পুজো মানে জমিয়ে খাওয়া দাওয়া। সেই খাওয়া দাওয়ায় মটন না থাকলে কি হয় বলুন? মটন বিরিয়ানি বা মটন কষা তো অনেক হল। এই পুজোয় বরং সেই সব ভুলে যান। বিরিয়ানি ছেড়ে এই পুজোয় খেয়ে দেখুন পরিচিত রেস্তোরাঁর মটনের এই সব অপরিচিত রান্না। মন ভাল হতে বাধ্য।
কাঁচা লঙ্কা মাংস – বাঙালির হেঁশেল থেকে যে সব রান্না অবলুপ্তির পথে হাঁটা দিয়েছে, এই পদ তাঁদের মধ্যে একটি। মটনের এই পদ যেমন হালকা তেমনই সুস্বাদু। পাঁঠার মাংসকে কাঁচা লঙ্কা বাটা, আদা বাটা, ধনে পাতা এবং সব প্রয়োজনীয় জিনিস দিয়ে মাখিয়ে পরে রান্না করা হয়। পুজোর দিনে এই পদ খেতে ঢুঁ মারুতে পারেন যে কোনও ‘ওহ ক্যালকাটা’, হাতিবাগানের ‘কেয়ার অফ বাঙালি’ বা বালিগঞ্জের ‘বোহেমিয়ান রেস্তরাঁয়’।
বাঁশ পোড়া মাংস – সব মশলা দিয়ে ম্যারিনেট করা মটনকে বাঁশের টুকরোর মধ্যে পুরে বন্ধ করে দেওয়া হয় বাঁশের মুখ। এরপর হালকা আঁচে রান্না করা হয় সেই মটনকে। হালকা বাঁশের গন্ধ এবং পোড়া গন্ধের মিক্সড ফ্লেভারের এই মাংস মুখে গেলেই গলে জল। কলকাতার অনেক রেস্তরাঁতেই পাওয়া যায় এই পদ।
কচুপাতা মটন – এ বার পুজোয় এপার বাংলার সঙ্গে ওপার বাংলায় স্বাদ নিতে চাইলে বাঙালি রেস্তোরাঁই হল একমাত্র ঠিকানা। বিশেষ করে এপারের প্রিয় মটনে যদি ওপার বাংলার স্বাদ মেশাতে চান তাহলে ভরসা রাখতে হবে ‘কস্তুরি’র কচুপাতা চিংড়িতেই।