AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Mukutmanipur: পরেশনাথ পাহাড়, কংসাবতীতে নৌকাবিহার আর সূর্যাস্ত—সব মিলিয়ে শীতে জমজমাট মুকুটমণিপুর

Bankura: বড়দিন, নতুন বছরে ভিড় উপচে পড়ে কংসাবতী জলাধারে। বিভিন্ন জেলা থেকে বহু মানুষ আসেন মুকুটমণিপুরে। পাশাপাশি স্থানীয় পর্যটকেরাও পিকনিক করতে আসেন কংসাবতীর তীরে। শীতের মিঠে রোদ গায়ে মেখে ‘রাঢ়বঙ্গের রানি’-এর সৌন্দর্য উপভোগ করেন সকলে।

Mukutmanipur: পরেশনাথ পাহাড়, কংসাবতীতে নৌকাবিহার আর সূর্যাস্ত—সব মিলিয়ে শীতে জমজমাট মুকুটমণিপুর
| Edited By: | Updated on: Dec 20, 2023 | 2:21 PM
Share

ক্রিসমাস, নতুন বছর আসতে চলেছে। বড়দিনের আবহে উত্তর থেকে দক্ষিণ চলছে বেড়াতে যাওয়ার তোরজোড়। একদিকে যেমন নিউ জলপাইগুড়িগামী ট্রেনের টিকিট সোল্ড আউট, অন্যদিকে পর্যটকদের জন্য সেজে উঠছে মুকুটমণিপুর। শীতকাল এলেই ভিড় বাড়ে বাঁকুড়া মুকুটমণিপুরে। এ বছর পর্যটকদের জন্য নতুন চমক রয়েছে মুকুটমণিপুরে। বড়দিনের ছুটিতে মুকুটমণিপুর গেলে কংসাবতীর তীরে বসে নয়, বরং মাঝ নদীতে দেখতে পাবেন সূর্যাস্ত। পর্যটকদের জন্য ‘মুকুটমণিপুর ডেভেলপমেন্ট অথরিটি’র তরফে চালু করা হয়েছে ‘বোট প্যাকেজ ট্যুর’। অর্থাৎ, নৌকাবিহারের সুযোগ রয়েছে কংসাবতী জলাধারে।

বড়দিন, নতুন বছরে ভিড় উপচে পড়ে কংসাবতী জলাধারে। বিভিন্ন জেলা থেকে বহু মানুষ আসেন মুকুটমণিপুরে। পাশাপাশি স্থানীয় পর্যটকেরাও পিকনিক করতে আসেন কংসাবতীর তীরে। শীতের মিঠে রোদ গায়ে মেখে ‘রাঢ়বঙ্গের রানি’-এর সৌন্দর্য উপভোগ করেন সকলে। এবার এই আনন্দকে দ্বিগুণ করে দেবে নৌকাবিহার।

প্রতিদিন দুপুর সাড়ে তিনটের সময় নৌকা ঘাট থেকে বোট ছাড়ছে। মুসাফিরানা, পরেশনাথ, বনপুকুরিয়া ডিয়ার পার্ক, কাঁসাই-কুমারীর মিলনস্থল ইত্যাদি ঘুরিয়ে দেখানো হচ্ছে। আবার বোট নৌকা ঘাটে ফিরছে বিকেল ৫টা নাগাদ। দু’ঘণ্টা নৌকা ভ্রমণের জন্য আপনাকে মাথাপিছু ৩০০ টাকা খরচ করতে হবে। একটা বোটে ১৫ থেকে ১৮ জন চাপতে পারবেন। এমন ৬০টিরও বেশি নৌকার ব্যবস্থা রয়েছে কংসাবতী জলাধার ঘুরিয়ে দেখানোর জন্য। মুকুটমণিপুরের তথ্য ও সহায়তা কেন্দ্র থেকে আপনি নৌকাবিহারের জন্য টিকিট বুক করতে পারবেন। আবার বাড়ি বসে ‘মুকুটমণিপুর ডেভেলপমেন্ট অথরিটি’র ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইনে বুক করতে পারবেন ‘বোট প্যাকেজ ট্যুর’ পরিষেবা।

কংসাবতী ও কুমারী নদী মিলিত হয়ে তৈরি হয়েছে কংসাবতী জলাধার। কংসাবতী জলাধার, পরেশনাথ পাহাড়, মুসাফিরানা ভিউ পয়েন্ট ও ডিয়ার পার্ক নিয়ে গড়ে উঠেছে মুকুটমণিপুর। প্রায় ১১ কিলোমিটার দীর্ঘ কংসাবতী বাঁধ। এটি ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম মাটির বাঁধ। একে ঘিরে রয়েছে ছোট্ট-ছোট্ট ঢিলা আর পাহাড়। এই জলাধারের পাড় ধরে হেঁটে গেলে পরেশনাথ পাহাড় পৌঁছে যাবেন। এখানে রয়েছে পরেশনাথ শিব মন্দির রয়েছে। জলাধারের পাশে, পাহাড়ের উপরে রয়েছে মুসাফিরানা ভিউ পয়েন্ট। এই ভিউ পয়েন্ট থেকে আপনি মুকুটমণিপুরের মনোরম দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন। এই ভ্রমণের আনন্দকে আরও দ্বিগুণ করে দেবে কংসাবতীতে নৌকাবিহার।