বাঙালির পুজো মানেই জমিয়ে খাওয়াদাওয়া। লুচি-মাংস, পোলাও, বিরিয়ানি।, রোল, চাউমিন, কন্টিনেনটাল কী নেই সেই তালিকায়। পাঁচ দিন ধরে বাইরের খাবার খেয়ে পেটের হাল তো বেহাল। এদিকে রোজ বিজয়ার প্রণাম জানাতে বাড়িতে অতিথিদের আনাগোনা লেগেই আছে। তাছাড়া উৎসবের মরসুমে ডায়েট খাবার আর সেদ্ধ খাবার খেতে ভাল লাগে না। তাহলে উপায়? পুজোয় জমা হওয়া অতিরিক্ত ক্যালোরি ঝরাবেন কী ভাবে? রইল তেমনই ৫ রেসিপি!
১। মুরগী বা পনীর টিক্কা – বাজার চলতি টিকিয়া এড়িয়ে বাড়িতেবানিয়ে নিন হেলদি স্ন্যাকস। হাড় ছাড়া চিকেন কিংবা পনির টুকরো করে একটি পাত্রে জল ঝরানো টক দই, ছাতু, সর্ষের তেল, আদা-রসুন বাটা, নুন, হলুদ গুঁড়ো, লঙ্কা গুঁড়ো, গোলমরিচ, চাটমশলা দিয়ে দুই থেকে তিন ঘণ্টা মাখিয়ে ম্যারিনেট করে রাখুন। তার পর তাওয়া ভাল করে গরম করে অল্প তেল কিংবা মাখনে আঁচ কমিয়ে সেঁকে নিলেই তৈরি দারুণ সুস্বাদু টিক্কা।
২। রাঙা আলুর চাট – স্বাদ ও পুষ্টি, দুই-ই মিলবে এই খাবারে। রাঙা আলু সেদ্ধ করে টুকরো টুকরো করে কেটে সামান্য সাদা তেল মাখিয়ে এয়ার ফ্রায়ারে লাল করে ভেজে নিন। তার পর একটি পাত্রে ভাজা রাঙা আলু নিয়ে স্বাদ মতো নুন, চাট মশলা, গোলমরিচ, ধনেপাতা ছড়িয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন। টিফিনেও নিয়ে যেতে পারেন এই খাবার।
৩। মাখানা চাট – সামান্য ঘি নিয়ে তাতে মাখানা কড়া করে ভেজে চাটমশলা, গোলমরিচ, লঙ্কারগুঁড়ো ভাল করে মিশিয়ে মাখানা খেতেই পারেন। সন্ধ্যার চায়ের সঙ্গে এ রকম স্ন্যাকস বেশ ভালই জমবে।
৪। ওটসের কাটলেট – ওটস অল্প জলে ভিজিয়ে সেই মিশ্রণ মিক্সিতে ভাল করে বেটে নিন। এবার তাতে পেঁয়াজ, কাঁচালঙ্কা, ধনেপাতা, টমেটো ও সব ধরনের মশলা দিয়ে টিক্কির আকারে গড়ে নিন। অল্প তেল মাখিয়ে এয়ার ফ্রায়ারে সেঁকে নিলেই তৈরি সুস্বাদু স্বাস্থ্যকর জলখাবার।
৫। কর্ন চাট – ভুট্টার দানা ছাড়িয়ে সামান্য নুন দিয়ে সিদ্ধ করে নিন। আবার একটি পাত্রে সিদ্ধ ভুট্টা, সামান্য মাখন, স্বাদমতো নুন, লঙ্কাগুঁড়ো, চাটমশলা, গোলমরিচ আর লেবুর রস দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে কর্ন চাট।