AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Rabindra Sarobar Lake: মরশুমের প্রথম পরিযায়ীর দেখা মিলল সরোবরে, উচ্ছ্বাসিত শহরের বার্ড ওয়াচারদের দল

Migratory Birds: অক্টোবরের শেষ সপ্তাহ থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বহু পরিযায়ী পাখির দল ভিড় করে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে। মার্চ মাস পর্যন্ত ভারতে এদের দেখা মেলে।

Rabindra Sarobar Lake: মরশুমের প্রথম পরিযায়ীর দেখা মিলল সরোবরে, উচ্ছ্বাসিত শহরের বার্ড ওয়াচারদের দল
| Edited By: | Updated on: Oct 28, 2022 | 11:10 AM
Share

একটা সময় ছিল শীত আসা মাত্রই পরিযায়ী পাখিরা ভিড় করত শহরের নানা হ্রদ, জলাশয়ে। ধীরে ধীরে শহরে পরিযায়ী পাখির সংখ্যাটা আগের তুলনায় অনেক কমে গিয়েছে। কিন্তু একেবারে শেষ হয়ে যায়নি। যদিও এখনও শহরে শীত আসেনি। তবে সাত সমুদ্র তেরো নদী পেরিয়ে আসা পরিযায়ী পাখিদের দেখা মিলতে শুরু করেছে রবীন্দ্র সরোবরে। জানান দিচ্ছে শীত আসছে…

প্রায় দু’হাজার মাইল পথ পেরিয়ে এ বছর রবীন্দ্র সরোবরে ভিড় জমাচ্ছে ‘লেজার হোইয়াট থ্রোট’ পরিযায়ী পাখি। চিন না রাশিয়া কোন অঞ্চল থেকে এই পরিযায়ী পাখি কলকাতা শহরে এসেছে তা জানা নেই। কিন্তু রবীন্দ্র সরোবরে এখন ঘন ঘন দেখা মিলতে শুরু করেছে ‘লেজার হোইয়াট থ্রোট’ পরিযায়ী পাখির। সম্প্রতি ‘লেজার হোইয়াট থ্রোট’-এর ছবি রবীন্দ্র সরোবর থেকে লেসবন্দী করেছে ‘বায়ো ডাইভার্সিটি অফ রবীন্দ্র সরোবর’ একটি সমাজমাধ্যম।

‘বায়ো ডাইভার্সিটি অফ রবীন্দ্র সরোবর’-এর ফেসবুক পেজ ঘেঁটে দেখলেই মিলবে ‘লেজার হোইয়াট থ্রোট’ পরিযায়ী পাখির ছবি। প্রায় ১৩ সেন্টিমিটার লম্বা এই ছোট্ট পাখির উপস্থিতি দেখে খুশি শহরের পক্ষীপ্রেমীরা। এই ‘লেজার হোইয়াট থ্রোট’-এর দেখা মেলে মূলত চিন, রাশিয়া ও উপসাগরীয় এলাকায়। একই সঙ্গে, এ বছর রবীন্দ্র সরোবরে দেখা গিয়েছে ‘চেস্টনাট উইন্ড কুক্কু’। এটি কোকিল প্রজাতির পাখি। এরা অন্যের বাসায় ডিম পেড়ে চলে যায়। এদের দেশ হিমালয়ের পাদদেশে। প্রায় দেড় থেকে দু’হাজার মাইল উড়ে এই ‘চেস্টনাট উইন্ড কুক্কু’ কলকাতার রবীন্দ্র সরোবরে ভিড় জমিয়েছে। যদিও এই পরিযায়ী পাখির দেখা শীতে রবীন্দ্র সরোবরে পাওয়াই যায়। তবে প্রতিবছরই যে তারা হিমালয় থেকে কলকাতার বুকে আসে তা বলা কঠিন।

অক্টোবরের শেষ সপ্তাহ থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বহু পরিযায়ী পাখির দল ভিড় করে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে। দলবেঁধে এ সব পরিযায়ী পাখিরা ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে হাজির হয়। মোটামুটি মার্চ মাস পর্যন্ত ভারতে এদের দেখা মেলে। শীত কাটিয়ে আবার পারি দেয় নিজ দেশে। কিন্তু দূষণের কারণে বেশ কিছু বছর যাবৎ পরিযায়ী পাখির খুব একটা দেখা মেলা বন্ধ হয়ে গিয়েছে শহরের জলাশয়গুলোতে। কোভিড আবহে গত দু’বছর দূষণের মাত্রা কমেছে। ফলে আবার বেড়ে পরিযায়ী পাখিদের আনাগোনা।

বংশবৃদ্ধির জন্য প্রজন্মের পর প্রজন্ম বহু পরিযায়ী পাখিরা ভিড় করে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে। হিমালয়ের পাদদেশ ছুঁয়ে বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে পরিযায়ী পাখিরা ভারতে আসে। মূলত গুজরাতে জলাশয়কে এই পরিযায়ী পাখিদের সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। এর পরেই রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। কলকাতা-সহ বিভিন্ন জেলার জলাশয়গুলোতে শীতের সময় পরিযায়ী পাখির দেখা মেলে। পূর্ব কলকাতার জলাভূমির রামসার প্রোজেক্টে প্রতি বছর অন্তত ৪০-৪৫টি প্রজাতির পাখির দেখা পাওয়া যায়।