Comeback In India: ৭০ বছর পর আবার ফিরছে চিতাবাঘ! কবে, কোথায় গেলে দেখতে পাবেন, জানুন

World' s Fastest Land Animal: সেই সুযোগ এবার শীঘ্রই আসতে চলেছে। আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর, মধ্যপ্রদেশের কুনো পালপুর জাতীয় উদ্যানে বেশ কয়েকটি চিতাকে আনা হবে বলে জানানো হয়েছে।

Comeback In India: ৭০ বছর পর আবার ফিরছে চিতাবাঘ! কবে, কোথায় গেলে দেখতে পাবেন, জানুন
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 13, 2022 | 9:03 AM

৭০ বছর পর অবশেষে অপেক্ষার অবসান হতে চলেছে। বিশ্বের দ্রুততম প্রাণীকে এবার ভারতের মাটিতেও দেখা যাবে। কালো ছোপ ছোপ-যুক্ত বনবিড়ালকে এরপর থেকে চোখের সামনেই দেখতে পাবেন ছোট থেকে বড়রা। কারণ সুদূর দক্ষিণ আফ্রিকার নামিবিয়া থেকে ভারতের মধ্যপ্রদেশের কেন্দ্রস্থলে চিতাবাঘকে স্থানান্তরিত করা হবে বলে জানা গিয়েছে। বহুদিন ধরেই দেশে চিতাবাঘ আনা হবে বলে চেষ্টা করা হচ্ছিল। সেই সুযোগ এবার শীঘ্রই আসতে চলেছে। আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর, মধ্যপ্রদেশের কুনো পালপুর জাতীয় উদ্যানে বেশ কয়েকটি চিতাকে আনা হবে বলে জানানো হয়েছে। রাজ্যের বনমন্ত্রী বিজয় শাহ জানিয়েছেন, এই দিন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্মদিনও পালিত হবে। সাত সমুদ্র পেরিয়ে যারা দেশের মাটিতে আসতে চলেছে, তাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থাও করা হয়েছে। আফ্রিকার জঙ্গল থেকে এখানে নিয়ে আসার পর তাদের পরীক্ষা করা হবে, রাখা হবে এক বিশেষ ব্যবস্থায়। নতুন পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে রাখার জন্য বেশ কয়েকদিন আলাদা করে রাখা হবে ও শারীরিক পরীক্ষার পর সংরক্ষিত অরণ্যে ছেড়ে দেওয়া হবে।

রাজ্যের মন্ত্রী জানিয়েছেন, নামিবিয়া থেকে আনা চিতাগুলি আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর কুনো পালপুরে আনা হবে। সংরক্ষিত বনাঞ্চলে স্থানান্তরিত করার আগে পৃথকীকরণ পর্বের সময় ছোট একটি সংরক্ষিত এলাকায় তাদের রাখা হবে।

সারা বিশ্বে শুধুমাত্র প্রায় সাত হাজারের মত চিতা রয়েছে। আন্তর্জাতিক ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অফ নেচারের অধীনে ঝুঁকিপূর্ণ প্রজাতির রেড লিস্টে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। গার্ডিয়ান রিপোর্ট বলছে, নামিবিয়াতে চিতার সংখ্যা বিশ্বের সবচেয়ে বেশি।

কেন্দ্রীয় পরিবেশ বিষয়ক মন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব এর আগেই টুইট করেছিলেন, স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষ উদযাপনের গৌরবময় বছর পূর্ণ করার পরই বিশ্বের দ্রুততম প্রজাতির প্রাণী চিতা পুনরুদ্ধার করে আনা হবে। এশিয়াটিক চিতা বিলুপ্তির কারণে হারিয়ে যাওয়া ভারতীয় তৃণভূমিতে পরিবেশগত কার্যকারিতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা ।

শাহ আরও জানিয়েছিলেন যে এই প্রকল্পটি পর্যটকদের উপস্থিতি বাড়াবে ও এই এলাকার মানুষের জন্য কর্মসংস্থানেরও সুযোগ বাড়িয়ে দেবে। এদিকে গোয়ালিয়রের এক বক্তৃতায় কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহনমন্ত্রী জ্য়োতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বলেছিলেন যে অন্য দেশে চিতাদের পুনঃপ্রবর্তন করা কোনও সহজ প্রকল্প নয়। চিতাকে পুনঃপ্রবর্তন শুধুমাত্র ভারতের জন্য নয়, সারা বিশ্বের জন্য একটি ঐতিহাসিক ঘটনা হতে চলেছে।

চিতা, বাঘ বা সিংহের স্থানান্তর করা সহজ কাজ একেবারেই নয়, কারণ পৃথিবীতে খুব কম প্রকল্পই সফল হয়েছে। কুনো পালপুর অভয়ারণ্যের জলবায়ু চিতার জন্য একেবারে উপযুক্ত বলে মন্তব্য করেছিলেন মন্ত্রী সিন্ধিয়া।

প্রসঙ্গত, ১৯৫২ সালে ভারত থেকে চিতা বিলুপ্তপ্রাণী হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ২০০৯ সাল থেকে ভারত-আফ্রিকান চিতা পরিচিতি প্রকল্প চালু হওয়ার পর থেকে গত কয়েক বছরে এই প্রকল্পে আরও গতি আনা হয়েছে।ফলে দেশের মাটিতে সাফারি করার সাক্ষাত হতে পারে বিশ্বের দ্রুততম প্রাণীর সঙ্গে।