প্রতি বছরের মতো এবারেও ধুধাম করে পালিত হবে দেশের অন্যতম জনপ্রিয় ও প্রাচীন দশেরা উত্সব। কুল্লু দশেরা হল হিমাচল প্রদেশের এক বর্ণাঢ্য উত্সব। যেখানে বাসিন্দারা রঘুবীরের মূর্তি ও দেবদেবীদের নিয়ে এক বিশাল শোভাযাত্রার আয়োজন করেন। কুল্লু দশেরা শুধু দেশের মধ্যে আবদ্ধ নয়, এই উত্সব স্থান পেয়েছে আন্তর্জাতিক স্তরেও। হিমাচল প্রদেশের সবুজ পাহাড়ের কোলে পুজোর সময় নয়, দশমী থেকে সাতদিন ধরে পালিত হল এই বিশেষ আনন্দোত্সব। আর এই উত্সবে সামিল হতে দেশ-বিদেশ থেকে দর্শকরা উপস্থিত হন। আগামী ২৪ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে এই দশেরা উত্সব। ধার্মিক ভাবধারা পাশাপাশি এই উত্সবে এ বছর থেকে আয়োজন করে হয়েছে কুল্লু দশেরা কার্নিভাল।
দশেরা উত্সব মানেই রাবণের কুশপুতুল পোড়ানো। অশুভ শক্তির বিনাস। কিন্তু কুল্লুতে পালিত দশেরার সঙ্গে রয়েছে এক আধ্যাত্মিক ভাবধারা। এখানে প্রায় ৩০০টিরও বেশি দেবদেবীর মিলিত হন। সেই উপলক্ষ্যেই এখানে এই বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক উৎসব হল আন্তর্জাতিক কুল্লু দশেরা উৎসবের একটি প্রধান আকর্ষণ। যেখানে রাশিয়া, ইসরায়েল, রোমানিয়া, কাজাখস্তান, ক্রোয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, তাইওয়ান, পানামা, ইরান, মালদ্বীপ, মালয়েশিয়া-সহ ২০টিরও বেশি দেশের সাংস্কৃতিক দল অংশগ্রহণ করে। কেনিয়া, দক্ষিণ সুদান, জাম্বিয়া, ঘানা ও ইথিওপিয়াকে এ বছর দশেরা উৎসবে অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
হিমাচল প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডে পর পর দুর্যোগের কারণে যে যে আশঙ্কা ও সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছিল, সেই বাধা কাটিয়ে ফের জেগে ওঠার আশা দেখছে দেবভূমি। পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়াতে এবছর পর্যটকদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। চণ্ডীগড় থেকে কুল্লু পর্যন্ত ভ্রমণের সময় ছয় ঘণ্টা থেকে কমিয়ে চার ঘণ্টা নামিয়ে আনা হয়েছে। ১৫টি টানেলের মধ্যে ১৩টি টানেল উন্মুক্ত করা হয়েছে। সড়কপথ ছাড়াও অমৃতসর, চণ্ডীগড় ও দিল্লি থেকে কুল্লু পর্যন্ত উড়ানেরও পরিষেবাও রয়েছে।