Short Trip in Purulia: তিন দিক জলাধার, মাঝে মাঝে সবুজ বনানী! দোলের ছুটিতে যাবেন নাকি পুরুলিয়ার এই ড্যামে?
Murguma in Purulia: অযোধ্যার কোলে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে সঙ্গে নিয়ে নিশ্চুপে রয়েছে মুরগুমা। বসন্তের আবহে, দোলের সময় মুরগুমা হতে পারে আপনার পরবর্তী উইকএন্ড ডেস্টিনেশন।
বসন্তে এলেই লাল পলাশের টানে বাঙালি ভিড় করে পুরুলিয়ায়। এই পুরুলিয়ার রুক্ষ মাটিতে যে সবুজের প্লাবন রয়েছে তা মুরগুমা না গেলে বিশ্বাস করা কঠিন। অযোধ্যার কোলে ছোট্ট এক পর্যটক কেন্দ্র। ছোট ছোট পাহাড়ে ঘেরা জলাশয়। নাম মুরগুমা। যত দূর চোখ যাবে পলাশ, শাল, সেগুন, মহুলের সবুজ বনানী। অযোধ্যার কোলে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে সঙ্গে নিয়ে নিশ্চুপে রয়েছে মুরগুমা। বসন্তের আবহে, দোলের সময় মুরগুমা হতে পারে আপনার পরবর্তী উইকএন্ড ডেস্টিনেশন। এ বছর পুরুলিয়া গেলে ঘুরে দেখতে পারে মুরগুমা।
ড্যামকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে মুরগুমা। মূলত অবসর যাপনের উদ্দেশ্যেই মুরগুমার জনপ্রিয়তা বাড়ছে। জলাশয়ের শান্ত, নিরিবিলি পরিবেশে সময় কাটানোর জন্য অনেকেই পুরুলিয়ার এই পর্যটন কেন্দ্রকে বেছে নিচ্ছেন। তবে, মুরগুমার অন্যতম আকর্ষণ হল সুইসাইড পয়েন্ট। পাহাড়ের শীর্ষে অবস্থিত এই ভিউ পয়েন্ট। তিন দিক জুড়ে জলাধার। আর তার মাঝে মাঝে ছোট ছোট সবুজ বনানী। জলাধার থেকে দেড় কিলোমিটারের পথ সুইসাইড পয়েন্ট। জলাশয়ের রাস্তা ধরে ধরে হাঁটতে হাঁটতে পৌঁছে যেতে পারেন সুইসাইড পয়েন্টে। যদিও নামকরণের সঙ্গে আত্মহত্যার কোনও যোগ নেই। পায়ে হেঁটে দেখতে পারেন মুরগুমা গ্রামও।
জঙ্গলের পথ ধরে টিলা টপকে গেলেই পৌঁছে যাবেন সাঁওতালি গ্রাম। এই গ্রামের বিশেষত্ব হল, উৎসবের মরশুমে মাটির দেওয়ালে আদিবাসীরা নিজের হাতে প্রাচীন শিল্প, কারুকার্য আঁকে। যদিও এই গ্রামের আদিবাসীরা ছৌনাচের শিল্পী। শীতে মুরগুমায় পর্যটকদের ভিড় বেশি। যেহেতু বাঁধের লাগোয়া জলাশয়ের পরিযায়ী পাখিদের আনাগোনা লেগে থাকে শীতের মরশুমে। তবে, বসন্তে গেলেও নিরাশ হবেন না। মুরগুমা থেকে ঘুরে আসতে পারেন ছবি আঁকা-গ্রাম গুড়রাবেড়া ও গিড়গিড়া নদীর ঝরনা। হাতে বেশি সময় থাকলে ঘুরতে যেতে পারেন কাঁসাই নদীর তীরে দেউলঘাটা।
ঝালদা ব্লকের বেগুন কোদর গ্রাম পঞ্চায়েতের (২) মধ্যে অবস্থিত মুরগুমা। পুরুলিয়া শহর থেকে দূরত্ব ৫৫ কিলোমিটার। হাওড়া থেকে চক্রধরপুর এক্সপ্রেসে পুরুলিয়া স্টেশন। সেখান থেকে টোটোতে বাস স্ট্যান্ড। বাসে বসে বেগুন কোদর। সেখান থেকে আবার ব্রেক জার্নি করে মুরগুমা। আর লং ড্রাইভ ভালবাসালে ঝালদা থেকে সোজা মুরগুমা। ঝালদা থেকে মুরগুমার দূরত্ব মাত্র ১৪ কিলোমিটার। মুরগুমায় রাত্রিযাপনের জন্য হাতেগোনা কয়েকটি রিসর্ট রয়েছে। দোলের সময় এখানে বেশ পর্যটকদের ভিড় হয়। তাই আগে থেকেই বুকিং করে যাওয়াই ভাল।