বিরল একশৃঙ্গ গণ্ডারকে দ্য় গ্রেট ইন্ডিয়ান রাইনো বলা হয়। এই প্রজাতির গণ্ডার অত্য়ন্ত বিরল ও দুর্লভ প্রজাতির। ভারতীয় উপমহাদেশেতেই এই বিলুপ্তপ্রায় গণ্ডার দেখা যায়। এই গণ্ডারের সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ আবাসস্থল হল উত্তর বারতের গাঙ্গেয় সমভূমি ও নেপালের দক্ষিণ অংশ। ২০১৫ সালে একটি সমীক্ষা চালিয়ে জানা গিয়েছে, প্রায় ২৫০০ এই প্রজাতির গণ্ডার ভারতে রয়েছে, যা দেশের বন্য জঙ্গলে স্থায়ীভাবে বসবাস করে। তরাইয়ের তৃণভূমি ও ব্রহ্মপুত্র নদের অববাহিকায় দেশের উত্তর-পূর্ব অংশে এই গণ্ডারের সংখ্য়া সবচেয়ে বেশি।
দেশে এমন কয়েকটি জায়গা আছে, যেখানে এই বিপন্ন প্রজাতির গণ্ডারগুলিতে দেখতে পাবেন।
দুধওয়া জাতীয় উদ্যান- উত্তরপ্রদেশের তলাই এলাকায় অবস্থিত দুধওয়া ন্যাশানাল পার্কে বিপুল সংখ্যক বিপন্ন প্রজাতি গণ্ডারের বসবাস রয়েছে। বারাসিংহা, হিস্পিড হ্রে ও ভারতীয় গণ্ডারই এখানে দেখা যায়। জাতীয় উদ্যানটি পুনরায় প্রবর্তনের পর সেখানে এখনও পর্যন্ত ২১টি গণ্ডার রয়েছে। কিশানপুর বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য, কাটামিয়াঘাট বন্য়প্রাণী অভয়ারণ্য-সহ দুধওয়া টাইগার রিজার্ভেও বেশ কয়েকটি গণ্ডার রয়েছে।
মানস ন্যাশানাল পার্ক- এই উদ্যানে বিরল ও বিপন্ন প্রজাতীরি বণ্যপ্রাণীর বাস। এই অভয়ারণ্যে ভারতীয় হাতি, গৌড়, এশিয়ান জল মহিষ ও ভারতীয় গণ্ডার রয়েছে। পার্কটিতে বন্য মহিষের বিশাল জনসংখ্যা রয়েছে । দেশের বিপন্ন বাংলার ফ্লোরিকানের জন্য সুপরিচিত।
ওরাং জাতীয় উদ্যান
ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে অবস্থিত ওরাং জাতীয় উদ্যান মিনিট কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যান নামেও পরিচিত। এই পার্কে প্রচুর বৈচিত্র্যময় উদ্ভিদ ও প্রাণীর আবাসস্থল হিসেবে জানা যায়। একশৃঙ্গ গণ্ডারই নয়, রয়েছে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার, পিগমি হগ ও আরও প্রাণী।
কাজিরাঙ্গা জাতীয় উদ্যান
কাজিরাঙা ন্যাশানাল পার্কে পূর্ণবয়স্ক ভারতীয় গণ্ডারের সবচেয়ে বড় জনসংখ্যার বাসস্থান। দেশে বাঘের সংখ্যার থেকেও বেশি। ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটে বিশ্বের একশৃঙ্গ গণ্ডারে দুই-তৃতীয়াংশই এখানে রয়েছে। পার্কটিতে এভিয়ান প্রজাতি, হাতি, গৌড়,বন্য বিড়াল, সাপের একটি বিশাল সংখ্যা এখানে রয়েছে।
পবিতোরা বন্যপ্রাণী অভয়রাণ্য
গুয়াহাটি থেকে ৩০ কিমি পূর্বে এই অভয়ারণ্যটি অবস্থিত। একশৃঙ্গ গণ্ডারও এখানে দেখা যায়। পাশাপাশি ২০০০-এর মতো পরিযায়ী পাথি ও বিভিন্ন প্রজাতির সরীসৃপ দেখা যায়।
আরও পড়ুন: Travel News: Mussoorie: এবার শুধুমাত্র উইকেন্ডেই যাওয়া যাবে মুসৌরি, জানিয়ে দিল উত্তরাখণ্ডের সরকার!