চৈত্র মাসেই গরমে যা হাঁসফাঁস অবস্থা, বৈশাখ-জৈষ্ঠ্যে পরিস্থিতি কতটা ভয়ঙ্কর হতে চলেছে তা ভেবেই আতঙ্কে রয়েছেন সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে যাঁদের বিভিন্ন কাজের সূত্রে প্রতিদিন বাড়ি থেকে বেরোতে হয়, তাঁদের অবস্থায় সবচেয়ে খারাপ হয়। সারাদিনের পর বাড়ি ফিরে পরিশ্রম-ক্লান্তি আর গরমে ঘেমেনেয়ে শরীরে আর কিছুই থাকে না। আর ঠিক তখনই মনে হতে পারে, যদি ঠাণ্ডা শরবত পাওয়া যেত!
এই গরমে শরীরে ঠাণ্ডা রাখতে দইয়ের শরবত খান। সিরাপ মেশানো শরবতের তুলনায় দইয়ের শরবত বা ঘোল কিংবা ছাস শরীরে জন্য অনেকাংশ উপকারী। পেটও ভরিয়ে রাখে অনেকক্ষণ। ফলে ফলে ঘনঘন খিদে পায় না। বাড়িতেই বানিয়ে নেওয়া যায় এইসব ছাস। দেখে নিন, এই গরমে কী কী ছাস খেলে আপনার শরীর থাকবে একদম ফিট।
১। মশলা ছাস- টকদইয়ের সঙ্গে সামান্য লঙ্কাগুঁড়ো, ভাজা জিরে গুঁড়ো, গোলমরিচ, বিটনুন এবং পছন্দের হার্বস পুদিনা বা এ জাতীয় কিছু মিশিয়ে ভাল করে মিক্সিতে মিশিয়ে নিন। যেকোনও ভারী খাবারের পর এই মশলা ছাস খেলে হজম হয়ে যায়। আপনি এমনিও খেতে পারেন মশলা ছাস। অনেকক্ষণ পেট ভরা থাকে এই ছাস খেলে এবং শরীরও ভিতর থেকে ঠাণ্ডা হয়।
২। স্মোকড ছাস- এক্ষেত্রে প্রথমে মশলা ছাস বানিয়ে নিন। তারপর যে পাত্রে ছাস রেখেছেন সেখানে একটা ছোট বাটি বসান। তার মধ্যে দিন কয়লার টুকরো, সামান্য ঘি আর জিরে। ধোঁয়া বেরোতে শুরু করলে অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল দিয়ে ঢেকে দিন। দু-তিন মিনিট পর ফয়েল সরিয়ে ওই বাটি বের করে আনুন। তাহলেই তৈরি আপনার স্মোকড ছাস।
৩। নীর মোর- দক্ষিণ ভারতের জনপ্রিয় পানীয় এই নীর মোর। এক্ষেত্রে দইয়ের সঙ্গে মশলা মেশানোর সময় কাঠের লাঠি ব্যবহার করা হয়। টক দইয়ের সঙ্গে পছন্দের মশলা গুঁড়ো ছাড়াও মেশান হয় আদার রস। অন্ধ্রপ্রদেশে একে বলে মাজ্জিগা। আর কর্নাটকে এই শরবতের নাম নীর মাজিগে।
৪। শসার ছাস- টকদই ছাড়া আর একটা জিনিস গরমে আমাদের শরীর ঠাণ্ডা রাখে। সেটা হল শসা। টক দইয়ের সঙ্গে শসা মিশিয়েও ছাস বানানো যায়। এটা অনেকটা রায়তার মতোই খেতে হয়। শসা ঘষে নিতে হবে প্রথমে। তারপর জল ঝরিয়ে মিশিয়ে দিন টক দইয়ের সঙ্গে। তারপর দিন পছন্দের মশলা গুঁড়ো।
৫। রসুন আর ধনে মিশিয়েও ছাস বানাতে পারেন আপনি। সাধারণ মশলা ছাসের মধ্যে রসুন আর ধনে ভাল করে বেটে মিশিয়ে নিতে হবে। তাহলেই তৈরি হবে টক-ঝাল-মিষ্টি স্বাদের এই ছাস।