পাহাড় কিংবা সমুদ্র, যেখানেই বেড়াতে যাওয়া হোক, বমির সমস্যা পিছু ছাড়ে না অনেকেরই। এই সমস্যা এড়াতে না পেরে আতঙ্কে বেড়াতে যাওয়াই বন্ধ করে দেন অধিকাংশ। কিন্ত ভ্রমণের জন্য মনটা কাঁদে। অনেকেই আছেন যাঁরা বেড়াতে ভালবাসলেও গাড়িতে বা বাসে চড়লেই বমি হওয়া, মাথা ঘোরার মত সমস্যা দেখা যায়। বিশেষ করে ।খন পাহাড়ি রাস্তায় ঘুরে ঘুরে চলে, তখন অনেকেরই শরীর খারাপ লাগে। আবার কোনও চলন্ত গাড়িতে উঠলেও বমি বমি ভাব দেখা যায়। এমন সমস্যাকে মোশন সিকনেশ বলা হয়। আবার অনেকের বমির সঙ্গে সঙ্গে মাথা ঝিমঝিম করার সমস্যাও তৈরি হয়। এই সব সমস্যার জন্য কি বেড়াতে যাওয়ার সঙ্গে আপোস করা যায়। তবে এই সমস্যাগুলিকে প্রতিরোধ করা সম্ভব। বেড়াতে গিয়ে অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা কমাতে কয়েকটি জিনিস মেনে চলতে হবে। সেই জরুরি টিপসগুলি কী কী, দেখুন এখানে…
১) আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খান- মাংস এবং ডিমের মতো খাবার খান যাতে আয়রন বেশি থাকে, কারণ এগুলি আপনার শরীরকে বমি বমি ভাব রোধ করতে সাহায্য করবে।
২) ঘন ঘন জল পান করুন- পুরো যাত্রা জুড়ে প্রচুর পরিমাণে জল পান করলে শরীর হাইড্রেটেড থাকে। ডিহাইড্রেশন হলেই বমি বমি ভাব এবং বমি হতে পারে। এটি আপনার ত্বকের জন্যও ভাল। এতে ত্বক খুব বেশি শুষ্ক হয়ে যায় না। পরিস্কার ও উজ্জ্বল ত্বক থাকে বরাবর। সবচেয়ে ভাল নিয়ম হল আট ঘন্টার ফ্লাইটে উঠার আধা ঘন্টা আগে বা রাস্তায় দীর্ঘ সময় ধরে জল পান করুন।
৩) নোনতা বা মিষ্টি কিছু খান- প্লেনে চড়ার আগে বা গাড়িতে চড়ার আগে ফল বা ক্র্যাকারের টুকরো খেতে পারেন। নোনতা বা মিষ্টি সংমিশ্রণ মোশন সিকনেস প্রতিরোধ করতে এবং আপনাকে আরও আরামদায়ক বোধ করতে সাহায্য করে
৪) গাড়ির ঝাঁকুনির ফলে মাথা ঘোরায়। তাই জোর করে মাথা সোজা রাখার চেষ্টা করবেন না। বরং একদিকে মাথা কাত করে রাখুন।
৫)গাড়িতে বমি বমি ভাব লাগলে মুখে লালা বা স্যালাইভার পরিমাণ বেড়ে যায়। এক্ষেত্রে জলপাই খেলে স্যালাইভার পরিমাণ কমিয়ে দেয়। এতে অস্বস্তি কমে।
৬) অতিরিক্ত মদ্যপান করবেন না- অতিরিক্ত খাওয়া জিনিসগুলিকে আরও খারাপ করে তোলে! আন্তর্জাতিকভাবে ভ্রমণ করার সময় প্রতিদিন ১-২লিটার জল খান। তবে উড়ার আগে কম পান করুন ,টেকঅফ এবং অবতরণের সময় প্রায় অর্ধেক পান করুন। গাড়িতে কখনওই মদ্যপান বা ধূমপান করবেন না।
৭) ড্রাইভিং থেকে নিয়মিত বিরতি নেওয়া, বিশেষত যখন দীর্ঘ দূরত্বে বা উচ্চ পর্বত গিরিপথে ভ্রমণ করা হয়।
৮) চোখ বন্ধ করে রাখলে কিন্তু মোটেও বমি ভাব কমে না। এতে মাথায় আরও বমির চিন্তাই ঘুরতে থাকে। তার চেয়ে বরং চোখ খোলা রাখুন।
৯) ভ্রমণের সময় সক্রিয় থাকুন- এআপনি যদি ফ্লাইটের আগে প্রচুর হাঁটাচলা করেন, তাতে প্লেন অবতরণ করার পরে আবার চলতে শুরু করলে আপনি মোশন সিকনেসে আক্রান্ত হবেন না।