পরশু লক্ষ্মীপুজো। সুতরাং আগামীকালই সেরে নিতে হবে পুজোর সব বাজার দোকান। লক্ষ্মীপুজো মানেই নারকেল নাড়ু, কদমা, মোয়া। আর ভোগে থালা ভরা খিচুরি সঙ্গে লাবড়া।
ভোগের খিচুরি আর লাবড়ার মাহাত্ম্যই আলাদা। অনেকেই বলেন ভোগের খিচুরির যা স্বাদ হয় তা অন্য সময় যতই চেষ্টা করুন না কেন পাওয়া যায় না। তার সঙ্গে লাবড়া না থাকলেই নয়। একেক বাড়িতে একেক রকম ভাবে লাবড়া বানানোর চল রয়েছে। তাতে যে যার পছন্দ মতো সব্জিও দেন। কিন্তু কখনও এই বিশেষ পদ্ধতিতে লাবড়া রান্না করে দেখেছেন? অতিথিরা আঙুল চেটে খাবে। কী ভাবে রান্না করবেন। রইল সবিস্তার প্রণালী।
প্রথমে সব সব্জি ডুমো ডুমো করে কেটে নিন। তাতে নিজের পছন্দ সব্জি রাখুন। ফুলকপি, বরবটি, বাঁধাকপি, নিজের পছন্দ মতো একটি পালং বা পুঁই শাক, আলু বা অন্য যে সব্জি পছন্দ।
এ বার বরবটি জলে ভাপিয়ে নিন। তারপর একটি বড় কড়াইয়ে সর্ষের তেল খুব ভাল করে গরম নিন। তেল গরম হলে গ্যাসের আঁচ কমিয়ে দিন। এবার ওই গরম তেলে পাঁচ ফোড়ন, তেজপাতা, শুকনো লঙ্কা ফোড়ন দিয়ে দিন।
ফোড়ন যেন পুড়ে না যায় খেয়াল রাখবেন। এ বার একে একে সব সব্জি লাল করে ভেজে নিন। ভাজা হয়ে গেলে তার মধ্যে পরিমাণ মতো আদা বাটা, হলুদ, নুন, চিনি, টমেটো দিয়ে ভাল করে কষিয়ে নিন।
মশলার কাঁচা গন্ধ চলে গেলে শাক দিয়ে কড়াই ঢেকে দিন। সব্জি ভাল ভাবে সেদ্ধ হয়ে এলে শেষে নারকেল কোরা, ঘি আর ভাজা মশলা ছড়িয়ে ভাল করে নাড়াচাড়া করে গ্যাসের আঁচ বন্ধ করে দিন। কিছুক্ষণ চাপা দিয়ে রেখে তারপর নামিয়ে নিন। ব্যস তৈরি আপনার লক্ষ্মীপুজোর ভোগের লাবড়া। সব্জি আপনার পছন্দ মতো দিতেই পারেন তবে মনে রাখবেন লাবড়ার আসল স্বাদ কিন্তু লুকিয়ে আছে পালং শাক, আর শেষের ৩ মশলাতেই। তাই এই ৪ উপকরণ দিতে ভুলবেন না। তবে একান্ত বাজারে পালং শাক পাওয়া না গেলে পুঁই শাক দিয়েই রান্না করতে পারেন।