বর্ষার (Monsoon Season) শুরু থেকেই বন্ধ রাখা হয়েছিল অসমের (Assam) বিখ্য়াত পবিতোরা বন্যপ্রাণি অভয়ারণ্য (Pobitora Wildlife Sanctuary )। তবে সএবার অপেক্ষার অবসান ঘটতে চলেছে এই মাসেই। পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে এই সংরক্ষিত অভয়ারণ্য়ের প্রবেশদ্বার। উল্লেখ্য এই অভয়ারণ্যেই রয়েছে বিরলতম ভারতীয় একশৃঙ্গে গণ্ডারের আবাসস্থল। রাজ্যের পরিবেশ ও বনমন্ত্রী চন্দ্রমোহন পাটোয়ারি ও জাগিরোগের বিধায়ক পীযূষ হাজারিকার উপস্থিতিতে পার্কের দরজা খুলে দেওয়া হয়েছে।
পবিতোরা জাতীয় উদ্যান হল বন্যপ্রাণীপ্রেমী ও প্রকৃতিপ্রেমীদের স্বপ্নের গন্তব্য। ফটোগ্রাফরদের অত্যন্ত প্রিয় একটি লোকেশন। পার্কটি অসমের গুয়াহাটি থেকে প্রায় ৪৮কিমি দূরে মরিগাঁও জেলায় অবস্থিত। ব্রহ্মপুত্র নদের পাশ দিয়ে রাস্তায় প্রায় এক ঘণ্টায় গাড়িতে চড়ে এখানে খুব সহদেই পৌঁছানো যায়। ১৯৭১ সালে একটি সংরক্ষিত বন ও ১৯৮৭ সালে একটি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ৩৮.৮ বর্গ কিমি জুড়ে বিস্তৃত এই জনপ্রিয় উদ্যানটিতে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক গ্রেট ইন্ডিয়ান একশৃঙ্গ গণ্ডার রয়েছে। এখনও পর্যন্ত ১৬ বর্গ কিলোমিটারের মধ্যে ৯৩টি গণ্ডার রয়েছে এখানে।এছাড়া পবিতোরা পার্কে মরসুমের সময় গেলে দেখা মেলে প্রায় ২ হাজারের বেশি পরিযায়ী পাখি। এছাড়া বিপুল সংখ্য়ক সরীসৃপ,লেপার্ড, বন্যশুকর, হাতি, বার্কিং ডিয়ার ও বুনো মহিষ-সহ অন্যান্য় বন্যপ্রাণীর বাসস্থান। উল্লেখ্য়, গত ৬ বছরে অভয়ারণ্যে গণ্ডারের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ১০ শতাংশ।
কীভাবে পৌঁছাবেন?
অসমের পবিতোরা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য ফের খুলে দেওয়া হয়েছে। এখানে পৌঁছানো খুব সহজ। পবিতোরা অভয়ারণ্যের কাছের বিমানবন্দর হল লোকপ্রিয়া গোপীনাথ বোর্দোলোই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বা গুয়াহাটি বিমানবন্দর। দুটি গন্তব্যস্থলের মধ্যে দূরত্ব প্রায় ৭০ কিলোমিটার, যা ২ ঘণ্টার বেশি সময় লাগবে। বিমানবন্দরের বাইরেরই রয়েছে ট্যাক্সি ও প্রাইভেট যানবাহনের ব্যবস্থা। হাতের কাছেই রয়েছে সেই ব্য়বস্থা।
এছাড়া রেলপথেও রয়েছে সুযোগ-সুবিধা। গুয়াহাটি রেলওয়ে স্টেশনটি পার্ক থেকে প্রায় ৪৫ কিমি দূরে অবস্থিত। এই স্টেশনটিই হল পবিচোরা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের নিকটতম রেলপথ। এছাড়া সড়কপথেও যেতে পারেন। অসমের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেই এখানে পৌঁছানো যায় সহজ উপায়েই। গাড়ি ভাড়া করে বা প্রাইভেট গাড়িতে করে সড়কপথে এই পার্কে পৌঁছানো যায়।