ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় হিল স্টেশন সিমলা (Shimla), বরাবরই পর্যটকদের (Tourists) কাছে একটি হটস্পট হিসেবেই বিবেচিত হয়। সবুজে ঘেরা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য (Natural Beauty) আর দূরে সাদা বরফে ঢাকা পর্বতশৃঙ্গের হাতছানি সিমলার অপরূপ দৃশ্য মানুষকে আকর্ষণ করে। কুফরি, মাশোবরা, পাতিয়ালা হাউসের মত অনেক আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে। সিমলা প্রাকৃতিক শোভার বাইরেও রয়েছে সেখানকার রঙিন উত্সব ও লোকাচার। প্রতিবছর দুই সপ্তাহব্যাপী এক প্রাণবন্ত উত্সবের আয়োজন করা হয় সিমলায়। যা সিমলা সামার ফেস্টিভ্যাল (Shimla Summer Festival 2022) নামে লোকজনের কাছে বেশি পরিচিত। সারা বিশ্ব থেকেই বিপুল সংখ্যক পর্যটক এই আলোকময় উত্সবের টানে বারে বারে ফিরে আসেন এই পর্বতঘেরা শহরে।
ভারতের বিভিন্ন অংশেই স্থানীয় কিছু উত্সব রয়েছে, যা সর্বকালের জন্য বিখ্যাত ও জনপ্রিয়। আর এই উত্সবের অন্যতম অংশ হল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এছাড়া রয়েছে মজাদার রাইড, অফুরান নানা স্বাদের খাবারের স্টল, মজার খেলাও। উত্সব মানেই খাওয়া দাওয়া, আড্ডা, জিনিস কেনাবেচা। এই উত্সবে নানা রঙের পোশাক ও ঘর সাজাবার বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করা হয়। ঐতিহ্যবাহী পোশাক ও খাবার উপভোগ করতে পারবেন এখানে। কলকাতায় যেমন দুর্গাপুজো মানেই খাঁটি বাঙালিয়ানা, তেমনি সিমলার এই উত্সবকে ঘিরেও রয়েছে স্থানীয় ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি।
গত ১ জুন থেকে শুরু হয়েছে এই জনপ্রিয় উত্সব। শেষ হবে আগামী ৯ জুন। সিমলার রিজ পার্কে এই উত্সবের আয়োজন করা হয়েছে। পর্যটকদের সুবিধার্থেই রিজ পার্ক বেছে নেওয়ার পিছনে রয়েছে। এই জায়গা থেকেই গোটা শহরটিকে দেখতে পাওয়া যায়। সিমলা সামার ফেস্টিভ্যালের প্রধান আকর্ষণ হল এখানকার লাইভ মিউজিক কনসার্ট, খাবারের স্টল ও শিশুদের জন্য খেলার রাইড। তবে উত্সবের অন্যতম অংশ হল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। যেখানে স্থানীয় শিল্পীরা লোকনৃত্য ও ফ্যাশন শো-র মাধ্যমে বিনোদন করেন। স্থানীয় শিল্পীদের সঙ্গীত পরিবেশনা-সহ সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড এবং ক্রীড়া অনুষ্ঠান অন্তর্ভুক্ত থাকে। কথাকলি এবং ভরতনাট্যম নৃত্যের মতো বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী নৃত্য়শিল্পকেও মর্যাদা দেওয়া হয়। এম এফ হুসেন এবং অনীশ কাপুরের মতো বিশিষ্ট ভারতীয় শিল্পীদের কাজও প্রদর্শিত হবে বলে জানা গিয়েছে।
কীভাবে পৌঁছবেন
বিমানে- সিমলা পৌঁছানোর সর্বোত্তম উপায় হল বিমান। দিল্লি এবং চণ্ডীগড় বিমানবন্দর থেকে বেশ কয়েকটি ফ্লাইট রয়েছে। নিকটতম বিমানবন্দরটি গাগ্গালে যা সিমলা শহর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে।
রেলপথে- চণ্ডীগড় (১৬০ কিমি) হল নয়া দিল্লি (৮৫ কিমি), কালকা (৮৮ কিমি), এবং অমৃতসর (৩৩১ কিমি)-এর নিকটতম রেলপথ। এছাড়া আরও গুরুত্বপূর্ণ রেলস্টেশন সিমলার সঙ্গে সংযুক্ত, তবে রবিবার ছাড়া সেখানে প্রতিদিন সিমলার সঙ্গে যুক্ত কিনা তা যাওয়ার আগে দেখে নিতে হবে।
সড়কপথে- ভারতের সমস্ত মেট্রো শহর থেকে সিমলা যাওয়ার বাস রয়েছে। চণ্ডিগড় ও দিল্লি থেকে বাসে গেলে সময় লাগে ৮-১২ ঘণ্টা।