AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Relationship tips with in laws: বিয়ের পরও ছেলেকে বড্ড বেশি আগলে রাখেন শাশুড়ি, কতটা খর্ব স্ত্রীয়ের অধিকার?

Relationship Tips: ছেলে-বৌমাকে স্পেস দিন। ওদের সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ ভাবে ওদের উপরেই ছেড়ে দিন। সেখানে আপনি নাক গলাবেন না

Relationship tips with in laws: বিয়ের পরও ছেলেকে বড্ড বেশি আগলে রাখেন শাশুড়ি, কতটা খর্ব স্ত্রীয়ের অধিকার?
ছেলে-বৌমার সম্পর্কে নাক গলাবেন না
| Edited By: | Updated on: Jun 09, 2022 | 8:23 PM
Share

‘শাশুড়ির সঙ্গে প্রথম থেকেই সম্পর্কটা যে তিক্ততার ছিল এরকমটা নয়। আমার আর সৌভিকের আলাপ ১০ বছরের। কলেজ থেকেই আমাদের প্রেম। বিয়ের আগে থেকেই আমার যাতায়াত ছিল ওদের বাড়িতে। বিয়ের পর প্রথম পাঁচ বছর সব স্বাভাবিক ছিল। একসঙ্গে রান্না-খাওয়া, ঘুরতে যাওয়া। আমি আর শাশুড়ি মা একসঙ্গে শপিং করতে যেতাম, সিনেমা দেখতে যেতাম। আমার অফিস, কাজ নিয়ে কোনওদিন কোনও রকম প্রশ্ন তোলেননি তিনি। উইকএন্ডে আমি রান্না করে ওঁদের খাওয়াতাম। সবাইকে আমি বলতাম- ‘I Am Happily Married’। শেষ ছ’মাস আমার আর স্বামীর মধ্যে প্রচণ্ড ঝামেলা। কারণ শাশুড়ি। আমাকে না জানিয়েই শাশুড়ি আমার স্বামীর জন্য আলাদা করে টিফিন বানিয়ে দিতেন অফিসের জন্য। নিজেই পছন্দ করে ছেলের জামাকাপড়  কিনে আনছেন। আমাদের প্রতি বিষয়ে নাক গলাচ্ছেন। নিজেদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোনও সুযোগ নেই। এভাবে আর মানিয়ে চলা সম্ভব হচ্ছে না’- কাউন্সেলরের কাছে একদমে পুরো কথাটা বলে থামল বর্ণা। তবে শুধুমাত্র বর্ণাই নয়, এমন সমস্যা নিয়ে আরও অনেক মহিলা রোজ আসেন তাঁর কাছে। শুনতে খুব ক্লিশে লাগলেও সব পরিবারের অন্দরেই লুকিয়ে রয়েছে এমন গল্প। খুব কম ক্ষেত্রেই শাশুড়িরা ‘মা’ হয়ে উঠতে পারেন এবং বৌমারা ‘মেয়ে’।

নিজের সন্তানকে আগলে রাখার প্রবণতা থাকে সব মায়ের মধ্যেই। সকলেই চান তাঁর ছেলে বা মেয়েকে নিজের হাতে রান্না করে খাওয়াতে। ছেলের পছন্দের রান্না মা-ই করবেন, বৌমা নয়। ছেলের পছন্দের কাজ কে আগে করবে তা নিয়ে যেন একটা অদৃশ্য প্রতিযোগিতা চলতে থাকে। বেশিরভাগ মা-ই ভাবেন বিয়ের পর ছেলে বুঝি পর হয়ে গেল। আর আগের মত সময় দেবে না। কিন্তু সন্তানের ক্ষেত্রে মা অথবা স্ত্রী-  যে কোনও একজনকে বেছে নেওয়াটা খুব কঠিন। বাস্তবে তা সম্ভবও হয় না। পক্ষপাতিত্ব করে কেউ হেরে বা জিতে যেতে পারেন না। তাই বউমার সঙ্গে হেরে গিয়েছেন বলে সেদিন ছেলের পছন্দের রান্না করে মনজয় করার চেষ্টা একরকম বোকামো। এতে বৌমার সঙ্গে সম্পর্কে তিক্ততা বাড়ে। তাই বউমা আর শাশুড়ির সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার জন্য কিছু প্রয়োজনীয় টিপস দিচ্ছেন কাউন্সেলর।

জীবনে সব কিছুরই নির্দিষ্ট একটা পর্যায় থাকে। মা-এর গুরুত্ব যে সবচেয়ে বেশি কিংবা সন্তানের উপরে মায়ের অধিকার যে সবচেয়ে বেশি এবিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। মনে রাখবেন বৌমাও আপনার সন্তানসম, আর তাই ছেলের সঙ্গে বৌমার ফারাক করবেন না। দুজনকেই সমান চোখে দেখুন।

খুব ছোট-খাটো বিষয় নিয়ে অশান্তি নয়। বৌমার সঙ্গে মনোমালিন্য হলে বা কিছু বলার থাকলে তা নিজেদের মধ্যেই মিটিয়ে ফেলুন, তার মধ্যে ছেলেকে টানবেন না।

ছেলে-বৌমাকে স্পেস দিন। ওদের সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ ভাবে ওদের উপরেই ছেড়ে দিন। সেখানে আপনি নাক গলাবেন না। পরামর্শ চাইলে তা দিতে পারেন। কিন্তু কেন আপনার কথামতো চলছে না বা ভাবছে না তা নিয়ে অযথা জলঘোলা করবেন না। এতে নিজেরই মানসিক অশান্তি বাড়বে।