যাঁরা এই সময় উত্তরাখণ্ডে (Uttarakhand ) বেড়াতে গিয়েছেন, তাঁদের কাছে সুবর্ণ সুযোগ। আজ থেকেই ঋষিকেশে (Rishikesh) শুরু হচ্ছে দুই দিনের মহাসংগীত উত্সব (Music Festival)। ‘আজাদি কা অমৃত মহোত্সবের’ একটি অন্যতম অংশ হিসেবে আজ ও কালকের (১৪ থেকে ১৫ মে) জন্য সুরেলা উত্সবের আয়োজন করা হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, এই সুরের উত্সবে উপস্থিত থাকবেন কৈলাশ খের থেকে ইন্ডিয়ান জ্যাম প্রোজেক্টে মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির নামকরা সব শিল্পীরা। এই অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে আয়োজন করছে কুটানি হ্যান্ডপ্যান একাডেমি এবং সঙ্গীত নাটক একাডেমি, উত্তরাখণ্ড পর্যটন।
এই বার্ষিক সংগীত অনুষ্ঠানের উদ্বোধন হবে মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামির হাত দিয়েই। এছাড়া উপস্থিত থাকবেন সংসদীয় বিষয়ক ও সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল-সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। শহরের ব্যস্ত জীবনযাত্রা থেকে কিছুদিন ছুটি নিয়ে অনেকেই শান্তিতে কয়েকটি দিন একান্তে কাটাতে ঋষিকেশ পাড়ি দিয়েছেন অনেকেই। পাহাড় যাঁদের পছন্দের জায়গা তাঁদের জন্য ঋষিকেশ হল মেডিকেশেনের উপযুক্ত জায়গা। অ্য়াডভেঞ্জার, রোমাঞ্চের মধ্যেও খুঁজে পাওয়া যায় এক অমোঘ মানসিক শান্তির খোঁজ। এই শহর শুধুই পাহাড়ি প্রাকৃতিক দৃশ্যে মোহিত হওয়ার জন্য নয়, গঙ্গাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে আধ্যাত্মিক শান্তির নীড়। হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত এই শহরটি যোগা ও অ্যাডভেঞ্চারের জন্যই নয়, সরস্বতী আরাধনাতেও বেশ সুনাম রয়েছে। শাস্ত্রীয় ও অন্যান্য ঘরানার সংগীত শিক্ষাও বিখ্যাত। দেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে প্রদর্শন করতেই এই সংগীত উত্সবের আয়োজন।
প্রসঙ্গত, এই সুরের উত্সবে কোন কোন সেলেব্রিটিদের দেখা যাবে? কৈলাশ খের, রুদ্র বীণা শিল্পী বাহাউদ্দিন ডাগর, ফিউশন ব্যান্ড ইন্ডিয়ান জ্যাম প্রজেক্ট, হ্যান্ডপ্যান শিল্পী বাবা কুটানি এবং গায়ক সূর্য গায়ত্রী প্রমুখ রা উপস্থিত থাকবেন। এছাড়া শেহনাই শিল্পী সঞ্জীব ও অশ্বিনী শঙ্কর, বাউল গায়ক মহাদেব দাস বাউল-সহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অনেক শিল্পী।
এখানে বলে রাখা ভাল, অনুষ্ঠানটি প্রতিদিন ২টি আলাদা সময়ে অনুষ্ঠিত হবে। সকালের অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হবে পরমার্থ নিকেতনে। কসকালে ৫.৩০ মিনিট থেকে শুরু হবে ও শেষ হবে বেলা ১২টা নাগাদ। অন্যদিকে সন্ধ্যাকালীন অনুষ্ঠানটি হবে পূর্ণানন্দ গ্রাউন্ডে। সময় বিকেল ৫টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত।
এবার স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন জাগতে পারে, এই অসাধারণ সুরের অনুষ্ঠানটিতে অংশগ্রহণ করতে পকেট থেকে কত খসাতে হতেপারে? এখানেই রয়েছে মজা। কারণ, অনুষ্ঠানে প্রবেশ করার জন্য কোনও খরচই আপনাকে করতে হবে না। বিনামূল্যে অবাধ প্রবেশ। শুধুই কি সংগীত পরিবেশন হবে? গঙ্গার তীরে অবস্থিত এই সুন্দর ও আধ্যাত্মিক শহরের সংস্কৃতিও তুলে ধরা হবে। তাই এই সুরের অনুষ্ঠানের পাশাপাশি বেদ জপ, আচার্য ভুবন চন্দ্রের যোগ সেশন, শেহনাই পারফরম্যান্স, হ্যান্ডপ্যান ড্রাম সার্কেল সেশনের কর্মশালা, বিটলস আশ্রমে হেরিটেজ ওয়াক, ব্যান্ড পারফরম্যান্স এবং গঙ্গা আরতির মত মন ভাল লাগা ঘটনা উপরি পাওনা।