমীক্ষায় এটাও দেখা গিয়েছে যে, পূর্ব প্রজন্ম তুলনায় জেন জি-এর মধ্যে মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতা অনেক বেশি। বেকারস হাসপাতালের করা একটি সমীক্ষায় দেখা যায় নিজেলে সুস্থ রাখতে জেন জি প্রজন্মের ৫০ শতাংশ তরুণ-তরুণীরা নিয়মিত শরীরচর্চা করে, যেখানে তাদের পূর্ববর্তী প্রজন্মে সেই সংখ্যাটি ৪৫ শতাংশ।
আবার ২০২১ সালে একটি খাদ্য সংস্থা টেকনমিকের করা সমীক্ষা বলছে যেখানে মিলেনিয়াল প্রজন্মের মধ্যে বাইরে বার বা রেস্তোরাঁয় গিয়ে খাওয়ার প্রবণতা মিলেছে ৬৫ শতাংশ মানুষের মধ্যেই সেখানে জেন জি-এর মধ্যে সেই প্রবণতা দেখা যায় কেবল ৫৮ শতাংশ মানুষের মধ্যেই।