ডিসেম্বরের শেষে ৭ দিনের জন্য অফিসে ছুটি ম্যানেজ করে নিয়েছেন। গুগল ঘেঁটে বেছেও নিয়েছেন ডেস্টিনেশন। হোটেলেরও খোঁজ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু ঝুলিয়ে রেখেছে ট্রেন। শেষ মুহূর্তে ট্রেনে কনফার্ম টিকিট পাওয়া ভাগ্যের বিষয়। দূরপাল্লার ট্রেনে চট করে মেলে না কনফার্ম টিকিট, তাও যাত্রার ৩-৪ সপ্তাহ আগে। আজকাল মাস তিনেক আগেই টিকিট কেটে রেখে দেন সবাই। দুর্গাপুজো, ক্রিসমাসের সময় সবচেয়ে বেশি মানুষ বেড়াতে যান। তাই এ সময় শেষ মুহূর্তে টিকিট পাওয়া যায় না। এমনকি মাস দুয়েক আগে কাটা টিকিটও অনেক সময় কনফার্ম হয় না, RAC হয়ে যায়। এই অবস্থায় ভরসা তৎকাল টিকিট। ভারতীয় রেলের সমস্ত দূরপাল্লার ট্রেনেই রয়েছে তৎকাল টিকিটের পরিষেবা।
শেষ মুহূর্তে কোথাও যাওয়ার প্রয়োজন পড়েছে, এক্ষেত্রে তৎকাল টিকিট কেটে উঠে পড়তে পারেন ট্রেনে। স্লিপার, ৩এসি, ২এসি বা ১এসি—যে কোনও শ্রেণিতে আপনি তৎকাল টিকিট কাটতে পারেন। তৎকাল টিকিট কাটতে আপনাকে নিকটবর্তী কোনও স্টেশনে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। বাড়ি বসে, অনলাইনেই আপনি তৎকাল টিকিট কাটতে পারবেন। আইআরসিটিসি ওয়েবসাইটেই রয়েছে তৎকাল টিকিট কাটার সুবিধা।
তৎকাল টিকিটের ভাড়া সাধারণ রিজার্ভ টিকিটের দামের থেকে তুলনামূলক ভাবে বেশি। ধরুন, কোনও গন্তব্যের সাধারণ রিজার্ভ টিকিটের ভাড়া ১,০০০ টাকা। সেই টিকিটই যদি আপনি যাত্রার আগের দিন তৎকাল টিকিট কাটেন, ভাড়া পড়বে প্রায় ১৫০০ টাকা। সাধারণ টিকিটের দামের উপর প্রায় ৩০ শতাংশ অতিরিক্ত ফি ধার্য করা হয় তৎকাল টিকিটের ক্ষেত্রে। যদি দ্বিতীয় শ্রেণির তৎকাল টিকিট কাটেন সেক্ষেত্রে সাধারণ রিজার্ভ টিকিটের উপর ১০ শতাংশ অতিরিক্ত ফি ধার্য করা হয়।
আপনার যাওয়ার দিনের ঠিক আগের দিন তৎকাল টিকিট কাটার উইন্ডো খোলা হয়। যদি এসি ক্লাসের টিকিট কাটতে চান, সেক্ষেত্রে তৎকাল টিকিট কাটার উইন্ডো সকালে ১০টায় খোলা হয়। আর নন-এসি ক্লাসের তৎকাল টিকিট বুকিং শুরু হয় বেলা ১১টা থেকে।
তৎকাল টিকিট কাটতে IRCTC -র অফিসিয়াল ওয়েবসাইট irctc.co.in-এ লগইন করুন। এবার টিকিট বুকিং অপশনে ক্লিক করুন। এবার বেছে নিন তৎকাল টিকিটের অপশন। এবার আপনাকে গন্তব্য দিতে হবে। কোন স্টেশনে উঠবেন এবং কোথায় নামবেন, সেটা বেছে নিতে হবে। এরপর ট্রেন ও ক্লাস বেছে নিন। যাত্রীর তথ্য আপলোড করুন। প্রসিড টু পেমেন্ট অপশনে ক্লিক করুন এবং ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ড বা ইউপিআই-র মাধ্যমে পেমেন্ট করে দিন। এরপর ই-টিকিট ডাউনলোড করে নিন।