মানসিক স্বাস্থ্যের চিকিৎসায় ‘ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি’। পূর্ব ভারতে প্রথমবার এ হেন অভিনব উদ্য়োগের সাক্ষী রইল শহর। সৌজন্যে ‘সহায়তা ক্লিনিক’। আজ, সোমবার সল্টলেক সেক্টর ওয়ান-এর ডিবি ব্লকে হল এই ক্লিনিকের উদ্বোধন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ক্লিনিকের প্রতিষ্ঠাতা-ডিরেক্টর চিকিৎসক তথাগত চট্টোপাধ্যায়, আরও দুই ডিরেক্টর চিকিৎসক সৈয়দ নাইয়ার আলি ও চিকিৎসক দেবাশিস সান্যাল। ক্লিনিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মুখ্য় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী (Ritabhari chakraborty)। প্রসঙ্গত ঋতাভরী নিজে একসময় মানসিক অবসাদে ভুগেছিলেন। যদিও এ দিন তিনি জানিয়েছেন, মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে যেতে হয়নি তাঁকে। মূলত অনলাইনে সাইকোলজিস্ট এবং সাইকায়াট্রিস্টদের পরামর্শ দেওয়ার পরিষেবাকেন্দ্র হিসেবেই গড়ে উঠেছে ‘সহায়তা ক্লিনিক’। অবসাদগ্রস্ত শিশুদের জন্য রয়েছে প্লে-গ্রাউন্ড।
আরও পড়ুন সিজন চেঞ্জে শ্বাসকষ্টের সমস্যা, সুস্থ থাকতে মেনে চলুন এই সাতটি নিয়ম
ঋতাভরী তাঁর মানসিক অবসাদ, তা থেকে সেরে ওঠা এবং একজন মানসিক রোগীর ক্ষেত্রে পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি কতটা দায়ী, সে ব্যাপারে খোলাখুলি কথা বলেন এ দিনের অনুষ্ঠানে। তাঁর মতে, “করোনা পরিস্থিতিতে বাড়িতে বাধ্য হয়ে ‘আইসোলেটেড’ থাকার জেরে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতা অনেকটা বেড়েছে।” এ প্রসঙ্গে তাঁর সংযোজন, “সমাজ মূলত পুরুষতান্ত্রিক। তাই-ই অভিন্ন কাজের জন্য কৃতিত্ব ঘুরেফিরে সেই একজন পুরুষের কাঁধেই অর্পণ করা হয়। এটাও কোথাও গিয়ে একজন মহিলার পক্ষে ভীষণ চাপের, যা পক্ষান্তরে অবশ্যই মানসিক অবসাদের কারণ। এ থেকে মুক্তির জন্য সোশ্যালাইজিং, সিনেমা দেখা, বই-পড়া এই ধরনের যে উপদেশগুলো সাধারণত দেওয়া হয়, তাতে সমস্যার কোনও সমাধান হয় না। দরকার প্রকৃত কাউন্সেলিং। প্রয়োজন মানসিক স্বাস্থ্যের চিকিৎসার।”
ক্লিনিকের প্রতিষ্ঠাতা এবং এক ডিরেক্টর চিকিৎসক তথাগতবাবু বলেন, “করোনা পরিস্থিতিতে রোগী-চিকিৎসক সামনাসামনি বসে চিকিৎসা করছেন, এটা সম্ভব হয়ে ওঠেনি সর্বত্র। কিন্তু মানসিক রোগ বেড়েছে আগের চেয়ে অনেক বেশি। সাধারণ মানুষ কাজ হারিয়েছে। করোনার ভ্যাকসিন খবরের শিরোনামে এলেও মানসিক রোগের ভ্যাকসিন এখনও আসেনি। এই সূত্রেই ‘ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি’-র মাধ্যমে চিকিৎসার কথা মাথায় আসে।”
চিকিৎসক সৈয়দ নাইয়ার আলির কথায়, “আমার মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক নেই, সেটা মেনে নিতেই প্রথমে কষ্ট হয়। আমরা জ্বর হয়েছে বলতে পারি, কিন্তু মানসিক রোগ হয়েছে, এ কথা বলতে পারি না। মানসিক চাপ থাকাটা স্বাভাবিক। তবে তা দীর্ঘদিন ধরে থাকলে চিকিৎসার প্রয়োজন।”
চিকিৎসক দেবাশিস সান্যাল বলেন, “মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে ছোটবেলা থেকেই ভাবা উচিত। শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যের অসঙ্গতি একটি পারিবারিক সমস্যা। পরিবারের দ্বারা যেমন সমস্যার তৈরি হয়, তেমনই পরিবারেরই দায়িত্ব এই সমস্যার সমাধান করা।”
