বঙ্গে শীত জাঁকিয়ে পড়েনি। কিন্তু উত্তরের শৈলশহরগুলোর তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসেরও নীচে। কিছু কিছু শৈলশহর ইতিমধ্যেই বরফের সাদা চাদরে ঢেকেছে। আপনিও নিশ্চয়ই এই খবর দেখে প্ল্যান করছে শীতের ছুটিতে পাহাড়ের দেশে বেড়াতে যাওয়ার? কিন্তু কোথায় যাবেন যদি ভেবে না পান, তাহলে আমরা বলব মুসৌরি ঘুরে আসুন। উত্তরাখণ্ডের রানি মুসৌরি শীতে আপনাকে এনে দিতে পারে ভ্রমণের অনন্য অভিজ্ঞতা। এখানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ছাড়াও ডিসেম্বরে মুসৌরি যাওয়ার রয়েছে আরও একটি অন্য কারণ। ডিসেম্বরের শেষে শুরু হচ্ছে মুসৌরি উইন্টারলাইন কার্নিভ্যাল।
গত দু’বছর কোভিড পরিস্থিতির জন্য বন্ধ ছিল মুসৌরির উইন্টারলাইন কার্নিভ্যাল। তাই এ বছর জমকালোভাবে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে এই বার্ষিকী কার্নিভ্যাল। আগামী ২৫ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে এই কার্নিভ্যাল। চলবে আগামী ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এই কার্নিভ্যালে দেশ, বিদেশের পর্যটকদের আমন্ত্রণ জানাতে প্রস্তুত মুসৌরি। শৈলশহরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, সংস্কৃতি ও খাবারের সুন্দর সংমিশ্রণ হতে চলেছে মুসৌরির উইন্টারলাইন কার্নিভ্যাল।
মুসৌরির এই উইন্টারলাইন কার্নিভ্যালে পর্যটকদের জন্য আয়োজন করা হয়েছে হেরিটেজ ওয়াক, স্টার-গেজিং, নেচার ওয়াক, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, প্যারাগ্লাইডিং, বাঞ্জি জাম্পিং, স্কেটিংয়ের। এছাড়াও রয়েছে এখানকার ঐতিহ্যবাহী খাবার, জামাকাপড় এবং হস্তশিল্পের অন্বেষণ করার। এখানেই শেষ হয়। কার্নিভ্যালের অংশ হিসেবে মুসৌরি জুড়ে বিভিন্ন জায়গায় পর্যটকদের জন্য ক্যাম্পফায়ারের ব্যবস্থা করা হবে।
দেরাদুন থেকে মাত্র ৩৫ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত মুসৌরি। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, মনোরম জলবায়ুর কারণে শীতের ছুটিতে অনেকেই ভিড় করেন মুসৌরিতে। মুসৌরি লেক এখানের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। শৈলশহর থেকে মাত্র ১৪ কিলোমিটার দূরে রয়েছে কেম্পটি জলপ্রপাত। এখানেও বহু পর্যটক ভিড় করেন। এছাড়াও ভাট্টা জলপ্রপাত রয়েছে। এটিও ঘুরে দেখতে পারেন।
দুন উপত্যকার সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন মুসৌরি থেকে। মুসৌরি থেকে রোপওয়ে করে পৌঁছে যান গান হিল। গান হিল থেকে দেখা যাবে দুন উপত্যকার সৌন্দর্য। ওক, পাইন, দেবদারুতে ঘেরা ধনৌলটিও ঘুরে নিতে পারেন মুসৌরি থেকে। এটি মুসৌরির কোলে লুকিয়ে থাকা একটি অফবিট স্পট। মুসৌরি থেকে দেড় ঘণ্টার পথ কানাতাল। এটিও একটি অফবিট ডেস্টিনেশন। শীতে মুসৌরি বেড়াতে গেলে এই জায়গাগুলো মিস করবেন না।