পুজোর আগেই প্রকৃতির খাঁড়া নেমে এসেছে গোটা বঙ্গ জুড়েই। টানা বর্ষণের জেরে ফুঁসছে তিস্তা। অসংখ্য জায়গায় নেমে এসেছে ভূমি ধস। এই নিয়ে এই বছরে দ্বিতীয়বার ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখোমুখি উত্তরবঙ্গ। তাও আবার পুজোর মুখে । এদিকে পুজোর ছুটিতে অনেক বাঙালিরই ডেরা হয়ে ওঠে উত্তরবঙ্গ তথা সিকিম। এই অবস্থায় কী করবেন? চিন্তায় রয়েছেন অনেকেই।
এদিকে বিচ্ছিন্ন সিকিমের লাইফলাইন এন এইচ ১০। বন্ধ তিস্তা বাজার থেকে কালিম্পং অবধি রাস্তাও। ধসের কবলে সিকিমের মঙ্গন, চুংথাং এলাকা। ক্ষতি হয়েছে দার্জিলিঙের বিজনবাড়ি এলাকাতেও। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী এখনই বিপর্যয়ের মেঘ কাটছেনা। বরং মহালয়া থেকে লক্ষ্মীপুজো অবধি রয়েছে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস।
এই অবস্থায় মাথায় হাত অনেকেরই। চার মাস আগে থেকে কেটে রাখা রয়েছে ট্রেনের টিকিট। পুজো মানেই ব্যস্ত সময়। ঘুরতে গিয়ে যাতে বিপদে পড়তে না হয়, সেই কারণে হোটেল বুকিং করে রেখেছেন অনেকেই। কিন্তু এই দুর্যোগের আবহে তো আর ঘুরতে যাওয়া সম্ভব নয়। যতই হোক নিরাপত্তা সবার আগে।
তবে উত্তর সিকিম ক্ষতির কবলে পড়লেও ঘুরে আসতে পারেন সিকিমের অন্য অংশে। বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন দ্রুততার সঙ্গে এন এইচ ১০ মেরামত করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তবে কবে খোলা সম্ভব হবে তা এক্ষুনি বলা যাচ্ছে না। কিন্তু ঘুরপথে সিকিম যাওয়ার রাস্তা খোলা রয়েছে। লাভা হয়ে গ্যাংটকে পৌঁছতে পারবেন পর্যটকেরা।
সতর্কতা জারি করা হয়েছে টাকিমারি, মালবাজার, এবং জলপাইগুড়ি পুরসভার এক অংশেও। বৃষ্টির জেরে জলের স্রোত বেড়েছে ডুয়ার্সের নদী, পাহাড়ি ঝর্ণাগুলিতেও। তাই যে কোনও সময় হড়পা বানের আশঙ্ক আছে। ফলে পুজোর সময় ডুয়ার্স যাওয়ার প্ল্যান থাকলে তাও এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। কালিম্পং, দার্জিলিঙের চিত্রেতেও রয়েছে সতর্কতা। তাই এই সব জায়গায় বুকিং থাকলেও, তা বাতিল করে দেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। বিপর্যয়ের আবহে উত্তরবঙ্গে বেড়াতে গিয়ে ক’দিন আগেই তুমুল বিপদে পড়তে হয়েছিল একঝাঁক পর্যটককে। তাই প্রাণ হাতে নিয়ে ঘুরতে না চাইলে এই বছর পুজোয় উত্তরবঙ্গে না যাওয়াই ভাল।