যে হারে গরম বেড়ে গিয়েছে, তাতে হাঁসফাঁস অবস্থা তৈরি হয়েছে। তাই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে অনেকেই ভিড় করছেন শৈলশহরে। সেখানেও গরমের হাত থেকে নিস্তার নেই। বিশ্ব উষ্ণায়নের জেরে শৈলশহরেও তাপমাত্রা বেড়ে চলেছে। দার্জিলিংয়ের তাপমাত্রা প্রায় ২২ ডিগ্রি আর গ্যাংটকে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাই সেখানে গিয়েও আরামে গরমের ছুটি কাটানোর সুযোগ নেই বললেই চলে। কিন্তু এমনও এক জায়গা রয়েছে, যেখানের আবহাওয়া মনোরম। গ্যাংটক থেকে খুব দূরেও নয়, আবার খুব বেশি জনপ্রিয়ও নয়। সিকিমের ছোট্ট গ্রাম সিকিপ। খরস্রোতা নদী, সবুজে ঘেরা জঙ্গল, পাহাড় আর চা বাগান নিয়ে গড়ে উঠেছে সিকিপ।
দক্ষিণ সিকিমের ছোট্ট গ্রাম সিকিপ। খুব একটা পরিচিতি নেই এই গ্রামের। তাই পর্যটকদের আনাগোনা এখানে খুব বেশি দেখা যায় না। তবে, সিকিপের জনপ্রিয়তার কারণে রয়েছে অন্য এক কারণ। তা হল, রিভার রাফটিং। সিকিপের গা বেয়ে বয়ে গিয়েছে খরস্রোতা রঙ্গিত। সিকিমের রঙ্গিত নদীতে রিভার রাফটিং হয়। সাধারণত সিকিমের মেলি থেকে রিভার রাফটিং শুরু হয়। কিন্তু সিকিপ থেকেও আপনি রিভার রাফটিংয়ের স্বাদ নিতে পারবেন। সিকিপ থেকেও শুরু হয় রিভার রাফটিং। সিকিপ থেকে জোড়াথাং, মাজিতার হয়ে মেলি পৌঁছাতে পারেন। এই অ্যাডভেঞ্চারের টানেই অনেকে সিকিপ যাওয়া পছন্দ করেন।
রিভার রাফটিং পছন্দ না হলেও, রঙ্গিতের তীরে বসেও আপনি কাটিয়ে দিতে পারেন সারাদিন। কাছেই রয়েছে সেতু। নিচে দিয়ে বয়ে গিয়েছে খরস্রোতা। এছাড়া সিকিপ থেকে ঘুরতে যেতে পারেন রাবাংলায়। সিকিপের খুব কাছেই অবস্থিত নামচি, বরং, রাবাংলার মতো সিকিমের জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্রগুলো। এই পর্যটনকেন্দ্রগুলোও একসময় অফবিটের তালিকায় ছিল। আর এখন এখানে সারাবছর পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকে।
গ্যাংটক থেকে মাত্র ৫ ঘণ্টা দূরত্বে অবস্থিত এই সিকিপ। বছরের যে কোনও সময় আপনি এখানে বেড়াতে যেতে পারেন। তবে, রিভার রাফটিং করতে চাইলে মার্চ থেকে মে মাস এবং অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে যাওয়াই ভাল। তবে সারাবছরই সিকিপের আবহাওয়া মনোরম থাকে। তাই চাঁদিফাটা রোদ্দুর আর প্যাচপ্যাচে গরম থেকে নিস্তার পেতে অনায়াসে পাড়ি দিতে পারেন সিকিপে। কিন্তু সিকিপে বেড়াতে গেলেও এখানে রাত কাটানোর সুযোগ নেই। এখনও পর্যন্ত সিকিপে কোনও হোমস্টে বা হোটেল তৈরি হয়নি। পর্যটকদের আনাগোনা বাড়লে, ট্যুরিজমে সিকিপের চাহিদা বাড়লে অবশ্যই তৈরি হবে এখানে রাত কাটানোর আস্তানা।