আমরা অনেকেই দূর কোথাও ভ্রমণের (Travel) জন্য বিমানযাত্রাকে (Flight) বেছে নিই। এতে সময়ও কম লাগে। বিশেষত বিদেশ যাত্রার জন্য আমাদের কাছে বিমান ছাড়া কোনও বিকল্পও থাকে না। কিন্তু আপনি কি জানেন সবচেয়ে কম সময়ের বিমানযাত্রা কোনটি? মাত্র ২ মিনিটেরও কম সময়ে আপনি একটা জায়গা থেকে অন্য এক গন্তব্য (Destination) পৌঁছে যেতে পারবেন। হ্যাঁ, ঠিকই পড়েছেন আপনি! বিশ্বের সংক্ষিপ্ততম বিমানযাত্রা (World’s Shortest Flight)। মাত্র ৪৭ সেকেন্ডে।
বিশ্বের সংক্ষিপ্ততম বিমানযাত্রাটি হল স্কটল্যান্ডে ওয়েস্টরে থেকে পাপা ওয়েস্টরে দ্বীপ পর্যন্ত। এই দুই জায়গার মধ্যবর্তী দূরত্ব ২.৭ কিলোমিটার। এই দূরত্ব বিমানে করে যেতে সময় লাগে ২ মিনিটেরও কম। যদি আবহাওয়া ভাল থাকে, বায়ুর চাপ যদি সঠিক থাকে এবং ল্যাগেজ যদি তুলনামূলক ভাবে কম থাকে তাহলে ওয়েস্টরে থেকে পাপা ওয়েস্টরে পৌঁছাতে যাত্রীদের সময় লাগে মাত্র ৪৭ সেকেন্ড। এই কারণেই এই রুটের বিমানকে বলা হয় ওয়ার্ল্ড শর্টেস্ট ফ্লাইট। এর পাশাপাশি একে বলা হয় বিশ্বের ক্ষুদ্রতম এয়ারলাইনস। এই কারণেই এর নাম রয়েছে গিনিস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে।
গিনিস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের মতে, লোগানর হচ্ছে বিশ্বের ক্ষুদ্রতম শেডিউলড কমার্শিয়াল এয়ারলাইন। লোগানর মূলত স্কটল্যান্ডের প্যাসলির কাছাকাছি গ্লাসগো বিমানবন্দরে অবস্থিত একটি স্কটিশ আঞ্চলিক বিমান সংস্থা। এয়ারলাইনের এলএম৭১১ বিশ্বের সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত ফ্লাইট, যা যাত্রীদের এক দ্বীপ থেকে অন্য দ্বীপে নিয়ে যায়। এই বিমানটিই স্কটল্যান্ডের ওয়েস্টরে থেকে পাপা ওয়েস্টরে দ্বীপপুঞ্জের যাত্রা নির্ধারণ করে। শুধু তাই নয়, দিনে তিন বার যাত্রী নিয়ে যাতায়াত করে এই বিমানটি।
এলএম৭১১ বিমানটি ওর্কনি দ্বীপপুঞ্জের ওয়েস্টরে থেকে নিকটবর্তী পাপা ওয়েস্টরে দ্বীপে যাতায়াত করে। এই দুই দ্বীপের মধ্যে দূরত্ব হল ২.৭ কিলোমিটার, যেখানে বিশ্বের বেশ কয়েকটি রানওয়ের দূরত্ব ২.৩৩ কিলোমিটারের বেশি। সুতরাং এক দ্বীপ থেকে অন্য দ্বীপে পৌঁছাতে সময় লাগে মাত্র ৫৩ সেকেন্ড। পরিবেশ অনুকূল থাকলে সেটাও কমে দাঁড়ায় মাত্র ৪৭ সেকেন্ডে অর্থাৎ ১ মিনিটেরও কম সময়ে পৌঁছে যাওয়া যায় এক দ্বীপ থেকে অন্য দ্বীপে। অন্যদিকে, ওয়েস্টরে থেকে অরকেনির রাজধানী কার্কওয়ালের যাত্রা পথ ১৫ মিনিটে অতিক্রম করে এখানের এয়ারলাইনস।
যদি দ্বীপ হিসাবে ওয়েস্টরের কথা বিবেচনা করা হয়, তাহলে এটি হল স্কটল্যান্ডের ওর্কনি দ্বীপপুঞ্জের একটি ছোট্ট দ্বীপ। এখানে বসবাসকারী মানুষের সংখ্যা ১০০ জনেরও কম। ছুটি কাটানোর জন্য আদর্শ জায়গা হল এই ওয়েস্টরে। এই কারণে গ্রীষ্মের মরসুমে পর্যটকদের বেশ ভিড় লেগে থাকে এখানে।
এখানে ছুটি কাটাতে আসলে বহু পর্যটক পাপা ওয়েস্টরের বিমানযাত্রার অভিজ্ঞতাও সঞ্চয় করেন। তবে পাপা নামে পরিচিত এই পাপা ওয়েস্টরে দ্বীপটি ওর্কনি দ্বীপপুঞ্জের নবম বৃহত্তম দ্বীপ। ৯০০হেক্টর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত এই দ্বীপে একটি সমৃদ্ধ জীববৈচিত্র্য আছে। এই দ্বীপেরও জনসংখ্যা ১০০ এরও কম। এটি পক্ষীপ্রেমীদের জন্যও একটি আদর্শ জায়গা।
আরও পড়ুন: ৬০০ বছর ধরে হিমাচলিরা নেতিবাচক শক্তিকে দূর করে ‘শয়তানের’ মাস্ক পরে