চরম আবহাওয়া খারাপের কারণে সাময়িকভাবে স্থগিত ছিল অমরনাথ যাত্রা (Amarnath Yatra)। ফের খুলে দেওয়া হল অমরনাথ যাত্রার পহেলগাঁও (Pahelgam Route) ও বালতাল রুট (Baltaal Route)। ফলে যাত্রার পথ মসৃণ হয়ে উঠেছে পর্যটকদের কাছে। আবহাওয়ার কারণে অমরনাথ যাত্রায় বালতাল ও পহেলগাঁও, উভয় শিবির থেকে কোনও তীর্থযাত্রীকে পবিত্র গুহার দিকে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভারী বৃষ্টির কারণে কর্তৃপক্ষ যাত্রা স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেন। তবে দুর্যোগ কাটতেই ফের যাত্রাপথ খুলে দেওয়া হওয়ায় তীর্থযাত্রীরা বেজায় খুশি।
পরিস্থিতি উন্নতি হতেই জম্মু ও অমরনাথ তীর্থযাত্রীদের ফের অমরনাথ গুহার দিকে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কাশ্মীর উপত্যকার এই পবিত্র স্থানে বেশ কয়েকদিন আগেই প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটে গিয়েছে। প্রাণ হারিয়েছিলেন বেশ কয়েকজন তীর্থযাত্রী। অন্য়দিকে, জম্মু ও শ্রীনগরের জাতীয় সড়কও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। বামবান জেলায় কাদা ধস ও পাথর ভেঙে পড়ার কারণে রুদ্ধ হয়ে গিয়েছিল এই রুট। তবে পরিস্থিতি সামলে ফের সব রুট খুলে দেওয়া গিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে. অমরনাথ যাত্রায় ঐতিহ্যবাহী পহেলগাঁও রুট থেকে আবার যাত্রা শুরু করা হয়েছে। তবে এখনও বালতাল রুট স্থগিত করা হয়েছে। একই সঙ্গে তীর্থযাত্রীদের ফের ধাপে ধাপে যাত্রার জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে ট্র্রাফিক অ্যাডভাইজারি থেকে বলা হয়েছে জম্মু- শ্রীনগর সড়কটিতে সিঙ্গল রুট খোলা হয়েছে। মাঝেমধ্যেই ধস ও পাথ ভেঙে পড়ার ঘটনা ঘটছে। ফলে যাত্রীদের সুরক্ষার কথা ভেবে যানবাহন চলাচলে রাশ টানা হয়েছে।
আপাতত ৫৯৭ জন তীর্থযাত্রীকে বাবা অমরনাথ দর্শনের জন্য বেস ক্যাম্প যাত্রী নিবাস ভগবতী নগর থেকে পহেলগাঁও ও বালতালের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। শেষ ব্যাচে ৪৬৭ জন পুরুষ ৮১ জন মহিলা, ২ শিশু ও ৪৭জন সাধু ৩০টি গাড়িতে চেপে যাত্রা শুরু করেছেন। রবিবার সকাল থেকেই বৃষ্টি শুরু হওয়ায় প্রায় ১০টা পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয় রুট। বৃষ্টি থেমে গেলে ফের যাত্রীরা যাত্রা শুরু করেন।
প্রসঙ্গত ৩০ জন থেকে শুরু হয়েছে অমরনাথ যাত্রাষ আগামী ১১ অগস্ট রাখীবন্ধনের দিন সমাপ্তি হবে এই পবিত্র যাত্রা। যাত্রাকালীন গত ৮ জুলাই পবিত্র গুহার কাছেই মেঘ ভাঙা বৃষ্টি ও হরপা বানের জেরে প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটে। যার কারণে প্রায় ১৫ জনে মৃত্যু হয়। এই বছর হিসেব বলছে পবিত্র গুহায় ভোলেনাথকে দর্শন করেছেন প্রায় ২.৭৫ লক্ষ তীর্থযাত্রী।