দুর্গাপুজো মানে যেমন মণ্ডপে মণ্ডপে প্রতিমা দর্শনের হিড়িক তেমনই সঙ্গে আছে জমিয়ে খাওয়া দাওয়া। আর যদি পুজো প্যাণ্ডেলের কাছে কোনও মেলা বসে তাহলে তো কোনও কথাই নেই। মনের মতো কিছু কেনাকাটা করতে পারলে সেটা হল এই সময়ের উপরি পাওনা। তবে ভাবছেন এই আনন্দ শুধু কলকাতায় থাকলেই করতেপারবেন? না তা কিন্তু একেবারেই নয়। বাঙালির দুর্গাপুজো রাজ্যের গণ্ডি পেরিয়েছে অনেক দিন হল। আর যাঁরা রাজধানীতে থাকেন! তাঁদের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে টিভি ৯ নেটওয়ার্ক। আয়োজন করেছে ‘ফেস্টিভাল অব ইন্ডিয়া’র। দিল্লির সবথেকে বড় দুর্গামণ্ডপ যেমন এখানে তৈরি হয়েছে। তেমনই সেখানে রয়েছে নাচ-গান, খাওয়া দাওয়া সবই। গোটা পৃথিবীর বিভিন্ন কোণা থেকে ব্যবসায়ীরা এসে মিলিত হয়েছেন এই উত্সবে। দিল্লির ধ্যানচাঁদ স্টেডিয়ামে বসেছে ২৫০টিরও বেশি নানা ধরনের স্টল। সেই স্টলগুলিতে কী কী পাওয়া যাবে? শুনলে রীতিমতো চমকে যাবেন। কলকাতার কোনও পুজো মণ্ডপেও এত রকমারি জিনিস পাওয়া যায় না। যা যা রয়েছে সেখানে। তবে এতগুলির মধ্যে নজর কেড়েছে আফগানিস্তান, ইরান এবং ভারতীয় স্টলগুলি।
আফগানি ব্যবসায়ীদের কাছে পাওয়া যাচ্ছে বিখ্যাত কাবুল পাথরে তৈরি বাড়ি সাজানোর বিভিন্ন আসবাবপত্র। ইচ্ছা হলেও দর্শনার্থীরা কিনে নিয়ে যেতে পারেন তাঁদের বাড়ির জন্য। আরও একটি স্টলে দেখা যাচ্ছে উপচে পড়া ভিড়। স্যাফরন বা কেশর যে কোনও রান্নায় দিলেই তা স্বাদ বাড়ায়। অনেকে আবার কেশরযুক্ত চা খেতেও খুব ভালবাসেন। তাই তো ইরানিয়ান স্যাফরন স্টলে ভিড় জমিয়েছেন অনেকেই। ভারতের কাশ্মীরি কেশরের পাশাপাশি ইরানের দামি স্যাফরনও পাওয়া যাচ্ছে সেখানে।
শুধু স্যাফরন বা বাড়ির অন্দরসজ্জার আসবাব নয় সেখানে ড্রাই ফ্রুটস এবং মিলেটের তৈরি স্ন্যাকসের রমরমা। সম্প্রতি ভারতীয় সেনাদের ডায়েটে যুক্ত হয়েছে মিলেটের তৈরি খাবার। মিলেট শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। তাই ধ্যানচাঁদ স্টেডিয়ামে বসেছে মিলেটের তৈরি স্ন্যাক্সের একটি স্টল। এছাড়াও আফগানি ব্যবসায়ীরা বিক্রি করছেন দারুণ দারুণ ড্রাই-ফ্রুটস। যা শুধু ভারত বা পাকিস্তানের মানুষ নয় ইউরোপ, আমেরিকার মানুষও ভালবাসেন। শুধু তো দুর্গাপুজো নয়, নবরাত্রিও চলছে। তাই সবার জন্য বিশেষ গরবা এবংডান্ডিয়া নাইটসেরও আয়োজন করা হয়েছে। বিসর্জনের দিন সিঁদুর খেলাও হবে জমিয়ে। অর্থাৎ আনন্দের কোনও খামতি থাকবে না টিভি ৯-র ফেস্টিভাল অব ইন্ডিয়ায় এলে।