ছোট থেকে বড়, সকলের কাছেই সমান প্রিয় চকোলেট। চকোলেট কেক, চকোলেট মুজ, চকোলেট বিস্কুট, চকোলেট শেক- এমন সব লোভনীয় খাবারের প্রতি দুর্বলতা রয়েছে অনেকেরই। অনেকর ধারণা, চকোলেটের প্রকোপে শরীরের অতিরিক্ত মেদ জমতে শুরু করে। তবে আধুনিক গবেষণা বলছে, ফিট ও সুস্থ থাকতে ডায়েট প্ল্যানে একটুকরো চকোলেট খাওয়া যেতেই পারে। যাঁরা কড়া ডায়েট করেন, তাঁদের সমানে চকোলেটের যে কোনও রেসিপি সামনে রাখলেও ডায়েটের মেনু ওলটপালট হয়ে যেতে পারে। বিশ্ব চকোলেট দিবসে রেসিপি নয়, বিশ্বের কোথায় কোথায় চকোলেটের জাদুঘর রয়েছে, তা নিয়ে আলোচনা করা হবে…
সুইৎজারল্যান্ড
বিশ্বের সবচেয়ে সুস্বাদু ও জনপ্রিয় চকোলেটের ব্র্যান্ড রয়েছে এখানেই। সুইৎজারল্যান্ডের লিন্ড হোম মিউজিয়ামের নাম অনেকেই শুনে থাকবেন।এই অসাধারণ মিউজিয়ামে পৌঁছালে হাতে স্বর্গ খুঁজে পাবেন। পৃথিবীতে যত রকমের চকোলেটের তৈরি খাবার ও পদ কিংবা চকোলেটের ফ্লেভার রয়েছে, তার অডিয়ো গাইডের মাধ্যমে একদিনের মিউজিয়াম ট্যুর হয়ে যাবে। এই নামী ব্র্যান্ডের চকোলেটের ইতিহাস, কোকোর বৈশিষ্ট্য ও গুরুত্ব নিয়ে বিস্তারিত তথ্য রয়েছে তো বটেই, লিন্ড চকোলেটের আনলিমিটেড টেস্টিংয়ের সুবিধাও রয়েছে এখানে।
আরও পড়ুন: বিশ্বের ক্ষুদ্রতম হোটেলে জায়গা ধরে মাত্র দুজনের! একদিনের ভাড়া কত জানেন?
ইউনাইটেড কিংডম-
শৈশব থেকে প্রাপ্তবয়স্ক, জীবনের প্রতিটি স্তরে ক্যাডবেরির একটি ভূমিকা যে কতটা তা আলাদা করে বলে দিতে হয় না। ১৯৯০ সালে বারমিংগহামে প্রথম ক্যাডবেরির মিউজিয়াম সাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়। রয়েছে এগজিবিশন ট্যুর, ১৪টি জোনে আলাদা আলাদা সফর, প্রত্যেকটি জোনের জন্য আলাদা স্পেশাল রাস্তা রয়েছে। প্রত্যেকটি জোনে রয়েছে ব্র্যান্ডের আলাদা গল্পকথার ভাণ্ডার। রয়েছে অফুরান চকোলেট খাওয়ার সুযোগ ও চায়ের ব্যবস্থা। শুধু তাই কি! পাবেন চোখ ধাঁধানো চমকও!
আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র
হার্সের চকোলেট ওয়ার্ল্ড! ভারতের বাজারেও দারুণ জনপ্রিয় এই চকোলেট। বিশ্বের অন্যতম বিখ্যাত চকোলেট নির্মাণকারী সংস্থা। এই কোম্পানির বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভিজিটর সেন্টার রয়েছে। পেনিনসিলভানিয়া থেকে এই সংস্থার যাত্রা শুরু, এরপর নানা জায়গায় সাধারণের জন্য চকোলেটের ভরপুর সম্ভার নিয়ে হাজির হয়েছে। সাধারণত শিশুদের চাহিদা মেটাতেই এই সংস্থা প্রথম চকোলেট ট্যুরের কথা চিন্তাভাবনা করে। ক্যান্ডি বার, চকোলেট ট্যুর, ট্রলি অ্যাডভেঞ্চার, ক্রিসমাস অ্যাডভেঞ্চার দারুণ জনপ্রিয়।