সিজন চেঞ্জে শ্বাসকষ্টের সমস্যা, সুস্থ থাকতে মেনে চলুন এই সাতটি নিয়ম
খুশখুশে বা হাল্কা কাশির ধাত থাকলে সকালে ঘুম থেকে উঠে হাল্কা গরম জল খান।
হঠাৎই ঠান্ডা কমে গিয়েছে। একলাফে পারদ চড়েছে বেশ অনেকটাই। এই সিজন চেঞ্জের মরশুমেই শরীরে বাসা বাঁধে বিভিন্ন রোগ। আজকাল তার মধ্যে অন্যতম শ্বাসকষ্ট। অতিরিক্ত দূষণ এবং তাপমাত্রার ওঠানামার জেরে শ্বাসকষ্টের সমস্যা আজকাল আট থেকে আশির মধ্যে অনেকেরই দেখা দেয়। এই সমস্যা দূর করতে নিজেকে ফিট অ্যান্ড ফাইন রাখুন, মেনে চলুন সহজ কিছু নিয়ম।
অতিরিক্ত ওজন কমান-
শরীরে বাড়তি মেদ কখনই ভাল না। আর অতিরিক্ত ওজনের কারণে শ্বাসকষ্ট বাড়তে পারে। অল্প পরিশ্রমেই হাঁপিয়ে যেতে পারেন আপনি। তাই বাড়তি মেদ ঝরিয়ে ফেলুন।
নিয়মিত শরীরচর্চা করুন-
শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকলে জিমের বদলে যোগাসন করা অভ্যাস করুন। সকালে উঠে হাঁটাচলা এবং হাল্কা জগিং বা দৌড়ের অভ্যাস থাকাও ভাল। তবে ততটাই শারীরিক কসরত করবেন যতটা আপনার শরীর নিতে পারবে।
দূষণ থেকে দূরে থাকুন-
করোনা আবহে এখন মাস্ক আমাদের নিত্যসঙ্গী। তাই এখন ধুলোবালি নাকি ঢুকে অ্যালার্জি হওয়ার সম্ভাবনা কম। খেয়াল রাখুন ধুলো থেকে কোনওভাবেই যেন অ্যালার্জি না হয়। চেষ্টা করুন ঠান্ডা না লাগাতে। যাঁদের সর্দি লাগার ধাত রয়েছে তাঁরা সতর্ক থাকুন।
হলুদ দুধ–
দিনে একবার অন্তত গলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে হাল্কা গরম দুধ খান। এর ফলে আপনার শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। হলুদে থাকে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এছাড়াও বিভিন্ন সংক্রমণের সঙ্গে রুখতে সাহায্য করে হলুদ। ফলে সহজে আপনার সর্দি-কাশি হবে না।
গরম জল-
খুশখুশে বা হাল্কা কাশির ধাত থাকলে সকালে ঘুম থেকে উঠে হাল্কা গরম জল খান। চাইলে লেবু-মধু মিশিয়ে নিতে পারেন। চা-কফিও খেতে পারেন আরামের জন্য। তবে অতিরিক্ত চা-কফি খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে হানিকারক।
হার্বাল চা এবং কারা-
যাঁদের সর্দি-কাশির ধাত রয়েছে তাঁরা এই সিজন চেঞ্জের সময় হার্বাল টি খেতে পারেন। মাঝে মাঝে ৩-৪টে তুলসীপাতা চিবিয়ে খান। আদা, তেজপাতা, দারুচিনি, লবঙ্গ গরম জলে ফুটিয়ে নিয়ে অল্প মধু দিয়ে সেই পানীয় (কারা) খেতে পারেন। এর প্রভাবে ঠান্ডা লাগবে না। সর্দি-কাশি কমে যাবে।
ভিটামিন ডি-
শরীরে এই ভিটামিনের ঘাটতি হলে শ্বাসকষ্টের সমস্যা বাড়তে পারে। তাই ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি হতে দেওয়া চলবে না।