মুখের স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়ার জন্য শুধু দাঁত ব্রাশ করলেই কিন্তু হল না। অনেকে আবার নুন দেওয়া টুথপেস্ট দিয়ে ব্রাশ করেন। কিন্তু আসল সমস্যা যে অন্য জায়গায়। চিকিৎসকরা বলেন, মুখের স্বাস্থ্যের অনেকটাই কিন্তু নির্ভর করে আপনার ব্রাশের উপরে।
অনেকেই একই ব্রাশ দিনের পর দিন ব্যবহার করেন। যা কখনই ঠিক নয়। অন্তত তিন মাস অন্তর বদলাতে হবে ব্রাশ। অনেকে ব্রাশের ব্রিসলস নষ্ট হয়ে যাওয়ার পরও সেই ব্রাশ ব্যবহার করতে থাকেন। এই ধরনের ব্রাশ একেবারেই ব্যবহার করা উচিত নয়।
সংক্রমণজনিত কোনও রোগ থেকে সেরে ওঠার পর ব্রাশ বদলে ফেলা জরুরি। কারণ, ওই রোগের ব্যাক্টেরিয়া লালাবাহিত হয়ে ব্রাশের খাঁজে খাঁজে দীর্ঘ দিন পর্যন্ত থেকে যেতে পারে। পরবর্তী কালে ওই ব্রাশ থেকেই আবার রোগ ছড়াতে পারে। আবার দাঁত তোলার পর বা মুখের ভিতরে কোনও রকম অস্ত্রোপচার করানোর পরেও দাঁত মাজার ব্রাশ বদলে ফেলা প্রয়োজন।
ইদানীং আবার দাঁত মাজার জন্য বৈদ্যুতিক ব্রাশ ব্যবহার করার চল হয়েছে। সে ক্ষেত্রেও দু-তিন মাস অন্তর বদলে ফেলা উচিত ব্রাশের মাথা। চিকিৎসকেরা বলছেন, সাধারণ ব্রাশের তুলনায় এই ধরনের ব্রাশগুলির ব্রিসলস কিন্তু তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়। দাম দিয়ে কিনেছেন বলে বছরের পর বছর তা ব্যবহার করে যাবেন, এমনটা হবে না।