National Hiking Day: এভারেস্টের দৃশ্য অন্বেষণ করতে চান? ভিউ ট্রেকিং রুটের হদিশ রইল আপনার জন্য

এভারেস্টে ট্রেক করতে গেলে শরীর হতে হবে ফিট এবং থাকতে হবে মানসিক জোর। সবার পক্ষে সম্ভব হয় না এভারেস্টে ট্রেক করা। জয়ের প্রসঙ্গ এই পর্বতের ক্ষেত্রে অনেক পড়ে আসে। তা বলে কি যাঁরা পর্বত আহোরণ করতে পারেন না, তাঁরা কি এভারেস্টের দৃশ্য দেখতে পাবেন না? একদমই নয়।

National Hiking Day: এভারেস্টের দৃশ্য অন্বেষণ করতে চান? ভিউ ট্রেকিং রুটের হদিশ রইল আপনার জন্য
এভারেস্ট ভিউ ট্রেক
Follow Us:
| Updated on: Nov 17, 2021 | 12:55 PM

পৃথিবীর সর্ব‌োচ্চ শৃঙ্গ কে না দেখতে চায়! বিশেষত পাহাড়প্রেমীরা। কিন্তু পৃথিবীর সর্ব‌োচ্চ শৃঙ্গে পৌঁছানো তো আর সহজ কথা নয়। তবুও প্রতিবেশী দেশে পৌঁছেই আমরা হাতিছানি দিতে পারি এভারেস্টের দৃশ্য। এ বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই যে দেশ বিদেশ থেকে বহু পর্যটক ও পর্বতারোহীরা ভীড় করেন এভারেস্টের দৃশ্য চাক্ষুষ দেখার জন্য।

কিন্তু এভারেস্টে ট্রেক করতে গেলে শরীর হতে হবে ফিট এবং থাকতে হবে মানসিক জোর। সবার পক্ষে সম্ভব হয় না এভারেস্টে ট্রেক করা। জয়ের প্রসঙ্গ এই পর্বতের ক্ষেত্রে অনেক পড়ে আসে। তা বলে কি যাঁরা পর্বত আহোরণ করতে পারেন না, তাঁরা কি এভারেস্টের দৃশ্য দেখতে পাবেন না? একদমই নয়। আমরা আপনার জন্য এমন একটি ট্রেকিং রুটের হদিশ এনেছি, যেখান থেকে আপনি অনাহসে এভারেস্টের দৃশ্য অন্বেষণ করতে পারবেন।

এভারেস্ট ভিউ ট্রেক- এই ট্রেকিং রুটটি শুধুমাত্র সেই সব পর্যটক বা ট্রেকারদের জন্য তৈরি করা হয়েছে, যাঁরা ট্রেক করতে ভালবাসেন কিন্তু এভারেস্টে চড়তে সক্ষম নন। এই ট্রেকটি সম্পন্ন করতে ৫-৬ দিন সময় লাগবে। আর তার মধ্যেই আপনি এভারেস্টের দৃশ্য তো দেখতে পাবেনই, তার সঙ্গে জানতে পারবেন সেরপাদের জীবন সম্পর্কে। কারণ এভারেস্টের সঙ্গে ‘সেরপা’ প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ ভাবে জড়িত।

এই ট্রেকের মাধ্যমে আপনি মাউন্ট এভারেস্ট, মাউন্ট আমা দাবলাম এবং এভারেস্টের পূর্ব দিকের তৃতীয় সর্বোচ্চ পর্বত লোৎসে-র দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন। এটি ট্রেক আপনাকে নিয়ে যাবে খুম্বু অঞ্চলের কেন্দ্রস্থলে। সেখানে আপনি অন্বেষণ করতে পারবেন নামচে বাজারের সৌন্দর্য। এই ট্রেকটি করার জন্য খুব একটা শারীরিক ফিটনেসের প্রয়োজন হয় না এবং কেউ প্রতিদিন তিন থেকে চার হাঁটতে পারলেই পৌঁছে যেতে পারবে এভারেস্টের আরেকটু কাছে।

এই এভারেস্ট ভিউ ট্রেক শুরু হয় লুকলা এয়ারপোর্ট, যা বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর বিমানবন্দর। প্রতিদিন সকালে কাঠমান্ডু থেকে একটি এয়ারক্রাফট এখানে আসে। সাগরমাথা জাতীয় উদ্যানের প্রবেশপথ থেকে, আপনি রডোডেনড্রন, পাইন এবং সিডারের বনের মধ্য দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে এভারেস্ট অঞ্চলের দিকে একটু একটু করে এগিয়ে যাবেন। নেপালের এভারেস্ট অঞ্চলে সংরক্ষিত রয়েছে তিব্বতের বৌদ্ধ ধর্মের সংস্কৃতি। এখানেই চাইলে রাত কাটাতে পারেন। শুধু তাই নয়, এই ট্রেকিং রুট আপনাকে নিয়ে যাবে সেরপা গ্রামে। সেখানে আপনি সেরপাদের রীতিনীতি এবং ঐতিহ্য, সংস্কৃতি এবং জীবনধারা সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাই এভারেস্ট নাই ট্রেক করতে পারেন কিন্তু সর্বোচ্চ শৃঙ্গকে দেখার জন্য এভারেস্ট ভিউ ট্রেকিং রুটকে বেছে নিতে পারেন।

আরও পড়ুন: যোধপুরের এই অলৌকিক মন্দির দর্শন না করলে পথে দুর্ঘটনার আশঙ্কা করেন গাড়ির চালকরা!