বেড়াতে গেলে যে হাতে দু’দিনের ছুটি লাগবেই, এমন নয়। এমনকী ট্রেনে বা বিমানে চেপেই যে বেড়াতে যেতে হবে, এমন কোনও মানে নেই। একবেলা ছুটি থাকলেও আপনি বেড়িয়ে পড়তে পারেন সড়কপথে। সঙ্গী হতে পারে আপনার দু’চাকা বা চার চাকা। প্রকৃতিকে সাক্ষী করে সপ্তাহান্তে লং ড্রাইভ যেতে পারেন। অনেকের কাছেই এই লং ড্রাইভ খুবই রোম্যান্টিক ব্যাপার। কিন্তু শহরের ভিড় ঢেলে গাড়ি নিয়ে বেরোনো একটু চাপের হয়। তবে, কলকাতা থেকেই আপনি বেশ কিছু জায়গায় গাড়ি নিয়ে ঘুরতে যেতে পারেন। এমনই ৫টি জায়গার খোঁজ রইল আপনার জন্য।
কোলাঘাট: সপ্তাহান্তে সবচেয়ে ভিড় লক্ষ্য করা যায় কোলাঘাটের ধাবায়। এখানকার রেস্তোরাঁগুলোতে সপ্তাহান্তে, সন্ধেবেলা সবচেয়ে বেশি মানুষের যাতায়াত। কলকাতা ও কলকাতার আশেপাশের জায়গা থেকে বহু মানুষ শনি-রবিবারের বিকালে ভিড় জমায় কোলাঘাটে। রূপনারায়ণ নদীর তীরে গড়ে ওঠা কোলাঘাট কলকাতা থেকে মাত্র ৭৫ কিলোমিটারের রাস্তা। একবেলায় অনায়াসে লং ড্রাইভে যেতে পারেন এখানে।
দেউলটি: শীতকালে পিকনিকের জন্য অনেকেই দেউলটিকে বেছে নেন। রূপনারায়ণ নদীর তীরে অবস্থিত দেউলটি। দেউলটিতে বাড়ি রয়েছে লেখক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের। কলকাতা থেকে প্রায় ৬৪ কিলোমিটারের পথ দেউলটি। ১৬ নং জাতীয় সড়ক ধরে ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যেই পৌঁছে যেতে পারবেন এখানে। একদিন অনায়াসে ঘুরে নেওয়া যায় এই জায়গাটি। যদি এখানে রাত কাটাতে চান, সে সুযোগও রয়েছে। এই পর্যটন স্থানটিকে কেন্দ্র করে রিসর্টও গড়ে উঠেছে।
রায়চক: গঙ্গার ধারে প্রিয় মানুষের সঙ্গে একান্তে সময় কাটাতে অনেকেই বেছে নেন রায়চকের রিসর্টগুলোকে। কিন্তু আপনি যদি লং ড্রাইভে যেতে চান, সে সুযোগও রয়েছে এখানে। কলকাতা থেকে মাত্র ৫২ কিলোমিটারের রাস্তা রায়চক। ১২ নং জাতীয় সড়ক ধরে রায়চক পৌঁছাতে প্রায় আড়াই ঘণ্টা সময় লাগবে। এখানকার প্রাচীন রেডিসন দুর্গের ধ্বংসাবশেষ পাঁচতারা হোটেলে পরিণত হয়েছে। এখানে চাইলে লাঞ্চ, ডিনারও সারতে পারেন।
গাদিয়াড়া: প্রায় তিন দশক ধরে পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় এই পর্যটন কেন্দ্র। রূপনারায়ণ, ভাগীরথী এবং হুগলি নদীর সঙ্গমস্থলে অবস্থিত গাদিয়াড়া। কলকাতা থেকে মাত্র ৯০ কিলোমিটারের পথ গাদিয়াড়া। গাদিয়াড়ার পশ্চিমদিকে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের গেঁওখালি, দক্ষিণ দিকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নূরপুর ও রায়চক। বিকালে গাড়ি নিয়ে ঘুরতে যেতে পারেন গাদিয়াড়াতেও।
ফলতা: কলকাতা থেকে মাত্র ৫০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত ফলতা। এই পর্যটন কেন্দ্রে পৌঁছাতে গেলেও আপনাকে ১২ নং জাতীয় সড়ক ধরতে হবে। সময় লাগবে প্রায় ২ ঘণ্টা। ফলতা মূলত ব্রিটিশ ও ডাচ কলোনি। তাই ইতিহাস জড়িয়ে রয়েছে এই শহরের সঙ্গে। এখানে গিয়ে ঘুরে দেখতে পারেন ফলতা ফোর্ট।