সুযোগ পেলে কাছে পিঠে অনেকেই ঘুরতে যান। প্রকৃতির টানে। নতুন জায়গার স্মৃতি, সেখানকার সংস্কৃতির সঙ্গে একাত্ম হওয়া। শুধুমাত্র কি দেশের মধ্যেই? এমনটা একেবারেই নয়। বিদেশ ভ্রমণও অনেকের কাছে প্যাশন। বিশ্বের নানা জায়গায় বেরাতে যাওয়ার এই রীতি সময়ের সঙ্গে বেড়েছে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই ইচ্ছে থাকলেও পর্যাপ্ত তথ্যের অভাবে কেউ কেউ পিছিয়ে আসেন। তথ্য বলছে, বিদেশর ভ্রমণের সংখ্যা আগের তুলনায় অনেক অনেক বেড়েছে। প্যাশনের পাশাপাশি এর অন্যতম কারণ আর্থিক উন্নতি। পর্যাপ্ত তথ্যের অভাবে বিদেশ ভ্রমণ যাতে মাটি না হয়, এর জন্য বিশেষ উদ্যোগে সামিল টিভি নাইন নেটওয়ার্ক।
ভারতের ভ্রমণপিপাসুরা যাবে বিদেশ যাত্রায় কোনও তথ্য সম্পর্কে জানতে চান, এর সহজ উপায় বের করা হয়েছে। নয়াদিল্লিতে হতে চলেছে ওয়ার্ল্ড ট্র্যাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ফেস্টিভ্যাল ২০২৫। টিভি নাইন নেটওয়ার্ক এবং রেড হ্যাট কমিউনিকেশনের প্রথম উদ্যোগ। ১৪ থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি হতে চলেছে এই ফেস্টিভ্যাল।
ভারতীয়দের মধ্যে বিশ্ব ভ্রমণের মাত্রা বেড়েছে। ট্র্যাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ক্ষেত্রে আরও উন্নতি যেমন লক্ষ্য, তেমনই বিদেশ ভ্রমণে যেতে চাওয়া সকলকে সহযোগিতা করাই এর উদ্দেশ্য। কী কারণে এই উদ্যোগ? কী থাকছে এই ফেস্টিভ্যালে? আরও একটু ভালো করে জেনে নেওয়া যাক।
অতিমারীর পর বিদেশ ভ্রমণের সংখ্যা বেড়েছে অনেকটাই। কোভিড অতিমারীর পর ভারতীয়দের মধ্যে বিদেশ ভ্রমণের মাত্রা বেড়েছে ৮৫ শতাংশ। গ্লোবাল ট্যুরিজমের ক্ষেত্রে বড় অবদান রাখছে ভারতীয়রা। দিল্লির এই ফেস্টিভ্যালে সেই ট্রেন্ডকে আরও ভালো ভাবে যাচাই করা হবে। ভারতীয়রা বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে কোন কোন জায়গাগুলি বেশি পছন্দ করেন, তাও জানা যাবে।
বাজেট বেশি-পরিবারের সঙ্গে ট্র্যাভেল প্ল্যান। ভারতীয়দের মধ্যে সোলো ট্রিপ, বন্ধুদের সঙ্গে যেমন বিদেশ ভ্রমণ দেখা যায়, তেমনই অনেকেই পরিবার নিয়েও বিদেশ ভ্রমণে যেতে চান। তারা এমন কোনও জায়গা খোঁজেন, যেখানে পরিবারের সঙ্গে যাওয়া স্বচ্ছন্দের। এক্ষেত্রে টাকার বিষয়টি প্রথম প্রায়োরিটি নয়। ভারতীয়দের অনেকেই প্রতিবার লাখ টাকা খরচ করে বিদেশ ভ্রমণে যেতে পিছপা হন না। তাঁদের সেই খরচের ক্ষমতা রয়েছে। এর মধ্যে পরিবার নিয়ে বিদেশ ভ্রমণ করেন অন্তত ৬০ শতাংশ। থাকার ব্যবস্থা, শিশু