পিঠ-কোমরের ব্যথায় নাজেহাল? কারণ খুঁজতে গিয়ে কি মনে পড়ছে? একাধিক কারণে পিঠে এবং কোমরে ব্যথা হতে পারে। দীর্ঘক্ষণ এক জায়গায় বসে থাকা এবং দীর্ঘক্ষণ এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকার ফলে পিঠে ও কোমরে যন্ত্রণা হতে পারে। অনেকেই কর্মক্ষেত্রে ঠিকমতো চেয়ারে বসেন না। অফিসে একটানা ডেস্কে বসে কাজ করতে করতে হঠাৎ পিঠে, কোমরে অনেকেই ব্যথা অনুভব করেন। কেউ কেউ শুরুর দিকে একে পাত্তা দেন না। কিন্তু সেখানেই ভুলটা হয়। কোমরের ব্যথা যদি দু-তিনদিনে না সারে, সেক্ষেত্রে সতর্ক হওয়া দরকার। চিকিৎসকের কাছে গেলে পিঠ, কোমরের ব্যথা কমানোর জন্য তাঁরা নানা ওষুধ দেন। আর যদি ওষুধ অবধি না যেতে চান, তা হলে কয়েকটি উপায়ে এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। নিম্নে এ নিয়ে আলোচনা করা হল।
১) নিয়মিত শরীরচর্চা: পিঠ ও কোমরের যন্ত্রণায় অনেকেই খুব কষ্ট পান। নড়চড়াও অনেকে করতে পারেন না। চিকিৎসকদের মতে, এই সময় কষ্ট হলেও যদি সাধারণ কয়েকটি যোগাসন করা যায়, স্ট্রেচ করা যায় তা হলে আরাম পাওয়া যায়। নিয়মিত শরীরচর্চা করলে উপকার পাওয়া যাবে।
২) ঠান্ডা বা গরম সেঁক: যদি কোনও চোট বা আঘাত থেকে কোমরে ব্যথা হয়, তা হলে বরফের ঠান্ডা সেঁক দিলে আরাম মেলে। রক্ত জমাট বাঁধলেও সেঁক দিলে সমস্যার সমাধান হয়। আবার গরম সেঁক দিলে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক থাকে।
৩) দেহের ভঙ্গি বদল: একটানা অফিসে এক জায়গায় বসে কাজ করলে পিঠ, কোমরের যন্ত্রণা তৈরি হয়। অনেকে কীভাবে ঘুমোন, সে খেয়াল রাখেন না। অনেক সময় শোয়ার ভুলেও কোমরে চাপ পড়ে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সঠিক ভাবে শোয়ার অভ্যাস করতে হবে। টেবিল-চেয়ারে কাজ করার সময়ও মেরুদণ্ড সোজা রাখা জরুরি।
৪) মন ভালো রাখা: অবাক লাগলেও একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে ব্যথার সঙ্গে মানসিক চাপ বা অবসাদের একটা যোগ রয়েছে। যন্ত্রণামুক্ত জীবন পেতে তাই মনের চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি।
৫) পর্যাপ্ত ঘুম: অনেকের মনে হতে পারে, ঘুমের সঙ্গে আবার পিঠ-কোমর যন্ত্রণার কী যোগ। কিন্তু এর বিশেষ যোগ সত্যিই রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কম ঘুম হলে কোমরের ব্যথা বেড়ে যেতে পারে। সারাদিন নানা কাজের পর শরীরের বিভিন্ন পেশি, স্নায়ু ঘুমোনের সময় শিথিল হয়ে পড়ে। তাই ব্যথামুক্ত শরীর ও সুস্থ থাকতে গেলে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমোনো জরুরি।