Odisha: বর্ষায় কেমন দেখায় পূর্বঘাট? এই সুযোগে ঘুরে আসুন তপ্তপানি থেকে
Taptapani: যদিও এখানের মূল আকর্ষণ হল উষ্ণপ্রস্রবণ। তবু রোড ট্রিপের মাধ্যমে পূর্বঘাটের সৌন্দর্য দেখার জন্যই পর্যটকেরা ভিড় করে তপ্তপানিতে।
গাড়িতে চলছে ‘সফরনামা’ প্লেলিস্ট। বাইরে তখন ঝিরিঝিরি বৃষ্টি পড়ছে। রাস্তার দু’পাশে ঘন সবুজ জঙ্গল আর ছোট ছোট পাহাড়। এমন অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে আপনাকে রওনা দিতে হবে তপ্তপানিতে। ভুবেনশ্বর (Bhubaneswar) থেকে ২৫৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত তপ্তপানি ওড়িশার জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র (Tourist Spot)। যদিও এখানের মূল আকর্ষণ হল উষ্ণপ্রস্রবণ (Hot Spring)। তবু রোড ট্রিপের মাধ্যমে পূর্বঘাটের সৌন্দর্য দেখার জন্যই পর্যটকেরা ভিড় করে তপ্তপানিতে। বেরহামপুর থেকে গাড়ি করে পৌঁছে যেতে পারে তপ্তপানি। বেরহামপুর থেকে তপ্তপানির দূরত্ব মাত্র ৫৩ কিলোমিটার। আর এই রাস্তাতেই আপনি সম্মুখীন হবেন বর্ষার সেরা সৌন্দর্যের সঙ্গে। বর্ষায় পূর্বঘাট পর্বতমালার কোলে অবস্থিত তপ্তপানি রোড ট্রিপ যতটা মনোরম, একই ভাবে সুন্দর এখানের উষ্ণপ্রস্রবণ।
মূলত এই উষ্ণপ্রস্রবণের জন্য জায়গার নাম ‘তপ্তপানি’। ‘তপ্ত’ অর্থাৎ উষ্ণ এবং ‘পানি’ কথার অর্থ জল। ঘন সবুজ জঙ্গলে ঘেরা সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশের মাঝে গন্ধক মেশানো উষ্ণপ্রস্রবণ। পূর্বঘাট পর্বতমালার ঢালে প্রায় ১,৭০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত এই উষ্ণপ্রস্রবণটি। চারিদিকে ঘিরে রয়েছে সবুজে ঘেরা পাহাড়ি ঢিলা। এমন দৃশ্য শুধু তপ্তপানি উষ্ণপ্রস্রবণে নয়, বরং তপ্তপানি যাওয়ার সারা রাস্তা জুড়েই খুঁজে পাবেন আপনি।
View this post on Instagram
৩০০ বছর পুরনো তপ্তপানি উষ্ণপ্রস্রবণ। ভারতের অন্যতম পুরনো ও জনপ্রিয় উষ্ণপ্রস্রবণ বললেও এই ক্ষেত্রে ভুল হবে না। উষ্ণপ্রস্রবণের মূল কুণ্ডে দেবী কান্দীমাতা বাস করেন। স্থানীয়রা মনে করেন, এই গরম জলের কুণ্ড যে কোনও চর্মরোগ সারিয়ে তুলতে সক্ষম। এখানে ঘন গাছগাছালির আড়ালে রয়েছে বহু পুরনো এক শিব মন্দিরও।
এছাড়াও তপ্তপানি থেকে যদি আরও ৩৫ কিলোমিটার যান, তাহলে পৌঁছে যাবেন চন্দ্রগিরি। পূর্বঘাট পর্বতমালার কোলে তিব্বতীদের বাসস্থান রয়েছে, তা চন্দ্রগিরি না গেলে আপনি বুঝতে পারবেন না। পূর্বঘাট পর্বতের অধিত্যকায় শাল-মহুয়ার সবুজ ছাওয়ার মধ্যে চন্দ্রগিরিতে ওম মণিপদ্মে হুম ধ্বনিতে সূর্যোদয় হয়। ছোট্ট জনপদ হলেও এখানের নিরিবিলি পরিবেশ আপনার মন কেড়ে নিতে বাধ্য। হাজারখানেক তিব্বতি পরিবারের বাস চন্দ্রগিরিতে। এখানের গুম্ফায় তিব্বতীয় দেবদেবী, তিব্বতীয় কার্পেট, তিব্বতীয় কুকুর সহ নানা হস্তশিল্প পাওয়া যায়। চন্দ্রগিরি থেকে ৭ কিলোমিটার দূরেই রয়েছে জিরাং কুলেন মনেস্ট্রি।
View this post on Instagram
কীভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন:
ট্রেন করে পৌঁছে যান বেরহামপুর। এবার সেখান থেকে বাসের মাধ্যমে তপ্তপানি পৌঁছে যেতে পারেন। তবে রোড ট্রিপে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন তাহলে বেরহামপুর থেকে গাড়ি ভাড়া করে ঘুরে আসতে পারেন তপ্তপানি ও চন্দ্রগিরি থেকে। তপ্তপানি থেকে থাকার জন্য একাধিক হোটেল, লজ রয়েছে। এখানে আপনি ১,২০০ টাকাতেই রাত কাটাতে পারবেন।