পুজোর ছুটির জন্য সারা বছর অপেক্ষা করে থাকে বাঙালি। শুধু ঠাকুর দেখা, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা বা প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য নয়। কেউ কেউ এই পুজোর ছুটিতেই পরিবার বা বন্ধুদের সঙ্গে বেড়িয়ে পড়েন ঘুরতে। শহরের ভিড় এড়িয়ে প্রকৃতির কাছাকাছি সময় কাটাতে চায়। আবার এমনও অনেকে রয়েছেন, যাঁরা পুজো ঘ্রাণ সঙ্গে নিয়ে তীর্থক্ষেত্রে বেড়াতে যেতে পছন্দ করেন। যাতে বাড়ি থেকে দূরে থাকলেও মা দুর্গার কাছাকাছি থাকতে পারবেন। পুজোর ছুটিতে কোন-কোন তীর্থক্ষেত্রে আপনি বেড়াতে যেতে পারবেন, তেমনই ৪টি জায়গার খোঁজ রইল।
হরিদ্বার: হরিদ্বার ভারতের সবচেয়ে জনপ্রিয় তীর্থক্ষেত্র। গঙ্গার তীরে গড়ে উঠেছে শৈলশহর। জনপ্রিয় হর-কি-পৌরি ঘাটে বসে সন্ধ্যা আরতি দেখতে পারেন। আবার সকালে এই ঘাটেই স্নান করতে পারেন। হরিদ্বার শহর জুড়ে বিভিন্ন মন্দির ও আশ্রম রয়েছে। সেগুলো ঘুরতে দেখা যায়। এছাড়া ঘুরতে দেখতে পারেন ঋষিকেশ, লক্ষ্মণঝুলা, রামঝুলা, মনসা পাহাড়। তীর্থক্ষেত্র ঘুরে দেখার পাশাপাশি অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসেরও সুযোগ রয়েছে এখানে। ঋষিকেশে রিভার রাফটিং, বাঞ্জি জাম্পিংয়ের সুযোগ রয়েছে।
কেদারনাথ: প্রতি বছর প্রাকৃতিক রোষের মুখে পড়ে উত্তরাখণ্ডের তীর্থক্ষেত্রেগুলো। তবু প্রতি বছর গড়ে ২ লক্ষ মানুষ ভিড় করেন এসব জায়গা। তীর্থক্ষেত্রে ট্রেক করতে চাইলে যেতে পারেন কেদারনাথ। যোশীমঠ থেকে বদ্রীনাথ হয়ে পৌঁছাতে হবে কেদারনাথ। ভারতের চার ধাম যাত্রার মধ্যে একটি হল কেদারনাথ। তবে, দুর্গাপুজোর সময় এখানে তাপমাত্রা বেশ কমে যায়। তাই সঙ্গে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রাখা দরকার।
বৈষ্ণব দেবীর মন্দির: পুজোর সময় কাশ্মীর যাচ্ছেন? কাটরা থেকে যেতে পারেন বৈষ্ণব দেবী দর্শন করতে। ৫২০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত বৈষ্ণব দেবীর মন্দির পৌঁছাতে হয় পায়ে হেঁটে। ঘোড়ার পিঠে চেপেও ওঠা যায়। অক্টোবর হল বৈষ্ণব দেবী মন্দির যাওয়ার সেরা সময়। এই সময় আবহাওয়া মনোরম থাকে। তাই হাঁটতে খুব বেশি কষ্ট হয় না।
বেনারস: উচ্চতায় যদি সমস্যা হয়, তাহলে যেতে পারেন বেনারস। এই শহরও গড়ে উঠেছে গঙ্গার তীরে। বেনারসের প্রতিটা অলি-গলিতে রয়েছে মন্দির। বিভিন্ন জায়গায় ধুমধাম করে পালিত হয় দুর্গাপুজো। এছাড়া বেনারসের ঘাটে বসে সন্ধ্যা আরতিও দেখতে পারেন। এমনকী যেতে পারেন নৌকাবিহারেও।