পর্যটকের আকর্ষণ বাড়াতে ও পর্যটন শিল্পে জোয়ার আনতে অভিনব পরিকল্পনা নিয়েছে তামিলনাড়ু সরকার। সম্প্রতি মান্নার উপসাগরের ২১টি দ্বীপের মধ্যে অন্যতম কুরুসাদাই দ্বীপে নৌকা ভ্রমণ শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই গোটা দ্বীপ জুড়ে রয়েছে প্রবাল , সামদ্রিক প্রাণী ও সমুদ্র ও দ্বীপে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।
কুরুসাদাই দ্বীপ তামিলনাড়ুর অফবিট গন্তব্যস্থলগুলির মধ্যে অন্য়তম। এখানে সামদ্রিক নানা চেনা ও অচেনা প্রাণি দেখতে পাওয়া যায়। তারমধ্যে সামদ্রিক শসা, সামদ্রিক অর্চিন, কাঁকড়ার মত জলজ প্রাণী দেখতে পাওয়া যায়। উপকূলীয় উদ্ভিদ এবং প্রাণীজগত আপনাকে মুগ্ধ করবে। আপনার ভাগ্য যদি সহায় থাকে, তাহলে ১৬৮ একর জুড়ে বিস্তৃত দ্বীপে যাওয়ার পথে হাম্পব্যাক ডলফিনদের খেলাও দেখতে পারেন।
টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে মন্ডপম রেঞ্জ অফিসার জি ভেঙ্কটেশ জানিয়েছেন, সাম্দ্রিক জাতীয় উদ্যানে দ্বীপগুলিতে ভ্রমণ করা একটি গুরুতর অপরাধ। আইন ভঙ্গ করলে এমনকি কঠোর শাস্তিও হতে পারে। তবে দেশে এই প্রথমবার ওই অফবিট সামদ্রিক প্রাণী ও উদ্ভেদ ঠাসা দ্বীপটিতে ভ্রমণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পর্যটক ও স্থানীয় ধীবর সম্পর্দায়দের আর্থিক উন্নতির জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
অফিসার আরও জানিয়েছেন, পর্যটনের আসল উদ্দেশ্য হল দ্বীপগুলির তাত্পর্য ও সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্র সম্পর্কে সচেতন ও তথ্য প্রদান করা। রিপোর্ট অনুযায়ী, সকাল ৭টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত এই দ্বীপে যাওয়ার জন্য বোটিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে প্রতিকূল জলবায়ু এবং বিপজ্জনক ঢেউয়ের ক্ষেত্রে নৌবিহার বন্ধ করা যেতে পারে। রাউন্ড-ট্রিপটি ৯০ মিনিট স্থায়ী হবে এবং জেটিটি কুন্টুকাল থেকে ছেড়ে রওনা দেবে। যেটি রামেশ্বরম শহর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে।
বোটিং ভ্রমণে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনার অনুমোদন রয়েছে। এটি দ্বীপের উপর ভিত্তি করে ইকো-ট্যুরিজম ফেডারেশন দ্বারা পরিচালিত। এই দ্বীপে রয়েথে চিন্নাপালম ও কুনথুকাল গ্রামের বাসিন্দার। তাদেঁর মধ্যে অধিকাংশই ধীবর সম্প্রদায়ের। দ্বীপটি পরিযায়ী পাখিদেরও কেন্দ্রস্থল। অ্যাভিফানা প্রেমীদের ও ফটোগ্রাফারদের কাছে স্বর্গরাজ্য বলা যেতে পারে।
আরও পড়ুন: Indian Railway: বুলেট ট্রেনেই বাজিমাত! এবার দিল্লি থেকে বারাণসী পৌঁছাবেন মাত্র ২২ মিনিটেই