Kedarnath Yatra: এই জুনেই কেদারনাথ যাওয়ার প্ল্যান? ট্রেকিংয়ের সময় যা কিছু মাথায় রাখবেন

TV9 Bangla Digital | Edited By: megha

Jun 07, 2023 | 6:13 PM

Travel Tips: ৩, ৫৮৪ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত কেদারনাথে যে কোনও সময় আবহাওয়া পরিবর্তন হতে পারে। তাছাড়া দুর্গম পাহাড়ের পথ পেরিয়ে পৌঁছাতে হয় মন্দিরে। তাই পথে যাতে কোনও বিপদের সম্মুখীন না হন, তাই কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরি।

Kedarnath Yatra: এই জুনেই কেদারনাথ যাওয়ার প্ল্যান? ট্রেকিংয়ের সময় যা কিছু মাথায় রাখবেন

Follow Us

চারধামের মধ্যে অন্যতম কেদারনাথ। গ্রীষ্মকাল আসতেই তীর্থযাত্রীদের ভিড় দেখা যায় কেদারনাথ মন্দিরের চত্বরে। এছাড়া যাঁরা ট্রেক করতে ভালবাসেন, তাঁদের অনেকের কাছেই ড্রিম ডেস্টিনেশন কেদারনাথ। মে মাস থেকেই ট্রেক শুরু হয় কেদারনাথের। মে-জুন মাস জুড়ে পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকে। তারপর বর্ষা ঢুকতেই আবার বন্ধ হয়ে যায় ট্রেকিং। এরপর আবার কেদারনাথ ট্রেকিং শুরু হয় সেপ্টম্বরে। অক্টোবরের শেষে বন্ধ হয়ে যায় কেদারনাথ মন্দিরের দরজা। কেদারনাথ ট্রেক করা রোমাঞ্চের চাইতে কম কিছু নয়। কিন্তু খুব যে সহজসাধ্য এই ট্রেক, তাও নয়। দুর্গম পাহাড়ের পথ পেরিয়ে পৌঁছাতে হয় মন্দিরে। তাই পথে যাতে কোনও বিপদের সম্মুখীন না হন, তাই কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরি।

কেদারনাথ ট্রেকিংয়ের সময় যে বিষয় মাথায় রাখবেন-

১) কেদারনাথ মন্দিরে যাওয়ার সেরা সময় হল মে-জুন মাস এবং সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাস। এই সময়ের বাইরে কেদারনাথ মন্দিরের দরজা বন্ধ থাকে। তাছাড়া এই সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্ভাবনা বেশি থাকে।

২) কেদারনাথের আবহাওয়া আগে থেকে বোঝা যায় না। ৩, ৫৮৪ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত এই অঞ্চলের যে কোনও সময় আবহাওয়া পরিবর্তন হতে পারে। তাই আবহাওয়া অনুযায়ী জামাকাপড় বহন করা জরুরি। যেহেতু এখানে সারাবছর ঠান্ডা থাকে, তাই শীতবস্ত্র আপনাকে নিতেই হবে। যেহেতু হেঁটে উঠতে হবে, তাই যত কম জামাকাপড় নেবেন, ততই ভাল।

৩) কেদারনাথে ষাটোর্ধ্ব তীর্থযাত্রীদের ভিড়ও থাকে। কিন্তু পাহাড়ের পথে হেঁটে কেদারনাথ পৌঁছানো সহজ কাজ নয়। এর জন্য শরীরকেও ফিট হতে হয়। রুদ্রপ্রয়াগ থেকে ৮৬ কিলোমিটারের পথ। তাই সমতল থেকে পাহাড়ে উঠতে একটু কষ্ট হয়। তাই ধাপে ধাপে ট্রেক করুন। একদিনে বেশি পথ হাঁটবেন না। যদি বয়স বেশি হয়, শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা থাকে কিংবা বাতের সমস্যা রয়েছে, তাহলে কেদারনাথ যাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

৪) সঙ্গে রাখুন প্রয়োজনীয় ওষুধ এবং শুকনো খাবার। জ্বর, ডায়ারিয়া, বমির ওষুধ, অ্যান্টিসেপটিক ক্রিম, পেইনকিলার ইত্যাদি সঙ্গে রাখুন। এছাড়া শুকনো খাবার হিসেবে ড্রাই ফ্রুটস, কেক, বিস্কুট, চকোলেট, গ্লুকোজ সঙ্গে রাখুন।

৫) আগে থেকে হোটেল বুক করে রাখুন। এছাড়া সঙ্গে রাখুন প্রয়োজনীয় নথিপত্র। চারধাম ভ্রমণের জন্য অনুমতি পত্রের প্রয়োজন পড়ে। এর জন্য আধার কার্ড বা ভোটার কার্ড কিংবা পাসপোর্ট সঙ্গে থাকলেই চলবে।

Next Article