মানসিক স্বাস্থ্যের চিকিৎসায় ‘ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি’। পূর্ব ভারতে প্রথমবার এ হেন অভিনব উদ্য়োগের সাক্ষী রইল শহর। সৌজন্যে ‘সহায়তা ক্লিনিক’। আজ, সোমবার সল্টলেক সেক্টর ওয়ান-এর ডিবি ব্লকে হল এই ক্লিনিকের উদ্বোধন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ক্লিনিকের প্রতিষ্ঠাতা-ডিরেক্টর চিকিৎসক তথাগত চট্টোপাধ্যায়, আরও দুই ডিরেক্টর চিকিৎসক সৈয়দ নাইয়ার আলি ও চিকিৎসক দেবাশিস সান্যাল। ক্লিনিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মুখ্য় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী (Ritabhari chakraborty)। প্রসঙ্গত ঋতাভরী নিজে একসময় মানসিক অবসাদে ভুগেছিলেন। যদিও এ দিন তিনি জানিয়েছেন, মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে যেতে হয়নি তাঁকে। মূলত অনলাইনে সাইকোলজিস্ট এবং সাইকায়াট্রিস্টদের পরামর্শ দেওয়ার পরিষেবাকেন্দ্র হিসেবেই গড়ে উঠেছে ‘সহায়তা ক্লিনিক’। অবসাদগ্রস্ত শিশুদের জন্য রয়েছে প্লে-গ্রাউন্ড।
আরও পড়ুন সিজন চেঞ্জে শ্বাসকষ্টের সমস্যা, সুস্থ থাকতে মেনে চলুন এই সাতটি নিয়ম
ঋতাভরী তাঁর মানসিক অবসাদ, তা থেকে সেরে ওঠা এবং একজন মানসিক রোগীর ক্ষেত্রে পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি কতটা দায়ী, সে ব্যাপারে খোলাখুলি কথা বলেন এ দিনের অনুষ্ঠানে। তাঁর মতে, “করোনা পরিস্থিতিতে বাড়িতে বাধ্য হয়ে ‘আইসোলেটেড’ থাকার জেরে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতা অনেকটা বেড়েছে।” এ প্রসঙ্গে তাঁর সংযোজন, “সমাজ মূলত পুরুষতান্ত্রিক। তাই-ই অভিন্ন কাজের জন্য কৃতিত্ব ঘুরেফিরে সেই একজন পুরুষের কাঁধেই অর্পণ করা হয়। এটাও কোথাও গিয়ে একজন মহিলার পক্ষে ভীষণ চাপের, যা পক্ষান্তরে অবশ্যই মানসিক অবসাদের কারণ। এ থেকে মুক্তির জন্য সোশ্যালাইজিং, সিনেমা দেখা, বই-পড়া এই ধরনের যে উপদেশগুলো সাধারণত দেওয়া হয়, তাতে সমস্যার কোনও সমাধান হয় না। দরকার প্রকৃত কাউন্সেলিং। প্রয়োজন মানসিক স্বাস্থ্যের চিকিৎসার।”
ক্লিনিকের প্রতিষ্ঠাতা এবং এক ডিরেক্টর চিকিৎসক তথাগতবাবু বলেন, “করোনা পরিস্থিতিতে রোগী-চিকিৎসক সামনাসামনি বসে চিকিৎসা করছেন, এটা সম্ভব হয়ে ওঠেনি সর্বত্র। কিন্তু মানসিক রোগ বেড়েছে আগের চেয়ে অনেক বেশি। সাধারণ মানুষ কাজ হারিয়েছে। করোনার ভ্যাকসিন খবরের শিরোনামে এলেও মানসিক রোগের ভ্যাকসিন এখনও আসেনি। এই সূত্রেই ‘ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি’-র মাধ্যমে চিকিৎসার কথা মাথায় আসে।”
চিকিৎসক সৈয়দ নাইয়ার আলির কথায়, “আমার মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক নেই, সেটা মেনে নিতেই প্রথমে কষ্ট হয়। আমরা জ্বর হয়েছে বলতে পারি, কিন্তু মানসিক রোগ হয়েছে, এ কথা বলতে পারি না। মানসিক চাপ থাকাটা স্বাভাবিক। তবে তা দীর্ঘদিন ধরে থাকলে চিকিৎসার প্রয়োজন।”
চিকিৎসক দেবাশিস সান্যাল বলেন, “মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে ছোটবেলা থেকেই ভাবা উচিত। শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যের অসঙ্গতি একটি পারিবারিক সমস্যা। পরিবারের দ্বারা যেমন সমস্যার তৈরি হয়, তেমনই পরিবারেরই দায়িত্ব এই সমস্যার সমাধান করা।”