ভারতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ তীর্থস্থান হল কৈলাস-মানস সরোবর। করোনা আতঙ্ককে সঙ্গী করেই খুব তাড়াতাড়িই তীর্থযাত্রীদের জন্য খুলে দেওয়া হবে এই পবিত্র ও রোমাঞ্চকর পর্যটন কেন্দ্রটি। জানা গিয়েছে, তীর্থযাত্রীরা এবার ওই দুর্গম এলাকায় গাড়িতে চড়েই সরোবরের কাছে পৌঁছে যেতে পারবেন। একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাতিয়াবাগর থেতে লিপুলেখ পর্যন্ত সীমান্ত বরাবর সড়কপথটিকে সংস্করণ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। সেই প্রকল্পের জন্য প্রায় ৬০ কোটি টাকা ব্যয় হতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে। এমনটাই ঘোষণা করেছেন মন্ত্রী অজয় ভাট।
প্রতি বছর জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে মানস সরোবর যাত্রায় তীর্থযাত্রীদের জন্য খোলা থাকে। ওই পবিত্র স্থানে পৌঁছানোর জন্য মোট দুটি রুচ বেছে নেওয়া হয়। একটি হল, উত্তরাখণ্ডের লিপুলেখ পাস বরাবর ও অন্যটি হল সিকিমেপ নাথু লা পাস দিয়ে পৌঁছানো সম্ভব। কৈলাস পর্বত হিন্দুদের কাছে বিশেষ তাত্পর্য বহন করে। কারণ হিন্দুদের বিশ্বাস ওই পর্বতেই মহাদিদেবের বাসস্থান।
পিথোরাগড় জেলার গুঞ্জি গ্রাম একটি ধর্মীয় উত্সবে এসে মন্ত্রী এই নয়া রাস্তার কথা ঘোষণা করেন। ধাতব রাস্তাটি কেবল পর্যটকদের জন্য সহায়তা করবে তা নয়, প্রতিরক্ষাকর্মীদেরও সীমান্ত ফাঁড়িতে আরও দ্রুত পৌঁছাতে সাহায্য করবে।
ওই বিশেষ উত্সবে তিনি বলেছেন, আগামী দিনগুলিতে ওই এলাকায় সবচেয়ে পছন্দের সীমান্ত পর্যটন গন্তব্য হিসাবে পরিচয় লাভ করবে। ভারত-চিন সীমান্তে সড়ক যোগাযোগের মাধ্যমে স্থানীয়রা তাঁদের গ্রামে বসতিস্থাপন, হোমস্টে এবং অন্যান্য ব্যবসা চালাতে সহায়তা করবে। গড়ে উঠবে পর্যটন-সম্পর্কিত ব্যবসাও।”
তবে যাত্রাপথ মোটেই সহজ নয়। তীর্থযাত্রীদের সফরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার আগে মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হয়। এটি উচ্চতম ট্রেকিংয়ের সঙ্গে জড়িত। এই অঞ্চলে আবহাওয়া বেশ কঠিন। বহু তীর্থযাত্রীদের কাছে এই পবিত্র গন্তব্যস্থলে শেষ পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেন না। সবকিছু ভেবেই ওই দুর্গম রাস্তাটি আপগ্রেড করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন : Uttarakhand: দারুণ খবর! রোমাঞ্চকর কেভ ট্যুরিজমের সুযোগ এবার উত্তরাখণ্ডেও