সন্তানকে নিয়ে গেলে কোনও সমস্যা হবে কি না কিংবা শিশুরা সেই জায়গা কতটা উপভোগ করতে পারবে, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এমন নানা চাহিদা থাকে। তাঁদের সঠিক পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করাও লক্ষ্য এই ট্র্যাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ফেস্টিভ্যালের। যাতে পরিবার নিয়ে ভ্রমণে সঠিক পরিকল্পনা গড়া যায়।
মিলেনিয়াল ও জেন Z টেকস্যাভিদের জন্য– মিলেনিয়াল ও জেন Z ভ্রমণকারীদেরও নানা প্রশ্ন থাকতেই পারে। ভারতীয়দের মধ্যে যাঁরা বিদেশ ভ্রমণে যান এর মধ্যে ৫০ শতাংশই তরুণ প্রজন্মের। তাঁরা ভ্রমণের পরিকল্পনা গড়তে টেকনোলজির উপরই বেশি মাত্রায় নির্ভরশীল। অনেক ক্ষেত্রেই নানা সমস্যায় পড়েন বা পুরোপুরি তথ্যও থাকে না। তাঁরাও কিন্তু এই ফেস্টিভ্যাল থেকে নানা প্রশ্নের উত্তর পেতে পারেন। শুধু তাই নয়, AI-এর মাধ্যমে স্মার্ট ট্র্যাভেল প্ল্যানের বিষয়ে জানতে পারেন।
বিলাসবহুল ও মানসিক শান্তির জন্য ভ্রমণের বিষয়টিও ভুললে চলবে না। শুধু মাত্র নতুন দেশ ভ্রমনই অনেকের একমাত্র উদ্দেশ্য নয়। বরং কয়েকটা দিনের জন্য বিলাসবহুল জীবন কাটানো, মানসিক শান্তির জন্যও অনেকে বিদেশ যান। এই মাত্রাটা বেড়েছে ১২ শতাংশ। ব্যস্ত জীবনের অস্বস্তি এবং প্রচণ্ড চাপ থেকে বেরোতে এমন ভ্রমণে আগ্রহী হন তাঁরা। এই সমস্ত ভ্রমণকারীদের আগ্রহ অনুযায়ী ট্র্যাভেল পরিকল্পনা গড়তে সাহায্য করবে এই ফেস্টিভ্যাল। খুব সহজেই কী ভাবে এই ধরনের ট্র্যাভেলের বুকিং সম্ভব, সেক্ষেত্রেও সাহায্য করা হবে।
ওয়ার্ল্ড ট্র্যাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ফেস্টিভ্যালের গুরুত্ব প্রসঙ্গে টিভি নাইনের চিফ রেভেনিউ অফিসার অমিত ত্রিপাঠী বলছেন, ‘এটি শুধুমাত্র কোনও উৎসব নয়। ভারতের ভ্রমণ পিপাসুদের কাছে নতুন দিগন্ত খুলবে এর মাধ্যমে। টিভি নাইন দেশের এক নম্বর নিউজ নেটওয়ার্ক। যে সমস্ত রাজ্য থেকে বিদেশ ভ্রমণের চাহিদা বেশি তার বেশির ভাগ জায়গাতেই আমরা সকলের থেকে এগিয়ে। সে কারণেই টিভি নাইন এই উদ্যোগে সেরা পছন্দ বলা যেতে পারে।’
বিশ্ব ভ্রমণ, বিভিন্ন দেশের নানা টেকনোলজি, ট্র্যাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজমের সঙ্গে যুক্ত নানা সংস্থার কাছেও নানা সমস্যার সমাধান হতে পারে এই ফেস্টিভ্যাল। বিশ্বকে নতুন করে চেনার, জানার এবং এক্সপ্লোর করার ক্ষেত্রে যে সমস্ত প্রশ্ন, সমস্যা কিংবা কৌতুহল রয়েছে তার সবটাই মিটতে পারে এই জায়গায়।