পাখির মতো যদি ওড়া যেত। যদি সমুদ্রের গভীরে গিয়ে দেখা যেত মাছেদের জগৎ। আবার যদি নদীর ঢেউয়ের সঙ্গে পাল্লা গিয়ে এগিয়ে যাওয়া যেত। এই ‘যদি’ সত্যি করতেই মানুষের মধ্যে বেড়েছে অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসের নেশা। রোমাঞ্চকর অভিযানের জন্যই বির, ঋষিকেশ থেকে আন্দামানের হ্যাভলক জনপ্রিয়। কিন্তু অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসের জন্য হিমাচল প্রদেশ কিংবা আন্দামান নিকোবর যাওয়া সবসময় সম্ভব নয়। তাছাড়া এতে খরচ হয় বিপুল। বরং, বাড়ির আশেপাশেই আপনি স্বাদ নিতে পারেন অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসের। কলকাতার কাছেপিঠে এমন বেশ কিছু জায়গা রয়েছে, যেখানে প্যারাসেলিং, কায়াকিং থেকে শুরু করে রিভার রাফটিং, মাউন্টেন বাইকিং সবই করতে পারবেন।
মাউন্টেন বাইকিং: মাউন্টেন বাইকিংয়ের জন্য আপনি চলে যেতে পারেন পুরুলিয়া। উইকএন্ড ডেস্টিনেশন হিসেবে জনপ্রিয় এই জেলায় রয়েছে মাউন্টেন বাইকিংয়ের সুযোগ। পুরুলিয়ার পাঞ্চেত অঞ্চলে আপনি মাউন্টেন বাইকিং করতে পারেন। এছাড়া দার্জিলিংও যেতে পারেন মাউন্টেন বাইকিং করার জন্য।
প্যারাসেলিং: সমুদ্রের মাঝ বরাবর গিয়ে আকাশে ভেসে বেড়াতে যান? শনি-রবিবারের ছুটিতে মন্দারমণি বেড়াতে গেলে আপনি এই সুযোগ পেয়ে যেতে পারেন।
প্যারাগ্লাইডিং: প্যারাগ্লাইডিং করতে গেলে আপনাকে পাহাড়ে চড়তেই হবে। আর এটা একমাত্র পশ্চিমবঙ্গের বুকে দার্জিলিংয়েই সম্ভব। দার্জিলিংয়ে রয়েছে প্যারাগ্লাইডিংয়ের দুর্দান্ত সুযোগ।
কায়াকিং: কলকাতার বুকে কায়াকিং প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় রবীন্দ্র সরোবরে। তবে, আপনি যদি কায়াকিংর অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে চান, যেতে পারেন ইকো পার্কেও। সূর্যাস্তের সময় কায়াকিং করতে পারেন ইকো পার্কে।
রিভার রাফটিং: পাহাড়ের খরস্রোতা নদী ছাড়া রিফার রাফটিং করার মজা নেই। আর এই অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসের স্বাদ নিতে আপনাকে যেতে হবে উত্তরবঙ্গে। তিস্তা নদীতে রয়েছে রিভার রাফটিংয়ের সুযোগ। তিস্তা বাজার গেলেই রিভার রাফটিং করতে পারবেন।
স্নরকেলিং: কলকাতার আশেপাশে স্কুবা ড্রাইভিংয়ের সুযোগ নেই। কিন্তু দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাতে আপনি স্নরকেলিং করতে পারেন। তাজপুরের সমুদ্র সৈকতে স্নরকেলিংয়ের সুযোগ রয়েছে। তাজপুর বাংলার অন্যান্য সমুদ্র সৈকতের তুলনায় শান্ত ও নিরিবিলি। উইকএন্ড ডেস্টিনেশন হিসেবেও বেছে নিতে পারেন তাজপুরকে।
ট্রেকিং: বাংলার বুকে ট্রেকিং রুটের অভাব নেই। উত্তরবঙ্গে নেওড়া ভ্যালি ন্যাশানাল পার্কে পাহাড়ের বুকে জঙ্গলের পথ ধরে আপনি ট্রেকিং করতে পারেন। আবার দক্ষিণবঙ্গেও পুরুলিয়ায় ট্রেকিং করতে যেতে পারেন। আজকাল কদর বাড়ছে ‘কোস্টাল ট্রেকিং’-এর। সমুদ্রের পাড় ধরে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় হেঁটে যাওয়া। দিঘা থেকে চাঁদিপুর একটি জনপ্রিয় কোস্টাল ট্রেকিং।
ক্যাম্পিং: বাংলার সমুদ্র সৈকতের ধারে বসে ক্যাম্পিং করতে পারেন। দার্জিলিং, কালিম্পংয়ের পাহাড়ের কোলেও রয়েছে ক্যাম্পিংয়ের সুযোগ। এমনকি সুন্দরবন জাতীয় উদ্যানেও আপনি ক্যাম্পিং করতে পারেন।