উত্সবের মরসুমের (Festive Season) মধ্যেই মনখারাপ করা খবর। শীতের মুখেই এবার বন্ধ করার পালা। চলতি মাসের মধ্যেই বন্ধ হয়ে যাবে উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) বিখ্য়াত চারধাম মন্দিরের (Char Dham Temple) দরজাগুলি। কারণ অক্টোবর শেষেই তীব্র ঠান্ডায় এই চারধাম মন্দিরগুলিতে পুরু বরফ জমে তীর্থযাত্রীদের জন্য দুর্গম হয়ে যায়। ফলে বাধ্য হয়েই এই জনপ্রিয় ও বিখ্যাত মন্দিরগুলির দরজা সাধারণের জন্য বন্ধ করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়। জানা গিয়েছে, আগামী ২৬ অক্টোবর, বেলা ১২টা নাগাদ বন্ধ হয়ে যাবে গঙ্গোত্রী ধামের মন্দিরের দরজা। অন্যদিকে আগামী ২৭ অক্টোবর সকাল সাড়ে আটটায় বন্ধ হবে কেদারনাথ মন্দিরের দরজা। ওই দিনের বিকেলে অভিজিত্ মুহূর্তে বন্ধ করা হবে যমুনোত্রী ধামের মন্দিরের দরজা।
আগামী ১৯ অক্টোবর বিকেল ৩টে ৩৫ মিনিটে বন্ধ হয়ে যাবে বদ্রীনাথ ধামের দরজা। ভাইফোঁটার দিনই বন্ধ হবে কেদারনাথ মন্দিরের দরজা। তবে শীত পড়ার আগে, আগামী ১০ অক্টোবর থেকে আগামী ৬ মাসের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হবে হেমকুন্ড সাহিব ও লোকপাল তীর্থের দরজা। এছাড়া ১৮ নভেম্বর দ্বিতীয় কেদার মদমহেশ্বরের মন্দিরের দরজাও বন্ধ করে দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। এই উপলক্ষ্যে ২১ নভেম্বর থেকে উখিমঠে মদমহেশ্বরের মেলার আয়োজন করা হবে। এছাড়া তৃতীয় কেদার তুঙ্গনাথের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হবে আগামী ৭ নভেম্বর থেকে।
প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, অন্য়ান্য় বছরের চেয়ে এ বছর চারধামে ও অন্যান্য মন্দিরগুলিতে তীর্থযাত্রীদের ভিড় ছিল সবচেয়ে বেশি। চলতি বছরের এপ্রিল-মে মাসে তীর্থস্থানগুলির দরজা খোলার পর থেকেই এখনও পর্যন্ত বিপুল সংখ্যক তীর্থযাত্রীরা চারধাম পরিদর্শন করেছেন। জানা গিয়েছে, এবছর বদ্রীনাথ ধামে তীর্থযাত্রীর সংখ্যা হয়েছিল মোট ১৪ লক্ষ ৫৩ হাজার ৫৪৯জন। শুধু বদ্রীনাথেই নয়, কেদারনাথ, যমুনোত্রী, গঙ্গোত্রী ধামেও উপচে পড়া তীর্থযাত্রীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মত। মরসুমে কেদারনাথ মন্দিরে পূণ্যার্থীর সংখ্যা ছিল মোট ১৩,৩৯,৪৭৭ জন, যমুনোত্রীতে ৪,৫৮,৭০১জন, গঙ্গোত্রীধামে ৪,৮৩,০৯৬ জন। এছাড়াও উত্তরাখণ্ডের চারধাম পরিদর্শন করেছেন মোট ৩৮,৩৪,৮২৩জন তীর্থযাত্রী। হেমকুন্জ সাহিব পরিদর্শন করেছেন মোট ২.২৫ লক্ষ তীর্থযাত্রী।