Mukteshwar: নির্জনতার খোঁজে মুক্তেশ্বরে! হিমালয়ের সৌন্দর্য ফুটে ওঠে কুমায়নের এই ছোট্ট হ্যামলেটে
পাহাড়, ঝর্ণা, জঙ্গল- কোনও কিছুই বাদ নেই এই ছোট্ট শৈলশহরে। শান্ত, নিরিবিলি পরিবেশ। আর দূরে দাঁড়িয়ে তুষারাবৃত হিমালয়।
যখন নৈনিতালে মন ভরে যায়, তখন মন চায় খোলা প্রান্তর, সবুজ দিগন্তের মাঝে কিছুটা সময় নির্জনে কাটাতে। দেবভূমিতে যদিও এমন জায়গার অভাব নেই। তবে এই জায়গা জিম করবেটের। সুতরাং অ্যাডভেঞ্চারের সাক্ষী না হলে হয় বলুন তো! তাই পরের গন্তব্য মুক্তেশ্বর।
নৈনিতাল থেকে মাত্র ৪৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ছোট্ট শৈলশহর মুক্তেশ্বর। তবে একে গ্রাম বলাই বেশ যুক্তিসঙ্গত মনে হবে। ২,১৫০ মিটার উচ্চতায় কুমায়নের কোলে অবস্থিত ছোট্ট জনপদ। মুক্তেশ্বরের কোলে বসেই জিম করবেট রচনা করেছিলেন ‘ম্যান ইটারস অফ কুমায়ন’। সুতরাং বুঝতেই পারছেন এই মুক্তেশ্বর ছবির চাইতে কম কিছু নয়।
পাহাড়, ঝর্ণা, জঙ্গল- কোনও কিছুই বাদ নেই এই ছোট্ট শৈলশহরে। শান্ত, নিরিবিলি পরিবেশ। আর দূরে দাঁড়িয়ে তুষারাবৃত হিমালয়। আকাশ পরিষ্কার থাকলে এরই মাঝে ধরা দেয় নন্দাদেবী, চৌখাম্বা, নন্দাকোট ও গৌরী পর্বতের শৃঙ্গ। সূর্যের প্রথম আলোর ছটার সঙ্গেই দিন শুরু হয় মুক্তেশ্বরে। সেই হিসাবে মুক্তেশ্বর হল ছুটি কাটানোর জায়গা। প্রয়োজনে একদিনের জন্য নৈনিতাল থেকেই ঘুরে আসতে পারেন মুক্তেশ্বরে। এখানে দেখার জায়গায় হিসাবে রয়েছে মহাদেবের মন্দির এবং চাউলি কি জালি।
নৈনিতাল থেকে ৩ ঘণ্টার পথ মুক্তেশ্বরে শিবের মন্দির। পাহাড়ি নির্জনতার মাঝে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছে শিব মন্দিরটি। ছোটোখাটো কসরত করে পৌঁছতে হয় মন্দিরে। ৩৫০ বছরের পুরনো শিব মন্দির। স্থানীয়রা মনে করেন, এই মন্দির নাকি পাণ্ডবদের প্রতিষ্ঠা করা। পুরাণ যাই বলে থাকুক না কেন, এই মন্দিরের অবস্থান হিমালয়ের এক অন্য সৌন্দর্যের কথা জানান দেয়।
এরই কাছে রয়েছে চাউলি কি জালি। মন্দির থেকে জঙ্গলের পথ ধরে হেঁটে গেলেই পেয়ে যাবেন চাউলি কি জালি। নামটা শুনতে অদ্ভুত লাগলেও, এই জায়গা আপনার মন কাড়তে বাধ্য। আর আপনি যদি অ্যাডভেঞ্চার প্রেমী হন, তাহলে অবশ্যই ঘুরে আসবেন চাউলি কি জালি। মুক্তেশ্বর পাহাড়ের পশ্চিম অংশ শেষে হয়েছে তিন হাজার ফুট নিম্ন উপত্যকায়। সেই খাদের গায়েই রয়েছে একটা বিশাল ছেদ, যাকে হিন্দিতে বলে ‘জালি’। পাথর ক্ষয়ে ক্ষয়ে তৈরি হয়েছে ছেদ।
চাউলি কি জালি থেকে হিমালয়ের এক অন্য রূপ ধরা দেয়। এমন দৃশ্যের সাক্ষী না হয়ে থাকা যায়! তবে যদি দুপুরের সময় এখানে যান, সূর্যাস্ত না দেখে ফিরবেন না। হিমালয়ের পিছনে যখন সূর্য অস্ত যায়, তার সৌন্দর্যকে ক্যামেরা বন্দি করতে চাইলে সেরা গন্তব্য মক্তেশ্বরের চাউলি কি জালি।
মুক্তেশ্বর একটি ছোট জায়গা, খুব সহজেই পায়ে হেঁটে অন্বেষণ করা হয়। দেবদারু গাছে ঘেরা অরণ্য অন্বেষণ করতে পারেন। গ্রামের মধ্যে ফল এবং সবজির বাগানগুলি পরিদর্শন করতে পারেন। শহুরে জীবনযাত্রা থেকে মুক্তি পেতে একান্তে দু’দিন কাটিয়ে আসতে পারেন মুক্তেশ্বরে।
আগামিকাল- বিনসর
আরও পড়ুন: Nainital: জিম করবেটের নৈনিতাল! এখন কেমন সেই শৈলশহর?