Sex Theme Park: সেক্স এবং শুধুই সেক্স, যৌনতার উদ্দাম উদযাপনই যখন প্রাপ্তবয়স্কদের পার্কের থিম

TV9 Bangla Digital | Edited By: megha

May 13, 2023 | 12:16 PM

South Korea: যে শব্দটা শোনামাত্র অনেকেই না-শোনার ভান করেন, সেই সেক্সকে কেন্দ্র করেই এই ধরাধামে রয়েছে আস্ত একটি থিম পার্ক। যে 'কে-কালচার' (K-Culture)-এর জ্বরে এখন আক্রান্ত গোটা বিশ্ব, সেই দেশেই রয়েছে যৌনতাকে কেন্দ্র করে একটি থিম পার্ক।

Sex Theme Park: সেক্স এবং শুধুই সেক্স, যৌনতার উদ্দাম উদযাপনই যখন প্রাপ্তবয়স্কদের পার্কের থিম

Follow Us

থিম পার্ক শুধু বাচ্চাদের উদ্দেশে তৈরি করা হয়—একদম নয়। ডিজ়নিল্যান্ডের মতো বিশ্বের বড়-বড় থিম পার্কে বাচ্চাদের সঙ্গে বড়রাও মজা করেন। তবে, এমনও থিম পার্ক আছে, যেখানে শুধু প্রাপ্তবয়স্কদেরই প্রবেশের অধিকার রয়েছে। রয়েছে সেখানে অ্যাডাল্ট থিম—সেক্স এবং শুধুই সেক্স। যে শব্দটা শোনামাত্র অনেকেই না-শোনার ভান করেন, সেই সেক্সকে কেন্দ্র করেই এই ধরাধামে রয়েছে আস্ত একটি থিম পার্ক। আর সেটি অবস্থিত দক্ষিণ কোরিয়ায়। যে ‘কে-কালচার’ (K-Culture)-এর জ্বরে এখন আক্রান্ত গোটা বিশ্ব, সেই দেশেই রয়েছে যৌনতাকে কেন্দ্র করে একটি থিম পার্ক। যদিও ১৮ বছর বয়স না-হলে সেখানে প্রবেশের অনুমতি মেলে না।

‘চেজু লাভল্যান্ড’ নামে জনপ্রিয় দক্ষিণ কোরিয়ার সেক্স থিম পার্ক। মূলত প্রাপ্তবয়স্কদের যৌন শিক্ষা এবং যৌনতা সম্পর্কিত তথ্য প্রদানের জন্যই তৈরি করা হয়েছে এই পার্কটি। গোটা উদ্যান জুড়ে ১৪০টি ভাস্কর্য রয়েছে, বিভিন্ন ধরনের সেক্স পজ়িশন এবং যৌন অঙ্গভঙ্গি নিয়ে। চুম্বন থেকে শুরু করে হস্তমৈথুন এবং বিভিন্ন সেক্স পজ়িশনের ভাস্কর্য রয়েছে পার্ক জুড়ে। সেখানে যেমন যৌনতাকে কেন্দ্র করে তথ্য প্রদান করা হয়, তেমনই ভাস্কর্যের সঙ্গে সেলফি তোলারও সুযোগ রয়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার চেজু দ্বীপে ২০০৪ সালে খোলা হয় এই পার্কটি। যদিও এর সূত্রপাত ঘটে ৭০-এর দশকে। ১৯৭০-এর দশকে চেজু দ্বীপ ছিল কোরিয়ান দম্পতিদের মধ্যে জনপ্রিয় হানিমুন ডেস্টিনেশন। কিন্তু তাঁরা অনেকেই জানতেন কীভাবে যৌনমিলনে লিপ্ত হতে থাকে। তাঁদের সেক্স সম্পর্কিত তথ্য দিতে চেজু দ্বীপের হোটেলগুলিতে রীতিমতো নিয়োগ করা হত পেশাদারদের—আজকাল ‘সেক্স গুরু’, ‘সেক্স থেরাপিস্ট’ অথবা ‘সেক্সুয়াল হেল্থ ইনফ্লুয়েন্সার’রা যে ধরনের পরমার্শ দিয়ে থাকেন আর কী… তখন থেকেই দক্ষিণ কোরিয়ার এই দ্বীপ যৌনশিক্ষার কেন্দ্র হিসেবে ধীরে-ধীরে জনপ্রিয় হতে থাকে। এরপর ‘চেজু লাভল্যান্ড’-এর জন্য ২০০২ সালে, সিওলের হংগিক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক বিভাগের ২০ জন ছাত্র বিভিন্ন সেক্স পজ়িশনের ভাস্কর্যগুলি তৈরি করার কাজে মনোনিবেশ করেন। শেষমেশ ২০০৪ সালে সর্বসাধারণের জন্য খুলে যায় এই থিম পার্ক।

‘লাভল্যান্ড’ হল সেই জায়গা যেখানে আপনি আপনার যৌনতা কেন্দ্রিক কল্পনাকে (wildest sexual fantasies) চোখের সামনে দেখতে পাবেন। মধুচন্দ্রিমায় যাওয়া নবদম্পতি থেকে শুরু করে প্রেমিক-প্রেমিকাদের ভিড় লেগেই থাকে এই থিম পার্ক। তার সঙ্গে দেখা মেলে সদা সিঙ্গলদেরও। যৌনতাকে কেন্দ্র করে সমাজে যে প্রচলিত ট্যাবু রয়েছে, তাকেই ভেঙে দেয় এই ‘চেজু লাভল্যান্ড’। যেখানে গোটা বিশ্ব এখন কে-ড্রামা থেকে কে-ফুডের ফ্যান, সেখানে এই দক্ষিণ কোরিয়া গেলে মিস করবেন না এই ‘লাভল্যান্ড’।

Next Article