শরীরের জন্য অন্যতম জরুরি অঙ্গ হল কিডনি। শরীরের যাবতীয় টক্সিন বেরিয়ে যায় এই কিডনির মাধ্যমেই। এছাড়াও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে, শরীরে সোডিয়াম-পটাশিয়ামের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভূমিকা রয়েছে কিডনির।
শরীরে ছাঁকনি প্রক্রিয়ার কাজ করে কিডনি। সব ক্ষতিকর পদার্শ পরিস্রুত হয় এই কিডনির মাধ্যমেই। কিছু বদভ্যাসই কিডনির উপর চাপ বাড়িয়ে দেয়। কিডনি ঠিকমতো কাজ না করলে শরীরে একাধিক উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
কিডনির জটিল সমস্যা হতে পারে। খুব প্রয়োজন না হলে পেইনকিলার খাবেন না। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনও ভাবেই নয়।
নুন যত নষ্টের গেড়া। অনেকেই তরকারিতে বেশি নুন খান। সেই সঙ্গে কাঁচা নুন খাওয়ার অভ্যাসও অনেকেরই রয়েছে। এই কাঁচা নুন ভয়ংকর ক্ষতিকর। আজ থেকে নুনের পরিবর্তে হিমালয়ান পিঙ্ক সল্ট খান।
নুনের মধ্যে থাকে সোডিয়াম। যা আমাদের রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়। নুন দিয়ে পেয়ারা, শসা এসব একদম খাবেন না। সোডিয়াম কিডনির খুবই ক্ষতি করে। ব্লাডপ্রেশার বাড়লে কিডনির খুবই ক্ষতি হয়।
কিডনি শরীর থেকে বিভিন্ন ক্ষতিকর খনিজ এবং বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয়। আর এই কাজটা সে করে প্রস্রাব তৈরির মাধ্যমে। দিনে তিন থেকে চার লিটার জল খেতেই হবে। নইলে কিডনি মোটেই ঠিক করে কাজ করবে না।
মাংস, মিষ্টি খেতে ভাল। কিন্তু লোভ করলেই মুশকিল। খেলে রক্তচাপ বাড়বে। সেই সঙ্গে বাড়বে কিডনির সমস্যাও। মাংস বেশি খেলে রক্তে অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যায়। সেখান থেকে কিডনিতে অ্যাসিডোসিস হয়। তাই নিয়মিত মাংস খাওয়া থেকে একেবারে দূরে থাকুন।